সিপিএম নেতা মজিদ আলি ওরফে মজিদ মাস্টার।
বাম আমলে শাসনের শেষ কথা ছিলেন তিনি। ভেড়ি এলাকার নিয়ন্ত্রণ ছিল তাঁরই হাতে। ১০ বছর পরে নিজের এক সময়ের খাসতালুক শাসনে ফিরলেন সিপিএম নেতা মজিদ আলি ওরফে মজিদ মাস্টার।
রাজ্যে বামেরা ক্ষমতা হারানোর পরে মজিদের ভাগ্যও ঘুরতে শুরু করে। ২০১০ সালে মজিদের বাড়িতে হামলা হয়। শাসন ছাড়েন মজিদ। পরে খুনের মামলায় কারাবাসও হয়। কখনও বারাসতে পার্টি কার্যালয়ে, কখনও গোপন ডেরায়, কখনও ভাড়া বাড়িতে থেকেছেন মজিদ। বছর পাঁচেক আগে এক বার শাসনে ফেরার চেষ্টা করেছিলেন। সেই সময় তাঁর বাড়ি-গাড়িতে হামলা চালায় জনতা। ইটের ঘায়ে মাথা ফাটে মজিদের।
ইদানীং দলের কর্মসূচিতে বিশেষ দেখা যায় না আশি ছুঁই-ছুঁই নেতাকে। পড়াশোনা নিয়েই থাকেন। প্রাইভেটে পরীক্ষা দিয়ে ‘ডবল এমএ’ করেছেন। এখন রাজনীতি থেকে দূরত্ব রেখেই চলেন মজিদ। তাই গ্রামে ফিরলেও তাঁর উপরে ফের হামলার আশঙ্কা নেই বলে মনে করছেন সিপিএম নেতারা।
গত ১০ বছরে মজিদের সঙ্গে মাঝেমধ্যেই বাগ্বিতণ্ডা হয়েছে খাদ্যমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের। কখনও মজিদ হুমকি দিয়েছেন। কখনও খাদ্যমন্ত্রী বলেছেন, ‘‘মজিদ শাসনে ঢুকলে মহিলারা আঁশবঁটি নিয়ে তৈরি আছেন।’’ এ দিন মজিদের এলাকায় ফেরার ঘটনায় সিপিএম-কে কটাক্ষ করেছেন জ্যোতিপ্রিয়বাবু। তাঁর কথায়, ‘‘মজিদদের মতো লোককে দিয়ে মানুষ খুন করিয়ে শেষে ছুড়ে ফেলাই সিপিএমের রেওয়াজ!’’
মজিদ এ দিন পাল্টা কিছু বলতে চাননি। টেলিফোনে বললেন, ‘‘খেতে বসেছি। কোনও কথাই বলব না।’’ এত দিন পরে বাড়ির ভাত খেতে কেমন লাগছে? ‘‘নিজের অনুভূতি দিয়ে বুঝে নিন,’’ বলেই ফোন কেটে দেন মজিদ।