Lok Sabha Election 2019

গণনায় আশঙ্কা বিজেপি, বামের

এ বারে কোচবিহারে লোকসভা আসনে তৃণমুল ও বিজেপির মধ্যে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই হচ্ছে বলেই মনে করছেন ভোটারদের বড় অংশ।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কোচবিহার শেষ আপডেট: ১৭ মে ২০১৯ ০৪:২৪
Share:

ইভিএম মেশিনের ফলাফল পাল্টে দেওয়ার আশঙ্কা প্রকাশ করল বিজেপি। বৃহস্পতিবার কোচবিহার ল্যান্সডাউন হলে ভোট গণনা নিয়ে সর্বদলীয় বৈঠক হয়। সেই বৈঠকের বিজেপির ন্যাশনাল কাউন্সিল সদস্য নিত্যানন্দ মুন্সি এমন আশঙ্কা প্রকাশ করেন।
নিত্যানন্দ বলেন, “ইভিএম মেশিনে যে ফল দেখাবে তা খাতায় লিখবেন দায়িত্বে থাকা কাউন্টিং সুপারভাইজার। মেশিনে প্রার্থীর পাশে ভোট সংখ্যা দেখাবে। লেখার সময় তা পাল্টে দেওয়া হতে পারে।” বৈঠকে থাকা কোচবিহারের জেলাশাসক কৌশিক সাহা থেকে প্রশাসনের আধিকারিকরা অবশ্য সঙ্গে সঙ্গে জানিয়ে দেন, সেই সুযোগ নেই। কারণ সমস্ত প্রার্থীদের কাউন্টিং এজেন্ট সেখানে থাকবে। জেলাশাসককে বিজেপি প্রতিনিধির উদ্দেশে বলতে শোনা যায়, “আপনি তো এ বারে নতুন নন। এর আগেও ইভিএম মেশিনের গণনা দেখেছেন।” নিতাইবাবু পরে বলেন, “সরকারি কর্মচারিরা এমনটা করবেন আমি তা বলিনি। কাউন্টিং এজেন্টরা সতর্ক না থাকলে এমনটা করার সুযোগ রয়েছে, সেটাই বলতে চেয়েছি।”
ওই বিষয়ে বিজেপির সঙ্গে একমত বামেরাও। সর্বদলীয় বৈঠকে উপস্থিত সিপিএমের কোচবিহার জেলা সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য মহানন্দ সাহা বলেন, “বিগত নির্বাচনগুলি দেখেই বিরোধীদের মনে এই আশঙ্কা জেগেছে। সেক্ষেত্রে আমাদের সবাইকে মানে যারা কাউন্টিং এজেন্টকে সতর্ক থাকতে হবে, যাতে এমনটা হয়।”
তৃণমূল অবশ্য দাবি করেছে, এমনটা হওয়ার কোনও সুযোগ নেই। ওই বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন কোচবিহার লোকসভা আসনের তৃণমূল প্রার্থী পরেশ অধিকারী। তিনি বলেন, “সব দলের এবং প্রার্থীর কাউন্টিং এজেন্ট থাকবেন গণনা কেন্দ্রে। সেক্ষেত্রে এমন কিছু হওয়ার সুযোগ নেই।” কংগ্রেসও ওই আশঙ্কা ঠিক নয় বলে জানিয়েছে। কংগ্রেস নেতা বিশ্বজিৎ সরকার বলেন, “সরকারি কর্মীরা এতটা নীচে নেমেছে বলে আমরা মনে করি না। তাই এমন হওয়ার সুযোগ নেই।”

Advertisement

দিল্লি দখলের লড়াই, লোকসভা নির্বাচন ২০১৯
এ দিন দুপুরে সর্বদলীয় বৈঠক হয়। সেখানে গণনা সম্পর্কে নানা তথ্য প্রার্থী এবং তাঁদের প্রতিনিধিদের সামনে তুলে ধরেন সরকারি আধিকারিকেরা। আধিকারিকেরা জানান, গণনাকেন্দ্রের সামনে তিনটি স্তরের নিরাপত্তা বেষ্টনী থাকবে। কেউ মোবাইল নিয়ে গণনাকেন্দ্রের ভেতরে প্রবেশ করতে পারবেন না। কাউন্টিং সুপারভাইজারদের পাশাপাশি গণনাকেন্দ্রে মাইক্রো পর্‍্যবেক্ষক থাকবেন। গণনাকেন্দ্রের ভেতরে বিধানসভা ভিত্তিক টেবিল থাকবে। এ ছাড়াও পোস্টাল ব্যালটের জন্য আলাদা ব্যালট থাকবে। সবমিলিয়ে একেকজন প্রার্থীর ১১৩ জন করে কাউন্টিং এজেন্ট থাকতে পারবেন গণনাকেন্দ্রে। সেক্ষেত্রে নির্দিষ্ট ফর্মপূরণ করে জমা দিতে হবে। সে সংক্রান্ত সমস্ত তথ্য জানিয়ে দেওয়া হয়েছে।
এ বারে কোচবিহারে লোকসভা আসনে তৃণমুল ও বিজেপির মধ্যে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই হচ্ছে বলেই মনে করছেন ভোটারদের বড় অংশ। তাই এ বারে কোনওরকম ভাবেই ঝুঁকি নিতে রাজি নন দুই দলের নেতা-কর্মীরা। সেদিকে তাকিয়ে এদিন বেজেপি ইভিএম নিয়ে এমন বিষয় তুলে ধরেছেন। বিজেপি সূত্রের খবর, কাউন্টিং এজেন্টদের নিয়ে বৈঠক করে ওই বিষয়ে সতর্ক করে দেবেন দলীয় নেতৃত্ব। বিজেপির এক নেতার কথায়, “কেউ যাতে বিষয়টি হালকা ভাবে না নেন, কেউই যাতে অহেতুক এদিক-ওদিক চলে না যান তা নিয়ে সতর্ক করা হবে। সবাইকে ইভিএম মেশিনের দিকেই নজর রাখতে বলা হবে।”

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement