লোকসভা ভোটের প্রচারে রাজ্যের কোথাও যা হয়নি, কার্যত সেটাই হতে চলেছে বাঁকুড়ায়।
ঘণ্টা তিনেকের ব্যবধানে জেলার সদর শহরে সভা করতে চলেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ও মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সব কিছু ঠিকঠাক থাকলে ৯ মে, বৃহস্পতিবার বিজেপি ও তৃণমূলের শীর্ষ নেতৃত্বের সভার সাক্ষী হবে এই শহর। জোড়া সভা ঘিরে রাজনৈতিক পারদ যেমন চড়ছে, তেমনই নিরাপত্তার আয়োজন করতে কিছুটা চিন্তায় রয়েছে জেলা পুলিশ ও প্রশাসন।
জেলায় ১২ মে, রবিবার ভোট। তাই প্রচারের শেষ লগ্নে বিভিন্ন দলের শীর্ষ নেতৃত্বের যে জেলায় আসার সম্ভাবনা রয়েছে, সে অনুমান প্রশাসনের ছিল। কিন্তু প্রশাসনের একটি সূত্র জানাচ্ছে,
একই দিনে মাত্র চার কিলোমিটারের ব্যবধানে নরেন্দ্র মোদী ও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সভা করবেন, তা আগে থেকে আঁচ করা যায়নি।
বৃহস্পতিবার বেলা সাড়ে ১০টা নাগাদ বাঁকুড়া শহর সংলগ্ন কড়গাহিড়ে সভার কথা মোদীর। দুপুর
দেড়টায় বাঁকুড়া শহরের তামলিবাঁধ স্টেডিয়ামে সভা করার কথা মমতার। প্রশাসন সূত্রের খবর দুই ‘ভিভিআইপি’র নিরাপত্তা থেকে শুরু করে ভিড় সামাল দেওয়া, শহরের যান নিয়ন্ত্রণ ইত্যাদি কী ভাবে দেখভাল করা যাবে, তা নিয়ে চিন্তিত পুলিশ-প্রশাসনের কর্তারা।
বাঁকুড়ার জেলাশাসক উমাশঙ্কর এস বলেন, “একই দিনে শহরে প্রধানমন্ত্রী ও মুখ্যমন্ত্রীর সভার অনুমতি রয়েছে। সব কিছু সুষ্ঠু ভাবে
সম্পন্ন করতে কী কী ব্যবস্থা
নেওয়া হবে, তা নিয়ে চিন্তাভাবনা করছি।’’ জেলা পুলিশ সুপার
কোটেশ্বর রাও বলেন, “পুরো বিষয়টি নিয়ে জেলাশাসকের সঙ্গে বৈঠকে বসব।” জেলা পুলিশের এক কর্তার মতে, এই মুহূর্তে ভোটের জন্য বহু পুলিশ কর্মী জেলায় রয়েছেন। তাই লোকবলের অভাব হবে বলে
তাঁরা মনে করছেন না। তবে সুষ্ঠু পরিকল্পনার দরকার রয়েছে। পুলিশের হিসেব অনুযায়ী, তামলিবাঁধ স্টেডিয়ামে হাজার কুড়ি লোক ধরার কথা। কড়গাহিড়েও রয়েছে অনেক ফাঁকা জায়গা।
তৃণমূলের জেলা সভাপতি অরূপ খাঁয়ের দাবি, “মুখ্যমন্ত্রীর সভায় তামলিবাঁধ স্টেডিয়াম উপচে ভিড় হবে। জেলার অধিকাংশ বাস ভাড়া করে ফেলেছি।” আবার বিজেপির বাঁকুড়া সাংগঠনিক জেলা সভাপতি বিবেকানন্দ পাত্রও বলেছেন, ‘‘লক্ষাধিক মানুষের জমায়েত হবে প্রধানমন্ত্রীর সভায়। জেলার প্রায় সব বাস আমরাই ভাড়া করেছি।’’
আপাতত সভার টক্করে কে এগিয়ে থাকেন, সে দিকে নজর থাকবে বাঁকুড়াবাসীর।