Lok Sabha Election 2019

প্রার্থী-কর্মীদের ডাকেই প্রচারে ফিরলেন সুশান্ত

কেন্দ্রীয় এবং রাজ্য নেতাদের নিয়ে নির্বাচনে প্রচারকদের তালিকা তৈরি করে আলিমুদ্দিন।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ১৫ মে ২০১৯ ০১:৫৯
Share:

ডায়মন্ড হারবার কেন্দ্রের প্রার্থী ফুয়াদ হালিমকে নিয়ে মঙ্গলবার ইন্দিরা বাজার থেকে বজবজ কালিপুর পর্যন্ত রোড-শোয়ে সীতারাম ইয়েচুরি। নিজস্ব চিত্র

গত কয়েক বছরে তাঁকে প্রায় ‘ব্রাত্য’ করে রেখেছিল আলিমুদ্দিন স্ট্রিট। অভিমানে তিনিও চলছিলেন দূরত্ব রেখে। এই লোকসভা ভোটের প্রচারে ফের এক সভা থেকে অন্য সভায় ছুটে বেড়াতে দেখা যাচ্ছে তাঁকে। সিপিএমের প্রার্থী এবং কর্মীদের চাপেই এ বার বাম প্রচারে অন্যতম ব্যস্ত মুখ সুশান্ত ঘোষ।

Advertisement

কেন্দ্রীয় এবং রাজ্য নেতাদের নিয়ে নির্বাচনে প্রচারকদের তালিকা তৈরি করে আলিমুদ্দিন। এ বার বিজেপি ও তৃণমূলের মেরুকরণের আবহে কঠিন লড়াইয়ের সময়ে শুধু সেই তালিকায় ভরসা রাখতে পারেননি সিপিএমের স্থানীয় নেতৃত্ব। তৃণমূল জমানায় অভিযুক্ত হয়ে যাঁকে জেল খাটতে হয়েছে, সেই প্রাক্তন মন্ত্রী সুশান্তবাবুকে দিয়েই দুই শাসক দলের বিরুদ্ধে প্রচার করাতে চেয়েছিলেন একাধিক প্রার্থীও। তাঁদের চাহিদার কথা জানার পরে দলের জেলা নেতৃত্ব তা জানিয়ে দেন আলিমুদ্দিনকে। দলের নিচু তলার মনোভাব বুঝে যাওয়ার পরে বাধা দেননি সিপিএমের রাজ্য নেতৃত্বও। রাজ্যের নানা আসনে তার পর থেকেই লাগাতার সভা-সমাবেশে করে চলেছেন গড়বেতার প্রাক্তন বিধায়ক।

পুরনো কঙ্কাল-কাণ্ডের জেরে তৃণমূলের জমানায় গ্রেফতার করা হয় সুশান্তবাবুকে। বিজেপির প্রার্থী হয়ে এখন যিনি তৃণমূলের তাড়া খাচ্ছেন, সেই ভারতী ঘোষের তখন পুলিশের উর্দি পরে কী ভূমিকা ছিল— তার প্রত্যক্ষ ভুক্তভোগী সুশান্তবাবুই। সুপ্রিম কোর্ট থেকে জামিনে মুক্ত প্রাক্তন বিধায়ককে এখনও দিন-তারিখ ধরে আদালতে ও থানায় হাজিরা দিতে হয়। পশ্চিম মেদিনীপুরে নিজের পুরনো নির্বাচনী এলাকা বা বাড়িতে যাওয়ার ক্ষেত্রেও নিষেধাজ্ঞা আছে। মামলার তারিখ অবশ্য নিয়মিত আসে না, নিষ্পত্তি দূরের কথা। অসুস্থ স্ত্রী, আইন-আদালত সামলেই চলছে তাঁর লড়াই।

Advertisement

দিল্লি দখলের লড়াই, লোকসভা নির্বাচন ২০১৯

গরম এবং বক্তৃতার চাপে ভাঙা কণ্ঠেই সুশান্তবাবু বলছেন, ‘‘ডাক পেয়েছি প্রচারের। সেইমতো যাচ্ছি, নিজের অভিজ্ঞতায় যা বুঝছি, বলছি। আরও কয়েকটা দিন বাকি। তখনও প্রচারসূচি আছে।’’ আদালতের ছাড়পত্র নিয়েই গত ১২ মে গড়বেতা গিয়েছিলেন নিজের ভোটটা দিতে। সিপিএম সূত্রের বক্তব্য, কর্মী-সমর্থকদের কাছে সুশান্তবাবুর চাহিদা এখন এমনই যে, অনেক ক্ষেত্রে তাঁকেই শেষ বক্তা রাখতে হচ্ছে।

শেষ পর্বের ভোটের আগে কলকাতা এবং আশেপাশের এলাকায় প্রচারে জোর দিচ্ছেন সিপিএমের কেন্দ্রীয় নেতারাও। দক্ষিণ কলকাতার লর্ডসের মোড়ে মঙ্গলবার সন্ধ্যায় সভা করে দলের পলিটব্যুরো সদস্য প্রকাশ কারাট যেমন বলেছেন, ‘‘বাংলায় গণতন্ত্রকে হত্যা করে লম্পট-রাজ চালাচ্ছে তৃণমূল। আবার বিজেপি ত্রিপুরায় গণতন্ত্রকে হত্যা করে বাংলায় গণতন্ত্র বাঁচানোর কথা বলছে। দু’পক্ষের এই পারস্পরিক মেরুকরণের চক্র থেকে মানুষকে বেরোতে হবে।’’ ডায়মন্ড হারবারের প্রার্থী ফুয়াদ হালিমকে নিয়ে জিঞ্জিরাবাজার থেকে কালীপুর পর্যন্ত রোড-শো এবং পরে যাদবপুরের প্রার্থী বিকাশ ভট্টাচার্যের সমর্থনে সুকান্ত সেতুর মোড়ে সভা করে তৃণমূল-বিজেপির জোড়া বিপদের কথা বলেছেন দলের সাধারণ সম্পাদক সীতারাম ইয়েচুরিও।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement