বিধিনিষেধে ব্যাহত ১০০ দিনের কাজ: মুখ্যমন্ত্রী

তৃণমূল কংগ্রেসের বিধায়ক দেবেশ মণ্ডল এ দিন পঞ্চায়েতমন্ত্রী সুব্রত মুখোপাধ্যায়ের কাছে জানতে চান, ১০০ দিনের প্রকল্পে পুকুর কাটার কাজ বন্ধ করে দেওয়া হচ্ছে কি না?

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ০৫ সেপ্টেম্বর ২০১৯ ০৩:৩৭
Share:

ছবি: পিটিআই।

এ বার ১০০ দিনের কাজ নিয়ে কেন্দ্রীয় সরকারকে দোষারোপ শুরু করল রাজ্য সরকার। কেন্দ্র নানা ধরনের বিধিনিষেধ আরোপ করায় ওই প্রকল্পে কাজের সংখ্যা এবং পরিধি কমে যাচ্ছে বলে বুধবার বিধানসভায় জানান মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর অভিযোগ, বরাদ্দ আটকে থাকছে তিন থেকে ছ’মাস। তার মধ্যেও রাজ্যের বিভিন্ন দফতরের কাজ একযোগে করা হচ্ছে। বিশেষত পঞ্চায়েত, সেচ, বন, মৎস্য আর জনস্বাস্থ্যের কাজ হচ্ছে একসঙ্গে। মুখ্যমন্ত্রী জানান, এ বার স্কুলে স্কুলে মিড-ডে মিলের কাজেও ১০০ দিনের প্রকল্প থেকে লোক দেওয়ার চিন্তাভাবনা চলছে পঞ্চায়েত দফতরে।

Advertisement

তৃণমূল কংগ্রেসের বিধায়ক দেবেশ মণ্ডল এ দিন পঞ্চায়েতমন্ত্রী সুব্রত মুখোপাধ্যায়ের কাছে জানতে চান, ১০০ দিনের প্রকল্পে পুকুর কাটার কাজ বন্ধ করে দেওয়া হচ্ছে কি না? সুব্রতবাবু জানান, ব্যক্তি-মালিকানার পুকুর কাটার কাজ হচ্ছে না। তবে সরকারি জমিতে পুকুর কাটার কাজ যেমন চলছিল, এখনও সে-ভাবেই চলছে। বরং এই মুহূর্তে অগ্রাধিকারের ভিত্তিতে সেটাই করা হচ্ছে।

সুব্রতবাবু সভায় জানান, ২০১৮-১৯ সালে ৩৩.৮৩ কোটি কর্মদিবস সৃষ্টি করা হয়েছে। চলতি বছরে ৫.৭৩ কোটি কর্মদিবস তৈরি করা হয়েছে ইতিমধ্যেই। ১০০ দিনের কাজে এ বারেও রাজ্য প্রথম স্থান পাবে বলে দাবি করেন পঞ্চায়েতমন্ত্রী।

Advertisement

স্কুলে খাবার জোগানোর প্রকল্পের পাশাপাশি বিভিন্ন কবরস্থানের রক্ষণাবেক্ষণের জন্যও ১০০ দিনের কাজ প্রকল্প থেকে লোকজন দেওয়ার দাবি উঠেছে বিধানসভায়। এ দিন প্রশ্নোত্তর পর্বে সাবিনা ইয়াসমিন পঞ্চায়েতমন্ত্রীর কাছে এই দাবি তোলেন। তাঁর যুক্তি, মুসলিম গোরস্থানগুলিতে জমির বড়ই অভাব। অধিকাংশ কবরস্থানেই সামান্য জমি রয়েছে। ফলে মৃতদেহ গোর দেওয়ার ক্ষেত্রে জায়গার সমস্যা দেখা দিচ্ছে। যদি ১০০ দিনের কাজের প্রকল্প থেকে লোক দিয়ে কবরস্থান সাফসুতরো রাখা যায়, তা হলে সেই সামান্য জায়গা আরও ভাল ভাবে ব্যবহৃত হতে পারে। পঞ্চায়েতমন্ত্রীর বদলে সভায় উপস্থিত মুখ্যমন্ত্রী নিজেই এর জবাব দেন। তিনি জানান, এটি পঞ্চায়েত দফতরের বিষয় নয়, সংখ্যালঘু দফতরের বিষয়। সরকার ইতিমধ্যে দু’হাজার কবরস্থানে পাঁচিলের ব্যবস্থা করেছে। এর পরে যদি কিছু করতে হয়, ভেবে দেখা হবে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement