উদ্বিগ্ন: দার্জিলিঙে মুখ্যমন্ত্রী। ছবি: বিশ্বরূপ বসাক।
মাঝেরহাটে সেতু ভেঙে পড়ার খবর পেয়ে পাহাড় সফর কাটছাঁট করে আজ, বুধবারই কলকাতার বিমান ধরবেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
তিন দিনের সফরে সোমবার রাতে দার্জিলিং পৌঁছন মুখ্যমন্ত্রী। কথা ছিল, ফিরবেন বৃহস্পতিবার। মঙ্গলবার বিকেলে সেতু ভাঙার খবর পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই ফিরতে চেয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। তাঁর কনভয়ও চলে আসে মুখ্যমন্ত্রী যেখানে রয়েছেন সেই রিচমন্ড হিলে। তত ক্ষণে শুরু হয়েছে প্রচণ্ড বৃষ্টি। সন্ধ্যাবেলা পাহাড়ি রাস্তায় বৃষ্টিতে তাঁকে নামিয়ে আনার ঝুঁকি নিতে চাননি নিরাপত্তা কর্মীরা।
সন্ধের মুখে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘‘দুর্ঘটনার খবর পাওয়ার পর থেকে আমাদের মন পড়ে রয়েছে ওখানেই। চেষ্টা করেছিলাম যদি রাত সাড়ে ন’টা নাগাদও শিলিগুড়ি পৌঁছনো যায়। তা হলে বিমান ভাড়া করে রাতেই কলকাতা ফেরার চেষ্টা করতাম। কিন্তু বিমান ভাড়া পাইনি। বৃষ্টির ফলে রাস্তাও ভাল নয়। তাই বাধ্য হয়েই থেকে যেতে হচ্ছে।’’ অনেক রাত পর্যন্ত রিচমন্ড হিলের বৈঠকখানায় বসে নিরন্তর ফোনে উদ্ধারকাজ তদারকি করেন মমতা।
আরও পড়ুন: ভেঙে পড়ল মাঝেরহাট ব্রিজ, মৃত ১, জখম ১৯, ধ্বংসস্তূপ থেকে ভেসে আসছে কণ্ঠস্বর
এ দিন দুপুরে মুখ্যমন্ত্রী দার্জিলিঙে জেলাশাসকের বাংলোতে জিটিএ-র সঙ্গে বৈঠক করেন। তার পরে বিকেলে রিচমন্ড হিলে ঢোকার মুখেই সেতু ভাঙার খবর পান। সঙ্গে সঙ্গে ভিতরে ঢুকে মুখ্যসচিব মলয়কুমার দে-কে ডেকে নেন। সঙ্গে ছিলেন পূর্তমন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস এবং জিটিএ-র তত্ত্বাবধায়ক কমিটির চেয়ারম্যান বিনয় তামাং। বিনয় অবশ্য কিছু ক্ষণের মধ্যেই বেরিয়ে যান।
আরও পড়ুন: প্রকাণ্ড সেতুটা ঝুলে রয়েছে ‘ভি’-এর আকারে
তার পর থেকে মুখ্যমন্ত্রী বারবার ফোন করছেন, ফোন ধরছেন। সেতুর নীচে থেকে কাউকে উদ্ধার করা হয়েছে কি না, তা ফোন করে জানতে চান ফিরহাদ হাকিমের কাছ থেকে। একই কথা জিজ্ঞাসা করেন কলকাতার পুলিশ কমিশনারকেও।
মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘‘দুর্ঘটনাস্থলের ভিডিয়োগ্রাফি করা হয়েছে। ফরেন্সিক তদন্ত হবে।’’ তিনি জানান, আহতদের চিকিৎসার সমস্ত খরচ সরকার বহন করবে। আগে আহতদের পরিষেবা দেওয়া হবে, সমস্ত হাসপাতাল ও নার্সিংহোমকে সেই মতো নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
(শহরের প্রতি মুহূর্তের সেরা বাংলা খবর জানতে পড়ুন আমাদের কলকাতা বিভাগ।)