ফাইল চিত্র।
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বুধবার ফের বললেন, ‘‘আগামী দু’বছরের মধ্যে অণ্ডালের কাজী নজরুল বিমানবন্দর থেকে আন্তর্জাতিক উড়ান চালানোর উপযোগী করে ফেলব।’’ বললেন পানাগড়ের এক অনুষ্ঠানে, অণ্ডাল থেকে যার দূরত্ব বেশি নয়।
করোনার দাপট শুরু হওয়ার আগে দেশের অন্য শহরের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে কলকাতা থেকেও উড়ানে যাত্রী বাড়ছিল। বিমান মন্ত্রকের কর্তাদের অনুমান, কলকাতা বিমানবন্দরে ২০১৩ সালে তৈরি নতুন টার্মিনালের ধারণক্ষমতা আগামী ৫-১০ বছরের মধ্যেই ফুরিয়ে যাবে। তখন কলকাতার সমান্তরাল বিমানবন্দরের প্রয়োজন হবে। সেই জন্য এখন থেকেই জমির প্রয়োজন। প্রস্তুতি দরকার।
প্রথম থেকেই অণ্ডালকে ওই সমান্তরাল বিমানবন্দর হিসেবে ব্যবহার করার কথা বলে আসছে রাজ্য সরকার। মমতা এ দিন বলেন, ‘‘এই বিমানবন্দরকে আন্তর্জাতিক করে তোলার জন্য এ বারের বাজেটে ১৫০ কোটি টাকা রেখেছি।’’ কিন্তু কিছু সম্ভাব্য সমস্যার কথা উঠছে। প্রথমত, যে-সমান্তরাল বিমানবন্দর গড়ে তোলা হবে, তার সঙ্গে কলকাতা বিমানবন্দরের দূরত্ব ৪০-৫০ মিনিটের বেশি হলে সংযোগকারী উড়ান ধরার ক্ষেত্রে সমস্যা হতে পারে যাত্রীদের। দ্বিতীয়ত, অণ্ডাল থেকে এখন হাতে গোনা কয়েকটি উড়ান চলছে। করোনা পরিস্থিতির আগেও যে অনেক উড়ান চলত, তা নয়। তৃতীয়ত, একটি বিমানবন্দরকে আন্তর্জাতিক মানে উন্নীত করতে হলে সেখানে অভিবাসন ও শুল্ক দফতরের উপস্থিতি দরকার। তার ব্যবস্থা করার কথা কেন্দ্রীয় সরকারের। এমনকি, আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের অনুমতিও দেবে বিমান মন্ত্রকের অধীন ডিরেক্টরেট জেনারেল অব সিভিল এভিয়েশন। সহজে এই সবের ব্যবস্থা হবে তো, উঠছে প্রশ্ন।
মুখ্যমন্ত্রী পানাগড়ে বলেন, ‘‘রিজিয়নাল কানেক্টিভিটির জন্য কোচবিহার বিমানবন্দর হয়ে গিয়েছে। বিমান চালানো বাকি।’’ সেই বিমানবন্দরের লাইসেন্স বাতিল হয়ে পড়ে রয়েছে। সেখানকার পরিকাঠামো পুরোপুরি তৈরি। মুখ্যমন্ত্রীর কথায়, ‘‘মালদহ, বালুরঘাটে রিজিয়নাল কানেক্টিভিটির জন্য ৯৯% কাজ হয়ে গিয়েছে।’’ যদিও ওই দুই বিমানবন্দরের লাইসেন্সের জন্য এখনও কেন্দ্রের কাছে আবেদন করা হয়নি। এ রাজ্যে প্রায় ৩০টি হেলিকপ্টার স্টেশন তৈরি হয়ে গিয়েছে বলেও জানান মমতা।