মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ফাইল চিত্র।
ডেঙ্গি, ম্যালেরিয়ার প্রকোপ ঠেকাতে পুরসভা এবং রাজ্য সরকারের সংশ্লিষ্ট দফতরগুলিকে সচেতন করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ওই দুই অসুখে আক্রান্তের সংখ্যার খতিয়ানও পেশ করেছেন তিনি। মমতা মঙ্গলবার বিধানসভা অধিবেশনে বলেন, “এই সময় ডেঙ্গি, ম্যালেরিয়া বাড়ে। সব পুরসভা, কর্পোরেশন এবং দফতরগুলিকে বলছি, সব জায়গা যেন পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখা হয়। কোথাও যেন জল জমে না থাকে। এ বারে যা প্রাকৃতিক দুর্যোগ হয়েছে, তাতে মাঠে জল জমে আছে। তবে সেগুলো ফাঁকা জায়গা।” একই সঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী জানান, ২০২০ সালে ৮৪ হাজার জনের ডেঙ্গি পরীক্ষা করা হয়েছিল। তাতে আক্রান্তের হার ছিল ২.৬%। এ বছর এক লক্ষ ৮৬ হাজার মানুষের ডেঙ্গি পরীক্ষা হয়েছে। এ বারে আক্রান্তের হার ১.৬%। গত বারে ৬ জন এবং এ বারে ৮ জনের মৃত্যু হয়েছে।
ডেঙ্গি, ম্যালেরিয়া প্রসঙ্গে আলোচনা করতে গিয়ে সদ্য প্রয়াত মন্ত্রী সুব্রত মুখোপাধ্যায়ের জন্য শোকও প্রকাশ করেন মমতা। তিনি বলেন, “জন্ম-মৃত্যু আমাদের হাতে নেই। সুব্রতদার তো ডেঙ্গি বা ম্যালেরিয়া হয়নি। আচমকা হার্ট অ্যাটাক হল, চলে গেলেন। জন্মালে মৃত্যু তো হবেই। কিন্তু কোন বয়সে মৃত্যু হচ্ছে, সেটাই বিষয়। অনেক বয়স হয়েছে, অনেক দিন ধরে অসুস্থ— এ সব ক্ষেত্রে মানুষ তৈরি থাকে। যেখানে তৈরি থাকে না, সেখানে বেশি শোকাহত হতে হয়।”
দুয়ারে সরকার, পাড়ায় সমাধান, কৃষকবন্ধু, স্টুডেন্ট ক্রেডিট কার্ড, লক্ষ্মীর ভাণ্ডার এবং দুয়ারে রেশন— এই সরকারি প্রকল্পগুলির কোনটিতে সরকার কত টাকা খরচ করেছে এবং কোনটিতে কত মানুষ উপকৃত হয়েছেন, তা-ও এ দিন বিধানসভায় জানান মুখ্যমন্ত্রী। আগামী ১৬ নভেম্বর ফের দুয়ারে সরকার প্রকল্প শুরু হবে। চলবে ১৫ ডিসেম্বর পর্যন্ত। মুখ্যমন্ত্রী জানান, আগামী ১৭ নভেম্বর উত্তর ২৪ পরগনার মধ্যমগ্রামে এবং ১৮ নভেম্বর হাওড়ার শরৎ সদনে প্রশাসনিক বৈঠক হবে।