Lok Sabha Election 2019

মৃতের শরীরে আঘাত ছিল না, দাবি পুলিশের

শনিবার রাতে মারা যান রমেন। রবিবার ঝাড়গ্রাম জেলার পুলিশ সুপার অরিজিৎ সিংহ জানিয়েছিলেন, মৃত্যুর কারণ নিয়ে ধোঁয়াশা রয়েছে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

ঝাড়গ্রাম শেষ আপডেট: ১৪ মে ২০১৯ ০৩:৪৫
Share:

প্রতীকী ছবি।

পরিজন ও গ্রামবাসীর অভিযোগ, প্রথমে মাথায় রডের আঘাত, তার পর মাটিতে ফেলে পরের পর লাঠির ঘায়েই প্রাণ গিয়েছে বেলিয়াবেড়ার বুথ স্তরের বিজেপি নেতা রমেন সিংয়ের। মৃতের স্ত্রী বাসন্তী সিং রবিবার রাতে স্থানীয় ১৫ জন তৃণমূল নেতা-কর্মীর বিরুদ্ধে খুনের অভিযোগও করেছেন। তবে ময়না-তদন্তের রিপোর্টের ভিত্তিতে পুলিশ দাবি করল, রমেনের শরীরের বাইরে কোথায় কোনও আঘাতের চিহ্ন ছিল না। সম্ভবত শারীরবৃত্তীয় কারণে রক্তচাপ বেড়ে গিয়ে মস্তিষ্কে অভ্যন্তরীণ রক্তক্ষরণেই এই মৃত্যু।

Advertisement

শনিবার রাতে মারা যান রমেন। রবিবার ঝাড়গ্রাম জেলার পুলিশ সুপার অরিজিৎ সিংহ জানিয়েছিলেন, মৃত্যুর কারণ নিয়ে ধোঁয়াশা রয়েছে। ময়না-তদন্তের রিপোর্ট হাতে পেলে মৃত্যুর কারণ বলা যাবে। সোমবার পুলিশ সুপার বলেন, ‘‘ময়না-তদন্তের রিপোর্ট অনুযায়ী মৃতের শরীরে কোনও আঘাতের চিহ্ন ছিল না। মৃত্যুর কারণ ‘সেরিব্রো ভাসকুলার অ্যাক্সিডেন্ট’।’’ চিকিৎসকেরা জানাচ্ছেন, ‘সেরিব্রো ভাসকুলার অ্যাক্সিডেন্ট’ হল এক ধরনের স্ট্রোক। রক্তচাপ বেড়ে গিয়ে মস্তিষ্কে অভ্যন্তরীণ রক্তক্ষরণে এ ক্ষেত্রে মৃত্যু হতে পারে। রবিবার ঝাড়গ্রাম জেলা সুপার স্পেশ্যলিটি হাসপাতালের দুই ফরেন্সিক বিশেষজ্ঞ পিনাকী চক্রবর্তী ও অনিলকুমার মুর্মু মৃতদেহের ময়না-তদন্ত করে রিপোর্ট দাখিল করেন। হাসপাতালের সুপার মলয় আদক বলেন, ‘‘ময়না-তদন্তের বিস্তারিত রিপোর্ট পুলিশকে দেওয়া হয়েছে।’’

ময়না-তদন্তের রিপোর্ট নিয়ে অবশ্য অভিযোগ তুলেছেন বিজেপি নেতৃত্ব। বিজেপির ঝাড়গ্রাম জেলা সভাপতি সুখময় শতপথী বলেন, ‘‘পুলিশের চাপে প্রকৃত ঘটনা আড়াল করতে ময়না-তদন্তের রিপোর্টে গরমিল করা হয়েছে। পুলিশ ও চিকিৎসক সবাই শাসকদলের হয়ে কাজ করছেন। আমরা নির্বাচন কমিশনের কাছে উচ্চ পর্যায়ের তদন্তের দাবি জানিয়েছি।’’ তৃণমূলের ঝাড়গ্রাম জেলা চেয়ারম্যান সুকুমার হাঁসদা পাল্টা বলেন, ‘‘পুরোটাই বিজেপি র মিথ্যাচার। ওই ব্যক্তির মৃগী রোগ ছিল বলে স্থানীয় সূত্রে জেনেছি। এলাকাকে অশান্ত করার জন্য আমাদের কর্মীদের নামে বিজেপি মিথ্যা অভিযোগ করছে।’’

Advertisement

দিল্লি দখলের লড়াই, লোকসভা নির্বাচন ২০১৯

ভোটের আগের রাতে ধবনি গ্রামের বাসিন্দা বিজেপির স্থানীয় জুনশোলা বুথের সহ-সভাপতি রমেনকে তৃণমূলের বাইক বাহিনী গ্রামে ঢুকে মারধর করে বলে অভিযোগ। পুলিশ এসে রাতেই রমেনকে উদ্ধার করে তপসিয়া গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে যায়। চিকিৎসক রমেনকে মৃত ঘোষণা করেন। ঘটনায় তৃণমূলের বিরুদ্ধে খুনের অভিযোগ তোলে বিজেপি। রবিবার রাতে বেলিয়াবেড়া থানায় অভিযোগ দায়ের করেন রমেনের স্ত্রী বাসন্তী। বেলিয়াবেড়া পঞ্চায়েত সমিতির সহ সভাপতি কালীপদ সুর-সহ ১৫ জন তৃণমূল নেতা-কর্মীর বিরুদ্ধে স্বামীকে খুনের অভিযোগ দায়ের করেছেন তিনি। পুলিশ সুপারের বক্তব্য, ‘‘অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত চলবে।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement