Mamata Banerjee

নির্বাচন মিটতেই মন্ত্রিসভায় বড়সড় রদবদল করলেন মমতা

মন্ত্রিসভায় এ দিন যে রদবদল ঘটানো হয়েছে, তাতে দায়িত্ব বেড়েছে শুভেন্দু অধিকারীর।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ২৮ মে ২০১৯ ২১:২০
Share:

ভোট মিটতেই মন্ত্রিসভায় রদবদল করলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। —ফাইল চিত্র।

লোকসভা নির্বাচন মিটে যেতেই রাজ্য মন্ত্রিসভায় রদবদল ঘটালেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। যদিও নতুন কাউকে মন্ত্রিসভায় সামিল করা হয়নি এ বার। বরং বর্তমান মন্ত্রীদের হাতেই একাধিক দফতরের দায়িত্ব তুলে দেওয়া হয়েছে। খরচ কমানোর উদ্দেশ্যেই এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে জানা গিয়েছে।

Advertisement

মঙ্গলবার নবান্নে সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হন মমতা। সেখানে তিনি বলেন, ‘‘নির্বাচনের পর দু’-একটা রদবদল তো করতেই হয়। নতুন করে কাউকে নিচ্ছি না আমি। কারণ বেশি বাড়িয়ে কী লাভ? যত খরচ কমে, ভাল।’’

তবে মন্ত্রিসভায় এ দিন যে রদবদল ঘটানো হয়েছে, তাতে দায়িত্ব বেড়েছে শুভেন্দু অধিকারীর। তাঁর হাতে গিয়েছে সেচ, পরিবহণ এবং জল ভরো-জল ধরো বিভাগ। আগে শুধু পরিবহণ দফতর তাঁর হাতে ছিল। এত দিন তথ্য-প্রযুক্তি বিভাগের দায়িত্বে ছিলেন ব্রাত্য বসু। অতিরিক্ত বন দফতরের দায়িত্ব হাতে উঠেছে তাঁর হাতে, এত দিন যা ছিল বিনয় বর্মণের হাতে। বন দফতরের প্রতিমন্ত্রী করা হয়েছে দমকল মন্ত্রী সুজিত বসুকে।

Advertisement

আরও পড়ুন: প্রধানমন্ত্রীর শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানে যেতে পারেন, নিজেই জানালেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়

লোকসভা নির্বাচনের প্রার্থী তালিকা ঘোষণা করার সময় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছিলেন, পঞ্চায়েতমন্ত্রী সুব্রত মুখোপাধ্যায় বাঁকুড়া থেকে ভোটে দাঁড়াচ্ছেন। তাই ওই দফতর চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য দেখবেন। কিন্তু নির্বাচনে সুব্রতবাবু হেরে যাওয়ার পর মমতা জানান, তিনি মন্ত্রিসভায় থাকবেন। এ দিন মমতা জানান, পঞ্চায়েত সুব্রত মুখোপাধ্যায়ের হাতেই থাকছে।

আরও পড়ুন: জাহাজ টলমল করলে ইঁদুররা আগে জলে ঝাঁপিয়ে মরে, দলছুটদের নিয়ে প্রতিক্রিয়া ববির​

এত দিন জনস্বাস্থ্য-কারিগরি বিভাগ ছিল মলয় ঘটকের হাতে। তাঁকে আইন এবং শ্রম দফতরে সরিয়ে আনা হয়েছে। জনস্বাস্থ্য-কারিগরি বিভাগ তুলে দেওয়া হয়েছে সোমেন মহাপাত্রর হাতে। পরিবেশ ও দূষণ বিভাগেরও ভার পেয়েছেন তিনি। এত দিন নিজেই উপজাতি বিভাগের দায়িত্ব সামলাতেন মুখ্যমন্ত্রী। এ বার তফসিলি জাতি ও উপজাতির সঙ্গে ওই বিভাগকে মিলিয়ে দেওয়া হয়েছে, যার দায়িত্ব পেয়েছেন রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়।

তবে দফতর বিহীন মন্ত্রী হয়েছেন শান্তিরাম মাহাত এবং বিনয় বর্মণ।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement