মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়।
উত্তরপ্রদেশে কৃষক হত্যার ঘটনার পরেই তৃণমূলের প্রতিনিধি দল লখিমপুরের উদ্দেশে সোমবার রওনা হয়েছে। কলকাতায় ওই ঘটনা নিয়ে সরব হলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি ওই ঘটনার নিন্দা করে বলেন, ‘‘উত্তরপ্রদেশে কিলিং রাজ চলছে।’’ একই সঙ্গে তিনি বিজেপি-র নীতির নিন্দা করে বলেন, ‘‘ওই এলাকায় ১৪৪ ধারা জারি করে রেখেছে। বাংলায় সবাই খুশি মতো চলে আসে। কিন্তু নিজেদের রাজ্যে কাউকে ঢুকতে দেয় না।’’
কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী অজয় মিশ্রর ছেলে আকাশ মিশ্রর গাড়ির ধাক্কায় আন্দোলনরত কৃষকদের মৃত্যুর অভিযোগ উঠতেই উত্তপ্ত হয়ে ওঠে উত্তরপ্রদেশ। রবিবার দুর্ঘটনার পরই টুইটে ক্ষোভ প্রকাশ করেন মমতা। টুইটারে তিনি লেখেন, ‘লখিমপুর খেরির বর্ররোচিত ঘটনার তীব্র বিরোধিতা করছি। কৃষকদের প্রতি বিজেপি-র উদাসীন মনোভাব আমাকে গভীর যন্ত্রণা দিয়েছে। আগামিকাল (সোমবার) তৃণমূলের পাঁচ সাংসদের দল আক্রান্ত কৃষক পরিবারের সঙ্গে দেখা করবে। আমাদের কৃষকদের আমরা নিঃশর্ত সমর্থন করছি।’ মমতার ঘোষণা মতো সোমবার সকালেই উত্তরপ্রদেশের উদ্দেশে রওনা দেন তৃণমূলের প্রতিনিধি দল। ওই দলে রয়েছেন, সাংসদ কাকলি ঘোষ দস্তিদার, দোলা সেন, প্রতিমা মণ্ডল, আবির রঞ্জন বিশ্বাস এবং সুস্মিতা দেব। প্রতিনিধি দলের সদস্যরা বিমানে দিল্লির যান। সেখান থেকে লখিমপুর খেরির উদ্দেশে রওনা দেওয়ার কথা।
লখিমপুর খেরির ঘটনা নিয়ে সোমবার সকাল থেকেই উত্তপ্ত জাতীয় রাজনীতি। কৃষক হত্যার প্রতিবাদে ধর্নায় বসে আটক হন নভজোৎ সিংহ সিধু। সোমবার সকাল থেকে পঞ্জাবের কয়েক জন কংগ্রেস নেতা ও বিধায়ককে নিয়ে চণ্ডীগড়ের রাজভবনের বাইরে অবস্থান-বিক্ষোভ শুরু করেছিলেন সিধু। দুপুরে কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল চণ্ডীগড়ের পুলিশ তাঁদের আটক করে।
তার আগে রবিবার লখিমপুরে নিহত কৃষকদের সঙ্গে দেখা করতে যাওয়ার পথে কংগ্রেস নেত্রী প্রিয়ঙ্কা বঢরাকে আটক করে পুলিশ। সেখানে অনশনে বসেছে প্রিয়ঙ্কা। পঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী চরণজিৎ সিংহ চন্নী সোমবার হেলিকপ্টারে লখিমপুরে যাওয়ার জন্য উত্তরপ্রদেশ সরকারের অনুমতি চাইলেও তা দেওয়া হয়নি। এরই মধ্যে মৃতদের ক্ষতিপূরণের ঘোষণা করেছে যোগী আদিত্যনাথ। সেই প্রসঙ্গে মমতা বলেন, ‘‘ক্ষতিপূরণ ঘোষণা করলেই সব হয় না।’’