মমতার সই ছাড়াই লোকায়ুক্ত বিল বিলি

বর্তমান আইন সংশোধন করে লোকায়ুক্তের আওতা থেকে মুখ্যমন্ত্রীকে ছাড় দেওয়ার কথা বলা হয়েছিল নতুন বিলে। এখন কি আবার বিল নতুন করে ছাপানো হবে? নাকি পেশ করার দিন পিছোবে?

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ২১ জুলাই ২০১৮ ০৫:৪০
Share:

ফাইল চিত্র

লোকায়ুক্ত বিলের ভবিষ্যৎ নিয়ে অনিশ্চয়তা অব্যাহতই। বিধানসভার পরিষদীয় নেতৃত্বের কাছে বিল পাঠিয়েও আবার ফেরত নেওয়ার পরে এখন কী পদক্ষেপ হবে, সেই প্রশ্নে সরকারি পক্ষের তরফে নির্দিষ্ট কোনও তথ্য মিলছে না। সরকারি সূত্রে শুক্রবার বরং বলা হয়েছে, লোকায়ুক্ত আইনে সংশোধনী আনার ওই প্রস্তাবিত বিলে মুখ্যমন্ত্রী সই করেননি। বিলটি এনেছিল মুখ্যমন্ত্রীরই হাতে থাকা স্বরাষ্ট্র কর্মিবর্গ দফতর। সরকারি সূত্রের বক্তব্য, ‘অনবধানতা বশত’ বিলটি বিধানসভায় বিলি করে দেওয়া হয়েছিল।

Advertisement

কিন্তু সরকারি সূত্রের এই ব্যাখ্যা নিয়েও প্রশ্ন তুলছেন বিরোধী নেতারা। তাঁদের বিস্ময়, বিলের খস়ড়ায় মুখ্যমন্ত্রীর (যিনি এই ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট দফতরের মন্ত্রী) সম্মতি ছাড়াই তা ছেপে বিধানসভায় বিলি হয়ে গেলে সেটা আরও বড় কেলেঙ্কারি! তা ছাড়া, বিল আনার সময়ে রাজ্যপালের দফতর থেকেও প্রাথমিক সম্মতি লাগে। মুখ্যমন্ত্রীই সই না করে থাকলে বাকি প্রক্রিয়া ঘটে গেল কী ভাবে? এর আগে শিক্ষা দফতরের কয়েকটি বিল তৈরি করেও তুলে নেওয়া হয়েছিল। তার মধ্যে একটি বিল বিধানসভায় পেশ করেও প্রত্যাহার করা হয়েছিল। বারবার বিল নিয়ে এমন ‘বিভ্রাট’ ঘটতে থাকায় পরিষদীয় কাজকর্ম নিয়েই ক্ষুব্ধ বিরোধী শিবির।

বর্তমান আইন সংশোধন করে লোকায়ুক্তের আওতা থেকে মুখ্যমন্ত্রীকে ছাড় দেওয়ার কথা বলা হয়েছিল নতুন বিলে। এখন কি আবার বিল নতুন করে ছাপানো হবে? নাকি পেশ করার দিন পিছোবে? জবাবে পরিষদীয় মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় বলেন, ‘‘কিছুই ঠিক হয়নি। মন্তব্য করতে পারব না।’’ খড়়গপুর থেকে এ দিন মুখ্যমন্ত্রী নবান্নে ফেরার পরেই তাঁর সঙ্গে কথা বলতে গিয়েছিলেন পরিষদীয় মন্ত্রী। বিরোধী দলনেতা আব্দুল মান্নানের বক্তব্য, ‘‘মুখ্যমন্ত্রী সই করেননি অথচ বিল ছেপে, বাকি দফতর ঘুরে, বিধানসভায় আলোচনার সময় ঠিক হয়ে গেল! এমন ঘটনার তো তদন্ত হওয়া উচিত!’’

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement