—ফাইল চিত্র
বন্ধ তুলে শান্তির পথে এলে গোর্খা জনমুক্তি মোর্চার সঙ্গে আলোচনায় সরকারের আপত্তি নেই বলে শনিবার নবান্নে স্পষ্ট করে দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর কথায়, ‘‘আলোচনা হতে পারে। কিন্তু গুণ্ডামি, মস্তানি করলে হবে না। শান্তির পথে, গণতান্ত্রিক পথে ফিরলে আলোচনা হতে পারে।’’
এক দিকে লেপচা বোর্ডের প্রধান এল তামসাঙ্গকে সামনে রেখে শান্তি প্রক্রিয়ার ডাক দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। অন্য দিকে স্বরাষ্ট্রসচিব মলয়কুমার দে আগামী ২২ জুন শিলিগুড়িতে সর্বদলীয় বৈঠক ডাকছেন। বৈঠকে মোর্চা-সহ পাহাড়ের সব দলকে ডাকা হবে। ওই দিন পাহাড়ে থাকবেন তিন মন্ত্রী— পার্থ চট্টোপাধ্যায়, অরূপ বিশ্বাস এবং গৌতম দেব।
আরও পড়ুন: ত্রিস্তরীয় সুরক্ষা বলয়ে ডেরা পাল্টে ঘুরছেন গুরুঙ্গ
মুখ্যমন্ত্রীর কথায়, ‘‘নির্বাচিত সরকার সংবিধানের রক্ষক। সংবিধান রক্ষা করতে এবং আইনের শাসন বহাল রাখতে যা করা উচিত,
করা হবে।’’ মোর্চার হিংস্র আন্দোলনকে যাতে সাধারণ পাহাড়বাসী সমর্থন না করেন, সেই আবেদন জানিয়ে মুখ্যমন্ত্রী বলেছেন, ‘‘রেশন না গেলে খাবেন কী? আপনাদের ছেলেমেয়েরাও অন্যান্য জায়গায় থাকে। তাদের নিরাপত্তার কী হবে?’’
আলোচনার মাধ্যমে শান্তির পক্ষে বিরোধীরাও। বিজেপির কেন্দ্রীয় সম্পাদক রাহুল সিংহ রাজ্য ও মোর্চার মধ্যে আলোচনায় মধ্যস্থতা করতে চেয়েছেন। এ রাজ্যে সফররত ছত্তীসগঢ়ের মুখ্যমন্ত্রী রমন সিংহ এ দিন বলেছেন, ‘‘পাহাড় আর হাসছে না। তবে কোনও আন্দোলনেই হিংসা অনুচিত।’’ প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরী দু’পক্ষকে আলোচনায় বসতে অনুরোধ করেছেন।
সিপিএমের রাজ্য সম্পাদক সূর্যকান্ত মিশ্রের বক্তব্য, রাজ্যের ভুল নীতির জন্য এই অবস্থা। শর্তবিহীন ত্রিপাক্ষিক বৈঠক ডাকা হোক।