ফাইল চিত্র।
ঢালাও বৃত্তি তো আছেই। মাদ্রাসা শিক্ষাকে আরও উন্নত ও আধুনিক করে তুলতে উচ্চ মাধ্যমিক পড়ুয়াদের এ বার ই-বই পড়ার সুযোগ করে দিচ্ছে রাজ্যের মাদ্রাসা শিক্ষা দফতর। সেই সঙ্গে ব্যবস্থা হচ্ছে ‘স্মার্ট ক্লাসরুম’-এরও। ওই দফতরের খবর, উচ্চ মাধ্যমিক স্তরের ১০০টি মাদ্রাসা বেছে নিয়ে আগামী মার্চের মধ্যেই ই-লাইব্রেরি গড়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে। খরচ ধরা হয়েছে এক কোটি টাকা।
মাদ্রাসা শিক্ষা দফতরের এক কর্তা জানান, রাজ্য সরকারের তথ্যপ্রযুক্তি সংস্থা ওয়েবেলকেই লাইব্রেরি তৈরির দায়িত্ব দেওয়া হচ্ছে। উচ্চ মাধ্যমিক স্তরের মাদ্রাসাগুলিতে কম্পিউটারে ই-বই পড়তে পারবেন ছাত্রছাত্রীরা। স্মার্টফোনের মাধ্যমে সেই ই-বই ডাউনলোড করা যাবে।
কী ভাবে দেওয়া হবে ই-বই?
রাজ্যের মাদ্রাসা শিক্ষা অধিকর্তা আবিদ হোসেন জানান, এখন উচ্চ মাধ্যমিকের অধিকাংশ ছাত্রছাত্রীর কাছেই স্মার্টফোন থাকে। তার মাধ্যমে মেসেজ, হোয়াটসঅ্যাপে চ্যাট বা সোশ্যাল মিডিয়ার সঙ্গে যোগাযোগ রাখা যায়। একই ভাবে স্কুলের ই-লাইব্রেরি থেকে মোবাইলে পাঠ্যবই, গল্পের বই ডাউনলোড করতে পারবেন তাঁরা। ‘‘প্রযুক্তিকে এ ভাবে পঠনপাঠনের সঙ্গে সরাসরি যুক্ত করা যাবে। পড়ুয়ারাও লাভবান হবেন,’’ বলছেন মাদ্রাসা
শিক্ষা অধিকর্তা।
শিক্ষা শিবিরের মত, ইন্টারনেটকে কাজে লাগিয়ে অনেক ভাল ভাবে পড়াশোনা করা যায়। পাঠ্যবইয়ে থাকা কোনও একটি বিষয়ে সবিস্তার তথ্য সংগ্রহের জন্য ইন্টারনেট অপরিহার্য। মোবাইলে ই-বই এবং ইন্টারনেটের সুবিধা পাওয়া গেলে পড়াশোনা আরও আকর্ষক এবং উন্নত মানের হবে। মাদ্রাসা শিক্ষা দফতরের এক শীর্ষ কর্তা জানান, সব ছাত্রছাত্রীর পাঠ্যবইয়ের বাইরে অতিরিক্ত বই কেনার ক্ষমতা থাকে না। ই-লাইব্রেরিতে তাঁরা বিভিন্ন বিষয়ের সবিস্তার তথ্য পাবেন। সেই সঙ্গে থাকছে গল্পের বইও।
মাদ্রাসা শিক্ষা দফতর সূত্রের খবর, প্রায় ২৪ কোটি টাকা খরচ করে ৩১৯টি মাদ্রাসায় স্মার্ট ক্লাসরুম গড়ে তোলা হয়েছে। দেওয়া হয়েছে কম্পিউটার, প্রজেক্টর। আরও ১৫০টি মাদ্রাসায় স্মার্ট শ্রেণিকক্ষ তৈরির কাজ শুরু হয়েছে। এ বার ২৩৭টি মাদ্রাসায় তৈরি করা হচ্ছে ল্যাব কর্নার। সপ্তম থেকে দশম পর্যন্ত চারটি শ্রেণিতে এক হাজার ল্যাব কর্নার তৈরি করা হবে বলে জানান মাদ্রাসা শিক্ষা দফতরের এক কর্তা। ম্যাগনেট, গ্লোব, বিকার, টেস্টটিউব-সহ বিজ্ঞানের
পঠনপাঠনে ব্যবহার্য সরঞ্জাম থাকবে সেখানে। প্রথম পর্যায়ে ২৩৭টি, পরের ধাপে আরও ১৫০টি মাদ্রাসায় ল্যাব কর্নার গড়া হবে। বিজ্ঞানের
প্রতি আগ্রহ আর আকর্ষণ বাড়াতেই এই উদ্যোগ।