উচ্ছ্বাস: নেত্রীর ডাকে দু’হাত তুলে সাড়া। একুশে জুলাইয়ের মঞ্চে। ছবি: সুমন বল্লভ।
সামনে ৭টি পুরসভার ভোট। রাজ্যে পঞ্চায়েত নির্বাচনও আসন্ন। স্থানীয় এই সব নির্বাচনেই সব আসন তাঁদের ঘরে তুলতে হবে বলে দলকে ডাক দিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তৃণমূলের প্রাধান্য নিরঙ্কুশ করার পাশাপাশি বিজেপি-কে নির্মূল করাও এখন তৃণমূল নেত্রীর লক্ষ্য।
ধূপগুড়ি, বুনিয়াদপুর, কুপার্স ক্যাম্প, হলদিয়া, পাঁশকুড়া, দুর্গাপুর ও নলহাটি পুরসভার ভোট আগামী ১৩ অগস্ট। তার জন্য এখন মনোনয়ন জমা দেওয়া চলছে। ওই পুরভোটের প্রসঙ্গ এনেই শুক্রবার ২১শে-র ‘শহিদ সমাবেশ’ থেকে তৃণমূল নেত্রী দলকে সর্বশক্তি দিয়ে ঝাঁপিয়ে পড়তে বলেছেন। কুপার্স ক্যাম্পে পুরভোটের দায়িত্ব দিয়েছেন সদ্য তৃণমূলে যোগ দেওয়া বিধায়ক শঙ্কর সিংহকে। পূর্ব মেদিনীপুরে হলদিয়া ও পাঁশকুড়া দেখে নেওয়ার ভার দিয়েছেন মন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারীকে। ধূপগুড়ির ভার নাম না করেই ৎদিয়েছেন সৌরভ চক্রবর্তীদের। আর দুর্গাপুর ও নলহাটি সংশ্লিষ্ট দুই জেলা নেতৃত্বকে যৌথ ভাবে দেখতে বলেছেন মমতা।
পঞ্চায়েত ভোটের আগে এটাই ছিল শেষ ২১শে-র সমাবেশ। দলের প্রতি মমতার নির্দেশ, ‘‘পঞ্চায়েতে ১০০%-এর মধ্যে ১০০% আসন জিতে আসার চেষ্টা করবেন।’’ তার জন্য নিজেদের মধ্যে ভুল বোঝাবুঝি মিটিয়ে নিতেও বলেছেন তিনি। গত কয়েক বছর ধরেই স্থানীয় সংস্থার যে কোনও নির্বাচনে শাসক দলের তাণ্ডব এবং ভোট লুঠের অভিযোগ উঠেছে। মুখ্যমন্ত্রীদের এ দিনের ঘোষণার পরে বিরোধীদের আশঙ্কা, অগস্টে ৭ পুরসভার ভোটে সব ওয়ার্ড দখল করতে আরও মরিয়া হবে শাসক দল! পরে পঞ্চায়েত ভোটে একই ছবির পুনরাবৃত্তি হবে বলেও তাদের আশঙ্কা।
আগামী নভেম্বর থেকে ব্লকে ব্লকে রাজনৈতিক সম্মেলন করবে তৃণমূল। তবে কর্মসূচির শুরু হবে ৯ অগস্ট থেকে ‘বিজেপি ভারত ছাড়ো’ অভিযান ঘিরে। পার্থ চট্টোপাধ্যায়, সুব্রত বক্সী, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়, ফিরহাদ হাকিমদের ওই কর্মসূচির খুঁটিনাটি পরিকল্পনা করে স্থানীয় এলাকায় ছড়িয়ে দিতে বলেছেন মমতা। নির্দেশ দিয়েছেন ৭ অগস্ট রাখিপূর্ণিমার দিন ‘সম্প্রীতি দিবস’ পালন করার। প্রতি বছরের মতো এ বারও নানুর দিবস এবং ২৮ অগস্ট তৃণমূল ছাত্র পরিষদের প্রতিষ্ঠা দিবস পালিত হবে।
আর আগামী বছর ২১শে জুলাইয়ের ২৫ বছর পূর্তি পালন করা হবে ‘অঙ্গীকার দিবস’ হিসাবে। রাজনৈতিক কর্মসূচির পাশাপাশিই সোশ্যাল মিডিয়ায় প্ররোচনামূলক পোস্টের দিকে নজর রাখার জন্যও তৃণমূলনেত্রী দলের কর্মীদের নির্দেশ দিয়েছেন।