প্রতীকী ছবি।
জেলার বিভিন্ন স্কুলে কন্যাশ্রী যোদ্ধা গড়ে নাবালিকা বিয়ে রুখেছিল প্রশাসন। এ বার কিশোরীবেলায় মেয়েদের কলমা পড়া রুখতে বিভিন্ন মাদ্রাসায় যোদ্ধাদের ধাঁচেই গড়ে তোলা হচ্ছে ‘মিনা মঞ্চ’।
মুর্শিদাবাদের নাবালিকা বিয়ের প্রবণতা সর্বাধিক। জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, সুতি, শমসেরগঞ্জ, আহিরণ, ফরাক্কা এলাকায় মুসলিম নাবালিকা বিয়ের হিড়িক সর্বাধিক। সেই ছোঁয়াচ লেগেছে বেলডাঙা থেকে রেজিনগর, কিংবা প্রান্তিক এলাকা ডোমকল-রানিনগরে। আপাতত বেলডাঙার একটি মেয়েদের মাদ্রাসায় মিনা মঞ্চ গড়ে প্রতিরোধের প্রস্তুতি শুরু করল জেলাপ্রশাসন।
জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, কন্যাশ্রী যোদ্ধার সাফল্যে উৎসাহিত হয়েই এ বার মাদ্রাসার মেয়েদেরও একই ভাবে সচেতন করার চেষ্টায় মিনা মঞ্চ। বেলডাঙার দেবকুন্ড শেখ আব্দুর রাজ্জাক মেমোরিয়াল গালর্স হাই মাদ্রাসায় যার হাতেখড়ি হয়েছে সদ্য। ওই মাদ্রাসার প্রধান শিক্ষিকা মুর্শিদা খাতুন বলছেন, ‘‘মেয়েদের উৎসাহ দেখে মনে হচ্ছে মিনা মঞ্চ কন্যাশ্রী যোদ্ধাদের সাফল্য ছুঁয়ে ফেলবে। গাঁ-গঞ্জ, পড়শি এমনকি দূরসম্পর্কের আত্মীয়দের মধ্যেও নাবালিকা বিয়ের খোঁজ পেলে মেয়েরা স্কুলে এসে জানাবে। খবর পেলে স্কুল কর্তৃপক্ষ স্থানীয় প্রশাসনের সাহায্য নিয়ে সেই অন্যায় রোখার চেষ্টা করবে।’’
ইতিমধ্যেই তার নজিরও রেখেছে মিনা মঞ্চ। দিন কয়েক আগে বেলডাঙার এক নাবালিকার বিয়ের তোড়জোড় চলছিল লালবাগে। খবর পেয়ে মিনা মঞ্চের কন্যারা সটান হাজির হন স্থানীয় থানায়। পুলিশ কর্মীদের জানান, বেলডাঙা থেকে লালবাগে নিয়ে গিয়ে বছর পনেরোর সেই কিশোরীর বিয়ে দেওয়া হচ্ছে। শেষ পর্যন্ত সে বিয়ে পুলিশের সাহায্যে রুখে দিয়েছে তারা। বেলডাঙা ১ ব্লকের বিডিও বিরুপাক্ষ মিত্র বলেন, ‘‘গত ছ’মাসে ২৩টা নাবালিকা বিয়ে বন্ধ হয়েছে ব্লক প্রশাসন। মাদ্রাসার মিনা মঞ্চ সেই কাজে প্রশাসনকে সাহায্য করবে।’’