আনকোরা রূপালীকে জেতাতে এককাট্টা তৃণমূল

রূপালীকে জেতানো তৃণমূলের সম্মানের প্রশ্ন হয়ে উঠেছে। সার্বিক ভাবে গোটা দল ঝাঁপাচ্ছে ভোট প্রচারের কায়দা-কানুন সম্পর্কে আনাড়ি রূপালীকে সাহায্য করতে। 

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা 

কৃষ্ণনগর শেষ আপডেট: ২০ মার্চ ২০১৯ ০২:৫৩
Share:

কৃষ্ণনগরে তৃণমূলের জনসভা। মঙ্গলবার। ছবি: সুদীপ ভট্টাচার্য

তিনি বয়সে নবীন, রাজনীতিতেও একেবারে আনকোরা। তাঁর রাজনীতি-প্রবেশও একেবারেই আকস্মিক। অথচ, রাজনৈতিক লড়াইয়ের ক্ষেত্রে অত্যন্ত জটিল হয়ে ওঠা রানাঘাট লোকসভা আসনে তিনিই এ বার দলনেত্রীর কালো ঘোড়া। নিহত তৃণমূল বিধায়ক সত্যজিৎ বিশ্বাসের স্ত্রী রূপালী বিশ্বাসকে রানাঘাটে প্রার্থী করে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কার্যত বিজেপিকে মাস্টারস্ট্রোক দিয়েছেন বলে অনেকে মনে করছেন। ফলে রূপালীকে জেতানো তৃণমূলের সম্মানের প্রশ্ন হয়ে উঠেছে। সার্বিক ভাবে গোটা দল ঝাঁপাচ্ছে ভোট প্রচারের কায়দা-কানুন সম্পর্কে আনাড়ি রূপালীকে সাহায্য করতে।

Advertisement

এক দিকে যেমন তাঁর লোকসভা কেন্দ্রের অন্তর্গত কৃষ্ণগঞ্জে জনসভা করছেন অনুব্রত মন্ডল তেমনই তাঁর প্রচারে ছায়ার মতো সঙ্গে রয়েছেন জেলা পরিষদের সভাধিপতি রিক্তা কুন্ডু ও চাকদহের বিধায়ক তথা মন্ত্রী রত্না ঘোষ কর। দেখা যাচ্ছে জেলা পরিষদের আর এক সদস্য বনানী দে-কেও। প্রচারে নেমে কী ভাবে জনসংযোগ করতে হবে, কার-কার সঙ্গে দেখা করতে হবে, ব্যবহার কেমন হবে সব কিছু রূপালীকে তাঁরা শিখিয়ে দিচ্ছেন বলে দলীয় সূত্রের খবর।

শুধু তাই নয়, রূপালী টিকিট পাওয়ায় যাঁর সবচেয়ে বেশি ক্ষুব্ধ হওয়ার কথা সেই তাপস মণ্ডলকে নির্বাচন প্রক্রিয়ার মধ্যে যুক্ত রাখতে তাঁকে মাথায় রেখে তৈরি করা হয়েছে নির্বাচন পরিচালনা কমিটি। দলের একাধিক নেতা জানাচ্ছেন, উদ্দেশ্য, তাপস মণ্ডলের ক্ষতে প্রলেপ দিয়ে তাঁকে নরম রাখা। বিক্ষুব্ধ হয়ে বিরোধী শিবিরের দিকে যাতে যেতে না পারেন। তৃণমূলের জেলা সভাপতি গৌরীঙ্কর দত্ত অবশ্য বলছেন, “তাপস মন্ডল আমাদের দলের সম্পদ। তাঁর অভিজ্ঞতা আমাদের প্রয়োজন। তাই তাঁকে সামনে রেখেই আমরা নির্বাচন পরিচালনা কমিটি তৈরি করব।” প্রচারের কোনও ত্রুটি, দলের অভ্যন্তরীণ কোন্দলের কোনও ফাঁক গলে বিজেপি যাতে ঢুকে না পড়তে পারে তার জন্য দিন রাত এক করছেন দলীয় নেতা-কর্মীরা।

Advertisement

তৃণমূল সূত্রের খবর, রাজনৈতিক কাজকর্মে রূপালীর জড়তা এখনও কাটেনি। অনেক চেষ্টায় সামান্য দু-চার লাইন বলতে পারছেন মাইকে। এই পরিস্থিতে দাঁড়িয়ে তাঁকে সব রকম ভাবে তৈরি করতে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে জেলার দুই পোড় খাওয়া নেত্রী রিক্তা কুন্ডু ও রত্না ঘোষ করকে। তাঁকে পুরোদস্তুর রাজনৈতিক নেত্রী হিসাবে গড়ে তোলা ও তাঁর প্রচারের গতি বাড়ানোর দায়িত্বে রয়েছেন এই দু’জন।

মঙ্গলবার কৃষ্ণগঞ্জের মাজদিয়া এলাকায় জনসভা করেন বীরভূমের জেলা সভাপতি তথা নদিয়ার পর্যবেক্ষক অনুব্রত মন্ডল। সেখানেও তিনি রূপালী বিশ্বাসকে জেতাতে সবাইকে ঝাঁপিয়ে পড়ার আহ্বান জানিয়েছেন। সেই সঙ্গে তিনি তাঁর নতুন টোটকা ‘নকুলদানা’ প্রয়োগের কথাও বলে যান।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement