পরীক্ষা চলাকালীন প্রচার তৃণমূলের। শনিবার। ছবি: সুজিত দুয়ারি।
কলেজে পরীক্ষা চলাকালীন ক্লাসে ঢুকে ভোট-প্রচারের অভিযোগ উঠল তৃণমূলের বিরুদ্ধে। শনিবার ঘটনাটি ঘটেছে অশোকনগর নেতাজি শতবার্ষিকী মহাবিদ্যালয়ে। অধ্যক্ষ সুধানাথ চট্টোপাধ্যায় কলেজে ছিলেন না। বিষয়টি খোঁজ নিচ্ছেন বলে জানিয়েছেন তিনি। ক’দিন আগে ক্যানিংয়ের কলেজে ক্লাস বন্ধ রেখে প্রচার চালানোর অভিযোগ উঠেছিল শাসক দলের বিরুদ্ধে। সেখানে অধ্যক্ষ হাজির ছিলেন।
অশোকনগরের কলেজে এ দিন শিক্ষাতত্ত্বের প্রথম বর্ষের পড়ুয়াদের দ্বিতীয় সেমেস্টারের পরীক্ষা চলছিল। পরীক্ষা শেষ হওয়ার কথা ছিল সাড়ে ১২টায়। অভিযোগ, পরীক্ষা শেষ হতে তখনও মিনিট দশেক বাকি। এমন সময়ে স্লোগান দিতে দিতে ঢোকেন পড়েন বেশ কিছু বহিরাগত যুবক। বারাসতের তৃণমূল প্রার্থী কাকলি ঘোষ দস্তিদারের সমর্থনে প্রচার চালান।
মিনিট দশেক চলে প্রচার। তাতে অনেকেই বিরক্ত হন। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক ছাত্রীর কথায়, ‘‘এই কাজটা তো পরীক্ষা শেষ হলেও করা যেত।’’ অশোকনগরের যুব তৃণমূল নেতা প্রদীপ সিংহের নেতৃত্বে কলেজে প্রচার কর্মসূচি হয়েছে। প্রদীপের দাবি, ‘‘পরীক্ষা শেষ হতে মাত্র পাঁচ মিনিট বাকি ছিল। কারও অসুবিধা হয়নি।’’
দিল্লি দখলের লড়াই, লোকসভা নির্বাচন ২০১৯
ঘটনাটি প্রকাশ্যে আসতেই সরব বিরোধী শিবির। বিজেপি নেত্রী ভাস্বতী সোম বলেন, ‘‘পরীক্ষা কেন্দ্রে ঢুকে পরীক্ষা বন্ধ করে প্রচারের ঘটনা অতীতে রাজ্যে আমরা দেখিনি। এ বার হয় তো দেখব, হাসপাতালে বা অপারেশন থিয়েটারে ঢুকেও প্রচার চালাচ্ছে তৃণমূল!’’ বিধিভঙ্গের অভিযোগ তুলে নির্বাচন কমিশনের দ্বারস্থ হবেন বলে জানিয়েছেন ভাস্বতী। এমন ঘটনা ‘শিক্ষা ব্যবস্থায় নৈরাজ্য’ বলে মনে করছেন অশোকনগরের প্রাক্তন বিধায়ক সিপিএমের সত্যসেবী কর। প্রার্থী কাকলি ফোনে বিষয়টি জেনে বলেন, ‘‘প্রচারে ব্যস্ত ছিলাম। খোঁজ নিয়ে দেখছি।’’