সোমবার বেহালার দলীয় কাউন্সিলরদের নিয়ে বৈঠকে তৃণমূলের মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায় দ্রুত বুথ কমিটি তৈরির নির্দেশ দিলেন। —ফাইল চিত্র।
পুলওয়ামা-কাণ্ডের পরে দেশপ্রেমের স্লোগান দিয়ে রাত-বিরেতে বেহালায় টহল দিয়েছিল বাইক-বাহিনী। সেই ঘটনা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় স্বয়ং। কেন এলাকায় তৃণমূল-নেতৃত্ব ততটা ‘সক্রিয়’ ছিলেন না, তা নিয়েও উষ্মা প্রকাশ করেছিলেন। তারই প্রেক্ষিতে সোমবার বেহালার দলীয় কাউন্সিলরদের নিয়ে বৈঠকে তৃণমূলের মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায় দ্রুত বুথ কমিটি তৈরির নির্দেশ দিলেন। একই সঙ্গে বেহালা পূর্ব এবং বেহালা পশ্চিম এই দুই বিধানসভা কেন্দ্রে যাতে কোনও ভাবে আর দেশপ্রেমের নামে গুজব বা গোলমালের ঘটনা না ঘটে, সে ব্যাপারে বিশেষ নজর রাখতেও নির্দেশ দিয়েছেন তিনি।
বৈঠকের পরে বেহালা পশ্চিমের বিধায়ক পার্থবাবু বলেন, ‘‘নতুন কোনও ভাড়াটে এলে তাঁর সম্পর্কে খোঁজখবর নিতে এবং কেউ গুজব ছড়াচ্ছে কি না, তা নজরে রাখতে হবে। রাজ্যের উন্নয়ন-কাজ নিয়ে এলাকায় এলাকায় রাজনৈতিক কর্মসূচি করতে বলা হয়েছে।’’লোকসভা ভোটের আগে বেহালার দু’টি বিধানসভা কেন্দ্রে যাতে বিজেপি-সহ বিরোধীরা কোনও ভাবে প্রভাব বাড়াতে না পারে, সে জন্য বুথ কমিটিকে এলাকার বাড়ি বাড়ি পৌঁছে জনসংযোগ বাড়াতে নির্দেশ দিয়েছেন পার্থবাবু। এলাকার পুরনো কর্মীদের সঙ্গে সমন্বয় রেখেই কাজ করার পরামর্শ দিয়েছেন তিনি।
বেহালা পূর্ব কেন্দ্রের বিধায়ক কলকাতা পুরসভার প্রাক্তন মেয়র শোভন চট্টোপাধ্যায়। তাঁর সঙ্গে অনেক দিন ধরেই দলের দূরত্ব রয়েছে।মন্ত্রিত্ব ও মেয়র পদ থেকে ইস্তফা দেওয়ার পরে দলীয় কাজকর্মেও শোভনবাবুকে দেখা যায় না বলেই তৃণমূল অন্দরের খবর। এমনকী, তৃণমূল নেত্রীর নেতৃত্বে দলীয় সমাবেশ বা রাজনৈতিক কর্মসূচিতেও তাঁকে সে ভাবে দেখা যায় না। ফলে তাঁর বিধানসভা এলাকায় অন্য কাউকে দায়িত্ব দেওয়া হবে কি না, তা নিয়ে দলের অন্দরে গুঞ্জন রয়েছে। কারণ, দক্ষ সংগঠক হলেও দলের সঙ্গে দূরত্বের কারণে নিজের বিধানসভা কেন্দ্রেও তিনি নিয়মিত নন। ওই এলাকার দায়িত্ব কাকে দেওয়া হচ্ছে, সে প্রসঙ্গে প্রশ্নের জবাবে বৈঠকের পরে পার্থবাবু বলেন, ‘‘ওই কেন্দ্রটি আমার বিধানসভা এলাকার পাশেই। তবে একার পক্ষে দু’টি জায়গার দায়িত্ব সামলানো কঠিন। তাই ওই বিধানসভা এলাকায় ১০-১১ জনের বুথ কমিটি গড়ে তার মধ্যে এক জনকে সব ক’টি বুথ নজরে রাখার দায়িত্ব দেওয়া হচ্ছে।’’