গানের সুর এবং কথা মুখ্যমন্ত্রীর, গেয়েছেন রাজ্যের আর এক মন্ত্রী তথা গায়ক ইন্দ্রনীল সেন। — ফাইল চিত্র।
কখনও ছুটছেন হাসপাতালে, কখনও বাজারে। কখনও নবান্নে বসে সমন্বয় সারছেন আমলাদের নিয়ে। কখনও সব্জির দোকানের সামনে পর পর বৃত্ত এঁকে বুঝিয়ে দিচ্ছেন দোকান-বাজারে গিয়ে পরস্পরের মধ্যে কতটা দূরত্ব রেখে দাঁড়াতে হবে সাধারণ মানুষকে। তার মাঝেও কলম ধরলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। করোনা সঙ্কটে ক্রমশ মুহ্যমান হতে থাকা আবহকে চাগিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করলেন রোগকে ‘জব্দ’ করার গান গেয়ে।
‘স্তব্ধ কর, জব্দ কর, করোনাকে ভয় পেয়ো না/ ভিড় থেকে সব্বাই দূরে থাক, করোনাকে ছুঁতে দেব না’— গানের প্রথম দুটো লাইন এ রকমই। গানে ‘গুজবে কান না দেওয়ার’ বার্তা রয়েছে, ‘সরকারি নির্দেশ মানার’ আহ্বানও রয়েছে। আর গানের শেষ দুটো লাইনে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় লিখেছেন, ‘সবাই মিলে লড়তে হবে, বাংলা কখনও হারে না।’
শুধু কথা নয়, গানের সুরও কিন্তু মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়েরই দেওয়া। আর গেয়েছেন রাজ্যের আর এক মন্ত্রী তথা গায়ক ইন্দ্রনীল সেন।
আরও পড়ুন: নয়াবাদের করোনা-আক্রান্ত বৃদ্ধের শারীরিক অবস্থার সামান্য উন্নতি
শুনে নিন সেই গান
নোভেলকরোনাভাইরাস যে বড় বিপদ এবং তার বিরুদ্ধে লড়তে গেলে যে অত্যন্ত সতর্ক থাকতে হবে, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের লেখা গানে সে কথা বেশ স্পষ্ট ভাবেই বলা হয়েছে। তবে ভয় না পেয়ে শুধু প্রয়োজনীয় সতর্কতা অবলম্বন করলেই যে এই রোগের প্রকোপ রুখে দেওয়া সম্ভব, সেই বার্তাও খুব স্পষ্ট গানটায়।
প্রথমে রাজ্যের পুর এলাকাগুলোয় লকডাউন, তার পরে গোটা রাজ্যে লকডাউন ঘোষণা, অবশেষে দেশজোড়া লকডাউন ঘোষণা, রোগের প্রকোপ ক্রমশ বাড়তে থাকা, লকডাউনের জেরে রুজি-রোজগার শিকেয় তুলে ঘরে বসে থাকতে বাধ্য হওয়া, লকডাউন ওঠার পরে পরিস্থিতি কোথায় গিয়ে দাঁড়াবে, তা নিয়ে সাধারণ জনতার দুশ্চিন্তা— এই সব কিছু মিলে পরিবেশ ক্রমশ ভারী হয়ে উঠছে। করোনা নিয়ে লেখা গানে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কিন্তু সেই ভারী আবহ কিছুটা কাটিয়ে দেওয়া চেষ্টা করেছেন। গানের কথা তো বটেই, গানের সুরও বেশ প্রাণবন্ত। ফলে সোশ্যাল মিডিয়ায় তা ছড়িয়ে গিয়েছে খুব দ্রুত।
আরও পড়ুন- বাইরে আটকে অনেকে, আরও সক্রিয় রাজ্য, ফোন থামছে না অধীর-ডেরেকেরও
রাজনীতিক হোক বা সামাজিক, যে কোনও গুরুত্বপূর্ণ ইস্যু নিয়েই কলম ধরেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কবিতা লেখেন, সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে ছড়িয়েও দেন। গান তুলনায় কম লেখেন। পুজোর সময়ে কয়েকটা ক্লাবের থিম সং লিখে দেওয়া এবং আরও কিছু ব্যতিক্রমী বিষয়ে মমতা গান লিখেছেন এবং সুর দিয়েছেন। এ বার করোনা বিরোধী লড়াইয়েও গানকেই অন্যতম হাতিয়ার করে তুলতে চাইলেন।