ভোটের আগের দিন কালিকাপুরের পার্টি অফিসে তৃণমূল প্রার্থী মিমি চক্রবর্তী। সঙ্গে অরূপ বিশ্বাস। শনিবার। নিজস্ব চিত্র।
টেনশন। ভয়ঙ্কর টেনশন।
ভোটপ্রার্থী হিসেবে প্রথমবার নির্বাচনের আগের দিনটি এ ভাবেই এক কথায় ব্যাখ্যা করলেন যাদবপুর কেন্দ্রে তৃণমূলের তারকা প্রার্থী মিমি চক্রবর্তী।
শনিবার দিনভর বাড়ি থেকে না বেরোলেও, মিমি জানিয়েছেন, সারা দিনই ফোনে ভাঙড় থেকে বারুইপুর— কর্মীদের সঙ্গে যোগাযোগ রেখেছেন। খবর নিয়েছেন, কোথাও কোনও ‘সমস্যা’ আছে কি না। শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতিতে কোনও অসুবিধা হচ্ছে কি না। আর বিকেলের পরে বাড়ির পাশেই পার্টি অফিসে স্থানীয় নেতা কর্মীদের সঙ্গে আড্ডায় বসেন অভিনেত্রী।
আড্ডা, না কি ভোটের দিনের স্ট্র্যাটেজি নিয়ে আলোচনা? মিমির উত্তর, ‘‘একেবারেই নয়। আলাদা করে স্ট্র্যাটেজি তৈরির কোনও ব্যাপার নেই। চা সহযোগে আড্ডা মেরে টেনশন কাটানোর চেষ্টা করছি।’’ বিকেলে এই অফিসেই মিমির সঙ্গে দেখা হয়ে যায় যাদবপুর কেন্দ্রে তাঁর ‘সেনাপতি’ রাজ্যের মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাসের।
মিমি জলপাইগুড়ির মেয়ে। ভোট হয়ে গিয়েছে দ্বিতীয় দফায়। অরূপ জানিয়েছেন, আজ, রবিবার কখন কোথায় থাকবেন, তা আগে থেকে ঠিক করে রাখেননি। সকালে কোথায় কী অবস্থা হয়, তা দেখে নিয়ে পরিকল্পনা সাজাবেন। মিমিও বলেন, ‘‘সকাল থেকেই ফোনে দলের কর্মীদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখব। তাঁদের সঙ্গে কথা বলেই কখন কোথায় যাব, তা ঠিক করা হবে।’’
অরূপের দাবি, যাদবপুর কেন্দ্রে গোলমালের বিশেষ কোনও আশঙ্কা তাঁরা করছেন না। তবে বিরোধীদের দাবি, কোনও কোনও অঞ্চলে গণ্ডগোলের আশঙ্কা আছে।
সিপিএম প্রার্থী বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য জানিয়েছেন, ভোটের সকালেই তিনি ভাঙড়ে চলে যাবেন। কারণ, তাঁর কাছে খবর, সেখান গন্ডগোল হতে পারে। সকালে ভাঙড় দেখে, তার পর দিনের পরিকল্পনা করবেন। যেখান থেকে যা খবর পাবেন, সেই মতো দৌড়বেন।
বিজেপিরও দাবি, ভাঙড় অঞ্চলে অশান্তির আশঙ্কা করছেন তাঁরা। সে কারণেই এ দিন দিনভর ভাঙড়ের কর্মীদের সঙ্গে একাধিক বৈঠক করেছেন প্রার্থী অনুপম হাজরা।