ফাইল চিত্র।
পুলিশের বিরুদ্ধে অতিসক্রিয়তার অভিযোগ এনে কলকাতা হাই কোর্টে মামলা দায়ের করলেন শিক্ষক ঐক্য মুক্ত মঞ্চের সাধারণ সম্পাদক মইদুল ইসলাম। তাঁর অভিযোগ, বৃহস্পতিবার রাতে বিধাননগর পুলিশের বিশাল বাহিনী বেলেঘাটা এলাকায় তাঁর বাড়িতে চড়াও হয়ে রীতিমতো তাণ্ডব চালিয়েছে। লাথিও মেরেছে দরজায়।
মইদুল নিজে শিক্ষক। রাজ্যের শিক্ষক-শিক্ষিকাদের বিভিন্ন দাবিদাওয়া নিয়ে বারে বারেই সরব হয়েছেন তিনি। নিজের বাড়িতে পুলিশের অতিসক্রিয়তার অভিযোগ নিয়ে শুক্রবার কলকাতা হাই কোর্টে বিচারপতি রাজাশেখর মান্থার এজলাসে মামলা করেন মইদুল। তাঁর আইনজীবী বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য এবং ফিরদৌস শামিম আদালতকে পুরো বিষয়টি জানান। যদিও রাজ্যের অ্যাডভোকেট জেনারেল (এজি) কিশোর দত্ত আদালতে জানান, পুলিশ গ্রেফতার করতে যায়নি। একটি মামলায় নোটিস দিতে গিয়েছিল। কিছু জিজ্ঞাসাবাদও করার ছিল। গোটা ঘটনা পুলিশের জেনারেল ডায়েরিতে নথিভুক্ত করা হয়েছে। বিচারপতি জানান, এর পরে যদি মইদুলকে গ্রেফতার করা হয়, তা হলে আদালতে জানানোর সুযোগ রয়েছে।
তবে আদালতের বাইরে মইদুলের প্রশ্ন, নোটিস দেওয়ার থাকলে বিরাট পুলিশবাহিনী কেন হাজির হয়েছিল তাঁর বাড়িতে? তিনি এক জন শিক্ষক। তিনি পুলিশের সঙ্গে সহযোগিতা করার কথা আগেও জানিয়েছিলেন।
বেলেঘাটায় শ্বশুরবাড়িতে থাকেন মইদুল। তাঁর দাবি, ‘‘বৃহস্পতিবার রাত ১১টা নাগাদ পুলিশ তাঁর শ্বশুরবাড়িতে হাজির হয়। দরজায় লাথি মেরে এবং ধাক্কা দিয়ে পুলিশ জানায়, আমার বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ আছে। গ্রেফতারের জন্য প্রয়োজনীয় নথিপত্র দেখতে চাইলে পুলিশ তা দেখাতে পারেনি। রাত ১১টা থেকে আড়াইটে পর্যন্ত বাড়ির সামনে তাণ্ডব চালিয়েছে। এ দিন সকালেও পুলিশ বাড়ি ঘিরে ছিল। আমরা কেউ বেরোতে পারিনি। আমার শ্বশুরমশাই অসুস্থ হয়ে পড়েছেন।’’
বিধাননগর পুলিশের ডিসি (সদর) সূর্যপ্রকাশ যাদব বলেন, ‘‘মইদুলকে কোনও হুমকি দেওয়া হয়নি। ওঁর বিরুদ্ধে নির্দিষ্ট অভিযোগ ছিল। পুলিশ আইন মোতাবেক কাজ করেছে।’’