সাগরে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। —নিজস্ব চিত্র।
সাগরমেলার আয়োজনে কেন্দ্রের নরেন্দ্র মোদী সরকারের বিরুদ্ধে বঞ্চনার অভিযোগ করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর দাবি, এই মেলার আয়োজনে কেন্দ্রের কাছ থেকে আর্থিক সাহায্য পায় না রাজ্য সরকার। অথচ, কুম্ভমেলার জন্য দরাজহস্ত কেন্দ্র। মমতার প্রশ্ন, গঙ্গাসাগর কি দুয়োরানি?
মঙ্গলবার তিন দিনের সফরে গঙ্গাসাগরে গিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। বিকেলে মেলার প্রস্তুতি খতিয়ে দেখেন তিনি। সাগরে পৌঁছে কপিলমুনির আশ্রমে গিয়ে পুজোও দেন। এর পর সেখান থেকে ভারত সেবাশ্রম সঙ্ঘেও উপস্থিত হন মুখ্যমন্ত্রী। সাগরের সঙ্গে কুম্ভমেলার তুলনা টেনে কেন্দ্রের বিরুদ্ধে বঞ্চনার অভিযোগ তুলেছেন মমতা। তাঁর দাবি, কুম্ভমেলা আয়োজনের ক্ষেত্রে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছে কেন্দ্র। কিন্তু গঙ্গাসাগরের আয়োজনে তা হয় না। তিনি বলেন, ‘‘গঙ্গাসাগরের জন্য টাকা দেয় না কেন্দ্র। আগে এখানে (পুণ্যার্থীদের জন্য) থাকার ব্যবস্থা ছিল না। তবে এখন সব ব্যবস্থা করা হয়েছে।’’ মমতার প্রশ্ন, ‘‘কুম্ভমেলা যদি সুয়োরানি হয়, তবে গঙ্গাসাগর কি দুয়োরানি?’’
ভারত সেবাশ্রম সঙ্ঘে মুখ্যমন্ত্রী। —নিজস্ব চিত্র।
প্রসঙ্গত, গঙ্গাসাগর মেলা হবে ৮ থেকে ১৬ জানুয়ারি। অন্য দিকে, ১৪ জানুয়ারি সকাল ১১টা ৪৬ মিনিট থেকে পরের দিন ভোর ৫টা ৭ মিনিট পর্যন্ত পুণ্যস্নানের তিথি। তার আগে সাগরমেলার প্রস্তুতি চূড়ান্ত করতে শেষ মুহূর্তের কাজ চলছে। মেলার প্রস্তুতি নিয়ে মঙ্গলবার জেলা প্রশাসনের সঙ্গে বৈঠকও করবেন মুখ্যমন্ত্রী। মঙ্গলবার গঙ্গাসাগরে পৌঁছে মেলার খুঁটিনাটি সরেজমিনে খতিয়ে দেখেন তিনি। মমতার দাবি, ‘‘গঙ্গাসাগর মেলায় প্রতি বছর ২০-৩০ লক্ষ লোক হয়।’’ ওমিক্রন সংক্রমণের আবহে এই মেলায় আসা পুণ্যার্থীদের করোনাবিধি মেনে চলার জন্য পরামর্শও দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী।