মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়
গত সাড়ে সাত বছরে রাজ্যের উন্নয়নের খতিয়ান দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মঙ্গলবার টুইট করে তিনি জানান, তাঁরা ক্ষমতায় আসার পরে বিভিন্ন ক্ষেত্রে রাজ্যের অর্থনৈতিক উন্নয়ন কয়েক গুণ বেড়েছে। যদিও প্রতি বছর এই হিসেব তিনি দেন না। রাজনৈতিক মহলের একাংশের বক্তব্য, ভোটের কথা মাথায় রেখেই এ কাজ করেছেন মমতা।
সূত্রের খবর, ৩১ মার্চ অর্থনৈতিক বর্ষ শেষ হয়েছে বলেই এই হিসেব দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। পর পর তিনটি টুইটে তিনি লিখেছেন, ২০১০-১১ সালে রাজ্যের পরিকল্পিত আয় ছিল ১৪,৬১৫.১৬ কোটি টাকা। ২০১৮-১৯ আর্থিক বর্ষে তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৮৫,৩২৮.৫৩ কোটি টাকা। অর্থাৎ, প্রায় ৬ গুণ। পরিকাঠামো উন্নয়নে ব্যয় বেড়েছে ১১ গুণ। ২,২২৫.৭৫ কোটি থেকে ২৫,২৮৭.২০ কোটি টাকা। আর কর আদায় বেড়েছে ৩ গুণ। মুখ্যমন্ত্রীর দাবি, গত বছর কর সমস্যা মেটানোর জন্য একটি প্রকল্প ঘোষণা করেছিল রাজ্য সরকার। তার জেরে এ বছর ৩১ মার্চের মধ্যে অন্তত ২৯ হাজার কর সমস্যার সমাধান হয়েছে। কর আদায় হয়েছে প্রায় ৭৫৪ কোটি টাকা।
ঘটনাচক্রে এ দিনই ইস্তাহার প্রকাশ করেছে কংগ্রেস। সেখানে নারেগায় ১৫০ দিন কাজের প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছে। তৃণমূলের ইস্তাহারে ২০০ দিনের প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল। এ নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীকে প্রশ্ন করা হলে তাঁর প্রতিক্রিয়া, ‘‘এ বিষয়ে আমি কিছু বলব না। এটা ওদের দলের বিষয়। তবে মূল বিষয় হল প্রতিশ্রুতি পালন করা। আমরা ১০০ শতাংশের বেশি প্রতিশ্রুতি রক্ষা করেছি। আমরা চাই সবাই তা-ই করুক।’’ বিজেপি বিরোধীদের অভিন্ন ন্যূনতম কর্মসূচি প্রসঙ্গে তিনি বলেন, বিোদী নেতারা এক সঙ্গে বসে ওটা ঠিক করে ফেলবেন। এর পরেই উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথের সেনা বাহিনী সংক্রান্ত মন্তব্যের কটাক্ষ করে মমতা বলেন, ‘‘বিজেপি বেপরোয়া হয়ে গিয়েছে। সমস্ত প্রতিষ্ঠান নষ্ট করে দিচ্ছে। সেনা দেশের, কোনও দলের নয়। এরা ফ্যাসিস্ট আচরণ করছে।’’