রবিবার আলগাড়া ও গরুবাথানে দু’টি নির্বাচনী সভায় তৃণমূল ও মোর্চা নেতারা জমির অধিকারের পক্ষেই সওয়াল করেছেন।
তিন প্রজন্ম ধরে জোড়বাংলোয় বসবাস করছেন টুর অপারেটর অমিত গুরুং। এক তলা বাড়ি ভেঙে এ বছরই দোতলা করেছেন। এখনও জমির আইনি অধিকার পাননি। কারণ, আইনত জমি এখনও বন দফতরের।
শুধু অমিত নন, জিটিএ-র তথ্য বলছে পাহাড়ের ৮০%-এর বেশি মানুষ এখনও জমির অধিকার পাননি। এই সমস্যাকে সামনে রেখে ভোট প্রচার করছে মোর্চা ও তৃণমূল। বিনয় তামাং বলেন, ‘‘গোর্খাদের পরিচয়ের প্রশ্নে জমির অধিকার অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। বিজেপি এর মধ্যেই হুমকি দিয়েছে এনআরসি চালু করে ‘অনুপ্রবেশকারী’ তকমা লাগিয়ে আমাদের তাড়াবে। তাই পাহাড়বাসীদের স্বার্থে সেই জমির অধিকার নিশ্চিত করতে চাইছি।’’
জিটিএ সূত্রে খবর, পাহাড়ের জমির মালিকানা বিভিন্ন দফতরের হাতে। দার্জিলিং ও কালিম্পংয়ের একটা বড় অংশের জমি বন দফতরের নিয়ন্ত্রণে। ডিআই ফান্ডেরও প্রচুর জমি সরাসরি জেলাশাসকের তত্ত্বাবধানে আছে। এ ছাড়াও পুরসভা, ভূমি সংস্কার দফতর-সহ বিভিন্ন দফতরের নিয়ন্ত্রণেও অনেক জমি রয়েছে। ভূমি সংস্কার দফতরের সচিব পর্যায়ের এক আধিকারিক বলেন, ‘‘সমস্ত জমি একটি দফতরের নিয়ন্ত্রণে এনে তবেই নির্দিষ্ট ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে সেগুলোর আইনি অধিকার দিতে হবে।’’ জমি জরিপ করে কোথায় কোনও দফতরের কত জমি আছে এবং সেই জমিতে কারা বাড়ি করে আছে বা ব্যবসা করছে, তার সমীক্ষার ব্যাপারে রাজ্যের সঙ্গে আলোচনা হয়েছে। জমির অধিকার চাইছেন পাহাড়বাসীরাও। অমিত বলেন, ‘‘কখনও প্রশাসনের তরফে আমাদের ‘দখলদার’ বলে সরানো হলে তো আমরা আদালতেও যেতে পারব না।’’
দিল্লি দখলের লড়াই, লোকসভা নির্বাচন ২০১৯
রবিবার আলগাড়া ও গরুবাথানে দু’টি নির্বাচনী সভায় তৃণমূল ও মোর্চা নেতারা জমির অধিকারের পক্ষেই সওয়াল করেছেন। তৃণমূল নেতা এলবি রাই বলেন, ‘‘পাহাড়ের জমির সমস্যা নিয়ে আগে কাজ হয়নি। আমাদের আমলে মুখ্যমন্ত্রী স্থায়ী সমাধানের জন্য উদ্যোগী হয়েছেন।’’ বিজেপি নেতা মনোজ দেওয়ান বলেন, ‘‘রাজ্যে তো ক্ষমতায় তৃণমূল। বিনয় তামাং তাদের দোসর। তাই সমস্যার জন্য দায়ী তৃণমূল ও মোর্চাই।’’