‘কার ভাত জোটে না, দেখুন, পাশে বসুন’

লালগড়ে সাত শবরের মৃত্যু নিয়ে ইতিমধ্যেই তদন্ত শুরু করেছে রাজ্য সরকার। প্রাথমিক ভাবে অনাহারের কথা খারিজ করে দিয়েছে নবান্ন। তবে এ দিন দলীয় সভায় মমতা বলেন, ‘‘ঝাড়গ্রাম ও পুরুলিয়ার নেতাদের আরও দায়িত্ব নিয়ে কাজ করতে হবে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলতাকা শেষ আপডেট: ১৭ নভেম্বর ২০১৮ ০৩:১৫
Share:

গ্রাফিক: শৌভিক দেবনাথ।

নির্দিষ্ট করে লালগড়ের শবর-মৃত্যুর কথা বললেন না। তবে এই ঘটনা ঘিরে আলোড়নের মধ্যেই অনাহার নিয়ে দলের নেতাদের কর্তব্য স্পষ্ট করে দিলেন তৃণমূলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। শুক্রবার নেতাজি ইন্ডোরের সভায় দলের নেতা-কর্মীদের তিনি বলেন, ‘‘কারও ঘরে ভাত না-জুটলে দু’টাকা কেজি দরে চাল দিন। কার ঘরে ভাত নেই সে খবর কি আমাকে জেনে দিতে হবে?’’

Advertisement

লালগড়ে সাত শবরের মৃত্যু নিয়ে ইতিমধ্যেই তদন্ত শুরু করেছে রাজ্য সরকার। প্রাথমিক ভাবে অনাহারের কথা খারিজ করে দিয়েছে নবান্ন। তবে এ দিন দলীয় সভায় মমতা বলেন, ‘‘ঝাড়গ্রাম ও পুরুলিয়ার নেতাদের আরও দায়িত্ব নিয়ে কাজ করতে হবে। দুলাল মুর্মু (নয়াগ্রামের বিধায়ক) আমাকে বলেন, দিদি কিছু করুন। সুকুমার হাঁসদা (ঝাড়গ্রামের বিধায়ক) আপনি নজর দিন। আমি গিয়ে ভাত খাইয়ে দিয়ে আসতে পারব না।... নেতাই, লালগড়ের কে কোথায় কী করছে, সব আমি জানি।’’

সরকারি প্রকল্প রূপায়ণে দলের নেতা ও জনপ্রতিনিধিদের ভূমিকা সম্পর্কে কড়া অবস্থান নিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘‘কেউ অসুস্থ হলে দেখ। কেউ পড়াশোনা না-করতে পারলে দেখতে হবে।’’ বিধায়কদের জনসংযোগের নির্দেশ দিয়ে তৃণমূলনেত্রী বলেন,‘‘এমএলএ-রা মানুষের সঙ্গে কথা বলতে পারেন না? কথা বলবেন। কথা বললে হার্ট ভাল থাকে।’’ নেতাদের উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘‘খাটিয়ায় গিয়ে বসবেন। আমি পারলে আপনারা পারবেন না কেন? আমি তো এখনও চায়ের দোকানে গিয়ে বসি।’’

Advertisement

আরও পড়ুন: চন্দ্রবাবুর পথেই না সিবিআই-কে

(ইতিহাসের পাতায় আজকের তারিখ, দেখতে ক্লিক করুন ফিরে দেখা এই দিন।)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement