ফাইল চিত্র।
ঠিক এক বছরের মাথায় রাজ্যে পঞ্চায়েত ভোট হওয়ার কথা। তার আগে ধারাবাহিক জনসংযোগ কর্মসূচির প্রথম দফা শুরু করছে তৃণমূল কংগ্রেস। আজ বৃহস্পতিবার দলের নতুন রাজ্য কমিটির প্রথম বৈঠকে তারই রূপরেখা চূড়ান্ত করে দিতে চলেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই সঙ্গেই দলের ভাবমূর্তি পুনরুদ্ধারে নেতা- কর্মীদের একগুচ্ছ করণীয়ও জানাতে পারেন তিনি। এই বৈঠকে দলের জেলা স্তরেও কিছু রদবদলের সম্ভাবনা রয়েছে।
পঞ্চায়েত ভোটকে সামনে রেখে নির্বাচনী সংগঠন নিয়ে এখনই নাড়াচাড়া শুরু করতে চাইছে শাসকদল। তারই প্রাথমিক পদক্ষেপ হিসেবে জনসংযোগে নামছেন দলের রাজ্য, জেলা ও ব্লক স্তরের নেতারা। সেই কর্মসূচি শুরুর আগে নতুন রাজ্য কমিটির প্রথম এই বৈঠকে গুরুত্বপূর্ণ হতে পারে দলীয় অনুশাসনের বিষয়টিও। সম্প্রতি পুলিশ ও প্রশাসনের কর্তাদের সঙ্গে বৈঠকে আইনশৃঙ্খলা ও দুর্নীতি দমনে কঠোর মনোভাব দেখিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। রাজ্য কমিটির এই বৈঠকে সেই বার্তা দলের জন্যও নির্দিষ্ট করা হতে পারে।
২০১৯ সালে লোকসভা ভোটে ধাক্কা খাওয়ার পরে দল ও সরকার সম্পর্কে নানা অভিযোগ শোনার জন্য ‘দিদিকে বলো’ কর্মসূচিতে সরাসরি মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে যোগাযোগের ব্যবস্থা করা হয়েছিল। একই ভাবে গ্রাম ও শহরে নেতাদের যাতায়াত বাড়িয়েছিল তৃণমূল। তাতে যে ফল হয়েছিল একেবারে সেই ঢঙেই এ বারের এই কর্মসূচির নকসা তৈরি হয়েছে। সম্প্রতি মমতা নিজেই জানিয়েছিলেন, সাধারণ মানুষের সঙ্গে সেইরকম সরাসরি যোগাযোগের জন্য এ বারেও একটি ফোন নম্বর দিয়ে দেবেন তিনি। এই কর্মসূচির চূড়ান্ত রূপরেখাও স্থির হতে পারে এই বৈঠকে।
পঞ্চায়েত ভোটের কথা মাথায় রেখে এই তিনটি বিষয়ই এখন শাসকদলের অন্দরের প্রধান আলোচ্য। ২০১৮ সালে শেষ পঞ্চায়েত ভোটের সময় মনোনয়ন ও ভোটপর্বে যে পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল এ বার তা এড়াতে করণীয় স্পষ্ট করতে পারেন তৃণমূলনেত্রী।