প্রথম দফার ভোটের ঠিক মুখে কোচবিহারের রাসমেলা ময়দানের দখল নিয়ে বিজেপির সঙ্গে লড়াইয়ে রাজনৈতিক সৌজন্যের পরিচয় রাখল তৃণমূল। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সভার জন্য মঞ্চের সামনে বাঁধা ছাউনির কিছুটা অংশ খুলে নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে তারা।
এই ময়দানে সামনের রবিবার সভা প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর। পরের দিনই সভা মুখ্যমন্ত্রীর। চৈত্রের রোদের কথা ভেবে মুখ্যমন্ত্রীর মঞ্চের সামনে সমর্থকদের বসার জায়গার মাথার উপরের ছাউনি বাঁধার কাজ শুরু হয়ে গিয়েছিল। বিজেপির দাবি, ওই ছাউনি থাকলে, মোদীর সভার জন্য জায়গা কমে যাবে। তা নিয়ে শুরু হয় তরজা।
কোচবিহারের তৃণমূলের জেলা সভাপতি রবীন্দ্রনাথ ঘোষ বলেন, ‘‘মুখ্যমন্ত্রীর সভার জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছিলাম। বিজেপি হঠাৎ ফাঁকা দিন দেখে সেখানে প্রধানমন্ত্রীর সভার জন্য উদ্যোগী হয়েছে। তাই সৌজন্য দেখিয়েই আমরাই ছাউনি কিছুটা খুলে নিচ্ছি।’’ তৃণমূলের বক্তব্য, রবিবার বিজেপির সভা শেষ হওয়ার মাত্র কয়েক ঘণ্টার মধ্যে আবার ওই ছাউনি তৈরি করে ফেলতে হবে।
দিল্লি দখলের লড়াই, লোকসভা নির্বাচন ২০১৯
রাজনৈতিক সৌজন্যের কথা উঠে এসেছে বিজেপির মুখেও। বিজেপির জেলা নির্বাচনী কমিটির আহ্বায়ক নিত্যানন্দ মুন্সি বলেন, ‘‘আমরাও চাই না, মুখ্যমন্ত্রীর সভার বিঘ্ন ঘটুক। কিন্তু ওই ছাউনি থাকলে আমরা বস্তুত অর্ধেক মাঠই পেতাম।’’ তাই বাধ্য হয়েই তাঁরা রাসমেলা ময়দানে তৃণমূলের ছাউনি খুলে নেওয়ার অনুরোধ করেছেন বলে জানান নিত্যানন্দ। দলের জেলা সভাপতি মালতী রাভার কথায়, ‘‘পরপর সভা তো হবেই। পারস্পরিক সৌজন্য বজায় রাখাই তাই এখন দরকার।’’
জেলাশাসক কৌশিক সাহা ও জেলার এসপি অভিষেক গুপ্ত এ নিয়ে মন্তব্য করতে চাননি। তবে সূত্রের খবর, রাজনৈতিক সৌজন্যের বাতাবরণেই সমস্যা মেটার ইঙ্গিতে হাঁফ ছেড়ে বেঁচেছেন তাঁরাও।