অনুব্রত সিবিআইয়ের হাজিরা এড়িয়ে এসএসকেএম হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার পরেই ফেসবুকে প্রথম ভিডিয়োটি পোস্ট করে কটাক্ষ করেছিলেন রুদ্র। জবাবে তাঁকে কবিতা লিখে কটাক্ষ করেছিলেন মদন। কিন্তু মঙ্গলবার হাঁসখালির ঘটনা নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর বক্তৃতাকে কটাক্ষ করে আরও একটি ভিডিয়ো পোস্ট করেছিলেন এই বিজেপি নেতা। তার পরেই বুধবার তাঁকে নিয়ে গান বাঁধলেন মদন।
রুদ্রনীলকে গান করে কটাক্ষ মদনের। নিজস্ব চিত্র।
অভিনেতা তথা বিজেপি নেতা রুদ্রনীল ঘোষকে কটাক্ষ করে গান গাইলেন মদন মিত্র। বুধবার পরিবহণ ভবনে নিজের ঘরে বসেই তবলার তালে তালে গান বাঁধেন তিনি। গানের একটি পঙক্তিতেও অবশ্য রুদ্রনীলের নাম ব্যবহার করেননি কামারহাটির বিধায়ক। তবে গানটি যে রুদ্রনীলকে নিয়েই গাওয়া, তা স্বীকার করে নিয়েছেন। তবে এই গানটিকে মদনের হুমকি হিসেবেই দেখছেন বিজেপি নেতা। তাঁর কথায়, ‘‘গান কোথায়? এ তো হুমকি!’’ গানটিতে যেমন ‘চ্যাপলিন’ খ্যাত অভিনেতাকে ‘গিরগিটি’ বলে আক্রমণ করা হয়েছে। তেমনই, তাঁর বিরুদ্ধে ‘চিটিংবাজির পলিটিক্স’ করার অভিযোগ এনেছেন। রুদ্রনীল এক সময় রাজ্য সরকারের কারিগরি শিক্ষা দফতরের অধীন একটি সংস্থার চেয়ারম্যান ছিলেন। সেই সময় তিনি সেই সংস্থা থেকে বেতনও পেতেন। সে কথাও এই গানের মাধ্যমে উঠে এসেছে মদনের কণ্ঠে। গান লেখার পাশাপাশি স্বয়ং তাতে সুরও দিয়েছেন বলে জানিয়েছেন।
গানের শেষাংশে প্রাক্তন পরিবহণ মন্ত্রী গেয়েছেন, ‘‘গিরগিটিকেও হার মানাবে, রংবদলের মাস্টার। আগে থেকেই করিয়ে রাখো, হাতে পায়ে প্লাস্টার।’’ এই লাইনটিকেই মদনের হুমকি হিসেবে দেখছেন রুদ্র। তিনি বলেন, ‘‘মদন মিত্র আমার কবিতার কাউন্টারে হাত পায়ে প্লাস্টার করে দেবে বলেছেন।’’ রুদ্রর মতে এর অর্থ, শাসক সেই মার-ধর, খুন, ভয় দেখানো, রক্তপাত ঘটানোর পথেই রয়েছে। রুদ্রর বক্তব্য, তাহলে তিনিও তাঁর কবিতায় ভুল কিছু বলেননি। তিনি আরও বলেন, ‘‘চুরি, লুঠ, বালি, কয়লা পাচারে হাত পাকানো নেতারা কয়েক দিন ধরে ভদ্র সাজার মুখোশ পরার চেষ্টা করছিলেন। কিন্তু দলের অন্য নেতাদের মতো মদন মিত্রর মুখোশ অনেক তাড়াতাড়িই খুলে গেল। কারণ মুখোশ এক সময় খুলেই যায়।’’
অনুব্রত সিবিআইয়ের হাজিরা এড়িয়ে এসএসকেএম হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার পরেই ফেসবুকে প্রথম ভিডিয়োটি পোস্ট করে কটাক্ষ করেছিলেন রুদ্র। জবাবে তাঁকে কবিতা লিখে কটাক্ষ করেছিলেন মদন। কিন্তু মঙ্গলবার হাঁসখালির ঘটনা নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর বক্তৃতাকে কটাক্ষ করে আরও একটি ভিডিয়ো পোস্ট করেছিলেন এই বিজেপি নেতা। তার পরেই বুধবার তাঁকে নিয়ে গান বাঁধলেন মদন। তিনি লিখেছেন, ‘ফেসবুকেতে ফেস দেখিয়ে, কামাচ্ছ তো বেশ, যা তা বলেও পার পেয়ে যাও, (বাংলায় ) জানো কেউ দেবে না কেস।’
পাল্টা অভিনেতা রাজনীতিক রুদ্রনীল বলেন, ‘‘দলে কোণঠাসা হয়ে মদন মিত্র এখন বিকল্প পথে সংবাদমাধ্যমে ভেসে থাকতে চাইছেন। তৃণমূল নেতারা রাজ্য জুড়ে যা করে বেড়াচ্ছেন, তা রাজ্যবাসীর সঙ্গে আমিও দেখছি। এবং সেই সব বিষয় আমি আমার কবিতার মাধ্যমে তুলে ধরেছি। সে ক্ষেত্রে কোনও ব্যক্তি-আক্রমণ ছিল না। এটা আমার শিক্ষা এবং রুচিও।’’