উপ নির্বাচন কমিশনার সুদীপ জৈন।—ফাইল চিত্র।
লোকসভা ভোটের প্রস্তুতি খতিয়ে দেখতে শনিবার রাজ্যে আসার কথা উপনির্বাচন কমিশনার সুদীপ জৈনের। ওই দিন বিভিন্ন রাজনৈতিক দল এবং প্রশাসনিক কর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করার কথা তাঁর।
এখনও পর্যন্ত স্থির হয়েছে, শনিবার সকাল সাড়ে ১১টা থেকে রাজ্যের স্বীকৃত ন’টি রাজনৈতিক দলের সঙ্গে আলাদা আলাদা বৈঠক করবেন সুদীপ। তার পর দুপুর থেকে বিকেল পর্যন্ত বৈঠক করবেন জেলাশাসক, পুলিশ কমিশনার এবং পুলিশ সুপারদের সঙ্গে। আর সব শেষে রাজ্যের মুখ্যসচিব মলয় দে, স্বরাষ্ট্রসচিব অত্রি ভট্টাচার্য এবং পুলিশের ডিজি বীরেন্দ্রের সঙ্গে তাঁর বৈঠক হবে। এ রাজ্যে প্রথম দু’দফায় আলিপুরদুয়ার, কোচবিহার, দার্জিলিং, জলপাইগুড়ি এবং রায়গঞ্জ কেন্দ্রে ভোট। ওই পাঁচটি জেলার প্রশাসনিক কর্তারা অবশ্য বৈঠকে থাকবেন না। আর সুদীপেরসঙ্গে বৈঠকের আগে জেলাশাসক, পুলিশ কমিশনার এবং পুলিশ সুপারদের সঙ্গে ভিডিয়ো কনফারেন্স করবেন রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী অফিসার (সিইও) আরিজ আফতাব-সহ অন্য কর্তারা।
ভোট ঘোষণা হতে না হতেই বাংলায় একাধিক অভিযোগ উঠতে শুরু করেছে। সেই সব বিষয়ে খতিয়ে দেখতে পারেন সুদীপ। কারও কারও মতে, এ বিষয়ে জবাবদিহিও চাইতে পারেন তিনি। বুধবারই বিজেপির প্রতিনিধি দল দিল্লিতে মুখ্য নির্বাচন কমিশনার সুনীল অরোরার সঙ্গে দেখা করে এ রাজ্যের ভোট প্রস্তুতি প্রসঙ্গে একগুচ্ছ অভিযোগ জানিয়ে এসেছেন। কলকাতায় প্রায় একই অভিযোগ করেছেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি সোমেন মিত্র। বিজেপির প্রতিনিধি দলের নালিশ জানানোর কিছু ক্ষণের মধ্যেই নির্বাচন সদন থেকে রাজ্যকে উপ-নির্বাচন কমিশনারের সফরের কথা জানানো হয়। যদিও কমিশনের কর্তাদের মতে, এই দুইয়ের মধ্যে যোগসূত্র খোঁজা অর্থহীন।
দিল্লি দখলের লড়াই, লোকসভা নির্বাচন ২০১৯
তবে কমিশন সূত্রের খবর, বাংলা নিয়ে যে ভাবে অভিযোগ আসতে শুরু করেছে, তাতে কমিশনের ফুল বেঞ্চ আরও এক দফা রাজ্যে আসতে পারে। তবে প্রথম বা দ্বিতীয় দফা ভোটের পরই সেই সফর হতে পারে।