প্রশ্ন: নারদ কাণ্ডকে বিজেপি-র চক্রান্ত বলছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আপনার প্রতিক্রিয়া?
অমিত শাহ: যারা ক্যামেরার সামনে টাকা নিয়েছে, তাদের বিরুদ্ধেই তো মামলা হয়েছে! টিভি-তে গোটা দুনিয়া তাঁদের টাকা নিতে দেখেছে। এর মধ্যে চক্রান্তের কী আছে? কোনও অভিযোগ তো জোর করে চাপানো হয়নি! অভিযোগের প্রমাণ তো ক্যামেরাতেই রয়েছে! ফলে এই প্রশ্নটা আমাকে না করে তাঁকেই জিজ্ঞাসা করুন।
প্রশ্ন: নারদে অভিযুক্তরা বিজেপি নেতাদের সঙ্গে সম্পর্ক রাখছেন। কাউকে কি দলে নেবেন?
অমিত শাহ: ওঁদের কারও সঙ্গে আমাদের সম্পর্ক নেই। এটা একেবারেই কাল্পনিক প্রশ্ন।
প্রশ্ন: আপনি বলছেন, তৃণমূল তোষণের রাজনীতি করছে। আর মুখ্যমন্ত্রী বলছেন, বিভাজনের রাজনীতি করছে বিজেপি।
কোনটা ঠিক?
অমিত শাহ: আগে মমতাজি কংগ্রেস, সিপিএম-কে গালি দিতেন। এখন বিজেপি-কে দিচ্ছেন। তার মানে উনি মেনে নিচ্ছেন বিজেপি-র শক্তি বাড়ছে। এটাই আমার আনন্দ। মমতাজির বিজেপি ভীতি হয়েছে। সবেতেই বিজেপি দেখছেন।
প্রশ্ন: পশ্চিমবঙ্গের অবস্থা সম্পর্কে আপনার মত কী?
অমিত শাহ: গোটা দেশে যত বোমা বিস্ফোরণ হয়েছে, তার মধ্যে সবচেয়ে বেশি হয়েছে এই রাজ্যে। (তৃণমূল ক্ষমতায় থাকলে) পশ্চিমবঙ্গে বোমার কারখানা ছাড়া কিচ্ছু হবে না।
প্রশ্ন: পশ্চিমবঙ্গে সংগঠন বাড়াবেন
কী ভাবে?
অমিত শাহ: আমাদের বুথ কর্মীরা ঘরে ঘরে যাচ্ছেন। আমিও গিয়েছিলাম। কিন্তু যে ভাবে তৃণমূল চলছে, তাতে তারাই বিজেপি-কে এগিয়ে যেতে সাহায্য করছে।
প্রশ্ন: এ রাজ্যে দিদিভাই-মোদীভাই সমঝোতার অভিযোগ উঠছে বার বার। কেন তা হয়েছে বলে মনে করেন?
অমিত শাহ: আরে ভাই, মমতাজি আমাদের এত আক্রমণ করছেন। আমাদের কর্মীরা আক্রান্ত হচ্ছেন। তার পরেও এই কথা বলবেন?
প্রশ্ন: রামনবমীতে অস্ত্র নিয়ে মিছিল হয়েছে। আপনার প্রতিক্রিয়া?
অমিত শাহ: আমার কাছে এ ব্যাপারে প্রত্যক্ষ কোনও তথ্য নেই। তবে হয়ে থাকলে পুলিশ তদন্ত করবে। মামলাও তো হয়েছে!