ভাঙন কবলিত এলাকা পরিদর্শনে আসবেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
রাত পোহালেই শুক্রবার মুর্শিদাবাদের শমসেরগঞ্জ ব্লকের ভাঙন কবলিত এলাকা পরিদর্শনে আসছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মুখ্যমন্ত্রীর এই সফর ঘিরে তুঙ্গে প্রশাসনিক ব্যস্ততা। নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করতে ইতিমধ্যেই শমসেরগঞ্জ পৌঁছেছেন রাজ্য পুলিশের একাধিক শীর্ষ কর্তা।
প্রশাসনিক সূত্রে জানা গিয়েছে, সব কিছু ঠিকঠাক থাকলে শুক্রবার দুপুর ১টা নাগাদ শমসেরগঞ্জের ধুলিয়ানে নামবেন মুখ্যমন্ত্রী। সেই মতো ধুলিয়ানের ফিল্ডের মাঠে অস্থায়ী হেলিপ্যাড তৈরি করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার হেলিকপ্টার এনে চলেছে মকড্রিলও। পাশাপাশিই, ত্রিস্তরীয় নিরাপত্তা বেষ্টনিতে মুড়ে ফেলা হয়েছে গোটা এলাকা। সন্ধ্যা পেরিয়ে রাত গড়াতেই শমসেরগঞ্জে এসে পৌঁছেছেন জেলা তৃণমূলের নেতা-নেত্রীরাও।
জেলা প্রশাসন সূত্রে খবর, শমসেরগঞ্জে গঙ্গাভাঙন কবলিত এলাকা হেঁটে পরিদর্শন করার কথা মমতার। তার আগে বৃহস্পতিবার শমসেরগঞ্জ , লালপুর-সহ বিভিন্ন এলাকা পরিদর্শন করেন মুর্শিদাবাদ রেঞ্জের ডিআইজি রশিদ মুনির খান, জঙ্গিপুরের এসপি ভিজি সতীশ, এসডিও শিঞ্জন শেখর, এসডিপিও রাসপ্রীত সিংহ, শমসেরগঞ্জের বিধায়ক আমিরুল ইসলাম-সহ অন্যান্য প্রশাসনিক কর্তারা।
প্রসঙ্গত, প্রায় দু’বছর ধরে শমসেরগঞ্জের একাধিক এলাকায় নদী ভাঙন ভয়াবহ রূপ নিয়েছে। প্রতাপগঞ্জ, মহেশটোলা, নতুন শিবপুর এলাকায় ভাঙনের জেরে নিশ্চিহ্ন হয়ে গিয়েছে বহু জনপদ। শমসেরগঞ্জে ভাঙন কবলিত এলাকায় মুখ্যমন্ত্রীর আসার সম্ভাবনায় বুধবার বিকেল থেকে সেচ দফতরের কর্তারা ঘাঁটি গেড়েছেন শমসেরগঞ্জে। সেখানে পৌঁছেছেন জেলা সেচ দফতরের সুপারিন্টেন্ডেন্ট ইঞ্জিনিয়ার সঞ্জয় বন্দ্যোপাধ্যায়। সঞ্জয় বলেন, “মুখ্যমন্ত্রীর শুক্রবার শমসেরগঞ্জে ভাঙন কবলিত এলাকায় আসার সম্ভাবনা রয়েছে বলে জেনেছি। শমসেরগঞ্জ ব্লক অফিসের পাশ দিয়ে শ্মশান ঘাট যেখানে রয়েছে সেখানেই গঙ্গায় জল রয়েছে। সেখানে একটি ভাঙা সিঁড়িও রয়েছে। সেটাকেই বালির বস্তা ফেলে সিঁড়ির আকার দেওয়া হচ্ছে। পাশে দেওয়া হচ্ছে রেলিংও। দুটো বোট বানানো হচ্ছে। আমরা প্রস্তুত থাকছি।’’