—ফাইল চিত্র।
এমনটাও হয় বইকি!
স্থান, কাল, এমনকি প্রশ্নটাও এক। শুধু বদলে গিয়েছেন পাত্র।
সামাজিক সুরক্ষা যোজনা কী? বছর দেড়েক আগে বহরমপুরের রবীন্দ্রসদনে প্রশাসনিক বৈঠকে প্রশ্নটি করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। সঠিক উত্তর দিতে না পেরে মুখ্যমন্ত্রীর কাছে ধমক খেয়েছিলেন শ্রম দফতরের এক কর্তা। সেই আধিকারিক বদলি হয়ে এখন অন্য এক জন এসেছেন। ঘটনাচক্রে বুধবার বিকেলে, সেই রবীন্দ্রসদনে তাঁকেও এই প্রশ্নই করে বসেন মুখ্যমন্ত্রী।
তবে এ বারে আর ধমক খেতে হয়নি মুর্শিদাবাদের উপশ্রম কমিশনার পতিতপাবন দাসতে। মুখ্যমন্ত্রীকে সামাজিক সুরক্ষা যোজনা প্রকল্প সম্পর্কে তিনি বিস্তারিত বলেন। শুনে মুখ্যমন্ত্রী খুশি হয়ে বলেন, ‘‘বাঃ, খোঁজ-খবর রাখেন দেখছি। ভেরি গুড।’’ মুর্শিদাবাদে ‘ম্যাডাম’ আসছেন শুনেই হোমওয়ার্কে ব্যস্ত হয়ে পড়েছিলেন জেলা প্রশাসনের কর্তারা। বুধবার বিকেলে বহরমপুর রবীন্দ্রসদনে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিভিন্ন সরকারি প্রকল্প নিয়ে করা প্রশ্নের সঠিক উত্তর দেওয়ার পরে তাঁরা বলছেন, ‘‘ভাগ্যিস হোমওয়ার্কে ফাঁকি দিইনি!’’ প্রশাসনিক বৈঠক শেষে ‘ম্যাডাম’ও খুশি হয়ে ‘ফুল মার্কস’ দিয়ে বলে গেলেন, ‘‘আগামী দিনে মুর্শিদাবাদ হবে রাজ্যের মডেল।’’
আরও পড়ুন: স্ট্যাম্প নয়, রিপোর্টে চাই ডাক্তারের সই
এ দিন জগদীশপ্রশাদ মিনা ও পুলিশ সুপার মুকেশ কুমার বলছেন, ‘‘সব ভালয় ভালয় মিটে যাওয়ায় ঘাম দিয়ে জ্বর ছাড়ল মশাই!’’ এ দিন মমতাও বেশ খোশমেজাজে ছিলেন। কারা কেমন হাঁস-মুরগির প্রকল্প করবেন সে বিষয়ে বলছিলেন প্রাণিসম্পদ বিকাশ দফতরের প্রধান সচিব। আচমকা প্রধান সচিবকে মাঝপথে থামিয়ে জনপ্রতিনিধিদের কাছে মুখ্যমন্ত্রী জানতে চান, ‘‘গ্রাম পঞ্চায়েত বা পঞ্চায়েত সমিতি
হাঁস-মুরগির ক’টি বাচ্চা নিয়ে প্রকল্প করতে পারবে? ক’টা দেবে বলেছে?’’
মুখ্যমন্ত্রীর প্রশ্নের উত্তরে কয়েক জন নির্বাচিত প্রতিনিধি ঘাড় নাড়তেই সচিব বলেন, ‘‘ওটা তো এখনও বলিনি।’’ তখন মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘‘দেখেছ, উনি বলেননি তো ঘাড় নাড়ালে যে!’’ বিষয়টি বুঝতে পেরে হাসির রোল ওঠে। এ দিন প্রশাসনিক বৈঠকে মমতা বলেন, ‘‘বিডিওকে সঙ্গে নিয়ে আইসি, ওসিরা এলাকায় যাবেন, মাচায় বসে চা খাবেন। মানুষের সঙ্গে মিশবেন, কথা বলবেন।’’