বাইপাস নিয়ে ক্ষোভ মমতার

মঙ্গলবার উত্তর দিনাজপুরের সোনাপুরে একটি প্রশাসনিক বৈঠকের পাশাপাশি চোপড়ার কালাগছে একটি সভাও করেন মুখ্যমন্ত্রী। সরকারি সভাতে এসে কিছু ক্ষণ বক্তব্য রাখার পরই ইসলামপুরের বাইপাস প্রসঙ্গ টেনে আনেন তিনি।

Advertisement

অভিজিৎ পাল

ইসলামপুর শেষ আপডেট: ০২ অগস্ট ২০১৭ ১২:৫০
Share:

নেত্রী: সোনাপুরে প্রশাসনিক অনুষ্ঠানে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মঙ্গলবার। ছবি: বিশ্বরূপ বসাক

বাইপাস জট কাটেনি বলে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় প্রকাশ্যেই বিরক্তি প্রকাশ করলেন। সেই স্বরেই জানিয়ে দিলেন, ওই সড়কের জন্য জমি দিতে টাকা নিয়েও সরকারকে ‘ব্ল্যাকমেল’ করার চেষ্টা হলে, তা মানা হবে না।

Advertisement

মঙ্গলবার উত্তর দিনাজপুরের সোনাপুরে একটি প্রশাসনিক বৈঠকের পাশাপাশি চোপড়ার কালাগছে একটি সভাও করেন মুখ্যমন্ত্রী। সরকারি সভাতে এসে কিছু ক্ষণ বক্তব্য রাখার পরই ইসলামপুরের বাইপাস প্রসঙ্গ টেনে আনেন তিনি।

ইসলামপুরের জমি নিয়ে গণ্ডগোলের জন্য বাইপাসের কাজ আটকে রয়েছে। জেলার বাইপাস দু’টি সম্পূর্ণ হলে শিলিগুড়ি থেকে কলকাতা যেতে সময় প্রায় অর্ধেক লাগবে। সরকার তাই চায়, এই বাইপাসের কাজ তাড়াতাড়ি শেষ করতে। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘‘যাঁরা জমি বাবদ টাকা নিয়েছেন, তাঁরা এখন গোলমাল করলে মেনে নিতে পারব না।’’ তবে তিনি তাঁদের ক্ষতিপূরণ হিসেবে বিনা মূল্যে তাঁদের জন্য কর্মতীর্থ প্রকল্পে দোকানপাট বানিয়ে দিতে পারেন।’’ জেলার প্রশাসনিক কর্তাদের তা নিয়ে আলোচনা করতে বলেন তিনি।

Advertisement

এরপরেই পর্যটনমন্ত্রী গৌতম দেব ও জেলাশাসক আয়েসা রানিকে সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে আলোচনার বসার নির্দেশ দেন। আগামী ৭ অগস্ট সেই বৈঠক হবে। তবে আলোচনায় সমস্যা না মিটলে প্রয়োজনে প্রশাসনিক পদক্ষেপের কথা ভাবা হবে বলেও জানিয়ে দিয়েছেন তিনি।

ইসলামপুর শহরের উপর দিয়েই গিয়েছে ৩১ নম্বর জাতীয় সড়ক। যানজট সেখানে লেগেই থাকে। দুর্ঘটনাও প্রায়ই ঘটে। বাইপাসের জন্য ইসলামপুরের শ্রীকৃষ্ণপুর কালী বাড়ির সামনে থেকে অলিগঞ্জ পর্যন্ত প্রায় সাড়ে দশ কিলোমিটার রাস্তা প্রস্তাবিত রয়েছে। যদিও প্রশাসনের কর্তারা জানিয়েছেন, বেশির ভাগ জমিদাতাই সেখানে টাকা নিয়ে নিয়েছেন।

এ দিনের অনুষ্ঠানে জেলাশাসক আয়েশা রানি মুখ্যমন্ত্রীকে জানান, ২০ কোটি টাকা ইতিমধ্যেই বিতরণ হয়েছে। এমনকি বাড়িও মিলেছে অনেকর। তার পরেও জায়গা ছাড়েনি তা শুনে চটে যান মুখ্যমন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘‘আমি মানব-দরদী। তা বলে সরকারকে ব্ল্যাক মেল করবে, তা মানব না। আগামী ৭ অগস্ট জেলাশাসককে নিয়ে বৈঠক করবেন পর্যটনমন্ত্রী। তার পরেও সমস্যা না মিটলে প্রশাসন ব্যবস্থা নেবে।’’ এমনকী, ২০ কোটি টাকা বিতরণ হয়ে গিয়েছে। তারপরও অতিরিক্ত টাকা, ল্যান্ডলুজার শংসাপত্র সহ একাধিক দাবিতে বারবারই বাইপাসের কাজ আটকে যাচ্ছে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement