গরমের ছুটি এগিয়ে আনার ঘোষণা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। —নিজস্ব চিত্র।
স্কুলে গরমের ছুটি ১৫ দিনের মতো এগিয়ে এল। সাধারণ ভাবে মে মাসের মাঝামাঝি সময় থেকে গ্রীষ্মাবকাশ শুরু হয় পশ্চিমবঙ্গে। তার বদলে এই বছর তাপপ্রবাহ চলতে থাকায় ২ মে থেকেই যাতে গরমের ছুটি চালু করে দেওয়া যায় স্কুল শিক্ষা দফতরকে সেই পরামর্শ দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা। বুধবার নবান্নের রাজ্যের প্রশাসনিক বৈঠকের মধ্যেই বলেন, ‘‘স্কুল থেকে ছোটদের ফিরতে খুবই কষ্ট হচ্ছে। তাই আপনারা দেখুন গরমের ছুটি যাতে ২ মে থেকে চালু করে দেওয়া যায়।’’
প্রচণ্ড গরমের জন্য স্কুলে গরমের ছুটি এগিয়ে আনা হবে কি না বা অন্য কোনও ব্যবস্থা গ্রহণ করা যায় কি না তা নিয়ে প্রশাসনিক স্তরে আলোচনা চলছিলই। প্রয়োজনে গরমের ছুটি এগিয়ে আনা হবে বলে মঙ্গলবার বিকাশ ভবনে জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু। এরই মধ্যে বুধবার মুখ্যমন্ত্রী জানালেন, তিনি চান ২ মে থেকেই গরমের ছুটি পড়ে যাক।
মুখ্যমন্ত্রীর বুধবারের বৈঠকে ব্রাত্য হাজির না থাকলেও মঙ্গলবারই তিনি বলেছিলেন, “আবহাওয়া, বিপর্যয় মোকাবিলা-সহ বিভিন্ন দফতরের সঙ্গে কথা বলে মুখ্যমন্ত্রীকে পুরো বিষয়টি জানিয়েছি। আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে, তিন দিনের মধ্যে বৃষ্টির সম্ভাবনা আছে। সোম-মঙ্গলবার পর্যন্ত পরিস্থিতি একটু দেখে নিতে চাইছি। স্কুলের সময় এগিয়ে আনার নির্দেশ আগেই দিয়েছি। প্রয়োজনে গরমের ছুটিও এগিয়ে আনা হবে।”
তারও আগে বিকাশ ভবন সোমবার জানিয়েছিল, গরমের কারণে সব স্তরের স্কুলে সকালে ক্লাস শুরু করতে হবে। যদিও কবে থেকে তা হবে, তার কোনও নির্দেশিকা দেওয়া হয়নি। বলা হয়েছিল, যদি কোনও স্কুল সকালে ক্লাস শুরু করতে না-পারে, তা হলে গরম থেকে ছাত্রছাত্রীদের রক্ষা করতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করতে হবে তাদের। সকালে স্কুল চালু হলেও পড়াশোনায় যাতে ঘাটতি না-হয়, দেখতে হবে সেটাও। তবে এখন আর সে সব কিছুরই প্রয়োজন রইল না। এগিয়ে এল গরমের ছুটি।