লোকসভা ভোট শুরুর আগেই কলকাতা পুলিশ কমিশনার-সহ চার আইপিএসকে সরিয়েছে নির্বাচন কমিশন। সেই তালিকা আরও দীর্ঘায়িত হবে কি না, তা নিয়ে জল্পনা শুরু হয়েছে। যদিও এ বিষয়ে মুখ খুলতে নারাজ রাজ্য মুখ্য নির্বাচন অফিসার (সিইও) দফতর। তাঁদের মতে, এ বিষয়ে নির্বাচন সদন থেকে যেমন নির্দেশ আসবে, তেমনই পদক্ষেপ করা হবে।
শুক্রবার চার পুলিশ অফিসারের বদলের পরে রাজ্য পুলিশ-প্রশাসনের কর্তাদের মধ্যে জল্পনা শুরু হয়েছে, এর পরে কাউকে বদল করা হবে কি না! তবে কমিশনের একাংশের মতে, আগেভাগে এ বিষয়ে মন্তব্য করা যায় না। প্রতিটি রাজ্যের ভোট প্রক্রিয়ার সঙ্গে যুক্ত পুলিশ-প্রশাসনের কর্মী-অফিসারদের প্রতি তাঁদের নজর রয়েছে। কোনও কর্মী-অফিসারের বিরুদ্ধে অভিযোগ এলে তার সত্যতা খতিয়ে দেখে পদক্ষেপ করা হয়।
এ রাজ্যের বিভিন্ন স্তরের কর্তাদের বিরুদ্ধেও অভিযোগ জমা পড়েছে। কিন্তু কোন কর্মী বা অফিসার, তা নিয়ে মুখে কুলুপ এঁটেছে কমিশন। তাঁদের একাংশের মতে, অবাধ, শান্তিপূর্ণ ও নিরপেক্ষ করতে তারা বদ্ধপরিকর। তা করতে গিয়ে যে যে পদক্ষেপ করা প্রয়োজন, তা করা হবে। সূত্রের খবর, সেই অভিযোগের তালিকায় রাজ্য, জেলা, মহকুমা, এমনকি, থানা স্তরেও কর্মী বা অফিসারেরাও রয়েছেন বলে খবর। তবে অভিযোগ এলেই সংশ্লিষ্ট পুলিশ-প্রশাসনের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ করা হবে না, তা কয়েকদিন আগেই জানিয়েছেন রাজ্যের বিশেষ পুলিশ পর্যবেক্ষক বিবেক দুবে। তিনি জানিয়েছিলেন, শুধুমাত্র অভিযোগ করলেই হবে না। অভিযোগের স্বপক্ষে প্রমাণও দিতে হবে অভিযোগকারীকে।