Lok Sabha Election 2019

রিগিং, বুথলুট, মারপিট, গুলি— চতুর্থ দফাতেও রাজ্যে অশান্তি

সকালে ভোটগ্রহণ শুরু হতেই ভোটারদের অভিযোগ, কেন্দ্রীয় বাহিনী ছাড়া ভোট দেবেন না তাঁরা। এই নিয়ে বিক্ষোভ শুরু করেন। বেশ কিছুক্ষণ ধরে তাঁদের বুঝিয়েও নিরস্ত করতে না পেরে শেষে লাঠিচার্জ করেন পুলিশকর্মীরা।

Advertisement

নিজস্ব প্রতিবেদন

কলকাতা শেষ আপডেট: ২৯ এপ্রিল ২০১৯ ০৫:৫০
Share:

নানুরে লাঠিসোটা নিয়ে রাস্তায় বিজেপি সমর্থকরা। ছবি ভিডিয়ো থেকে নেওয়া

এ দিন সন্ধ্যা ছ’টা পর্যন্ত বাংলায় ৭৬.৫৯ শতাংশ ভোট পড়েছে। যার মধ্যে, বহরমপুরে ভোট পড়েছে ৭৬.১৬ শতাংশ, কৃষ্ণনগরে ভোট পড়েছে ৭৬.৫৫ শতাংশ, রানাঘাটে ৭৮.২২ শতাংশ ভোট পড়েছে, বর্ধমান পূর্বে ভোট পড়েছে ৭৬.৯২ শতাংশ। বর্ধমান-দূর্গাপুর, আসানসোল, বোলপুর এবং বীরভূমে ভোট পড়েছে যথাক্রমে ৭৬.২৯, ৭৩.৬৪, ৭৭.৯৫ এবং ৭৬.৬৯ শতাংশ করে ভোট পড়েছে।

Advertisement

অধীরের সামনেই ছাপ্পা!

বহরমপুরের কংগ্রেস প্রার্থী অধীর চৌধুরীর সামনেই ছাপ্পা ভোটের অভিযোগ উঠল তৃণমূলের বিরুদ্ধে। স্থানীয় সূত্রে খবর, বহরমপুরের কৃষ্ণনাথ কলেজের বুথে ভোট প্রক্রিয়া দেখতে যান অধীর। সেই সময়ই বুথের ভিতরে বেশ কয়েকজনকে ছিলেন। তাঁদের পরিচয় জানতে চান অধীর চৌধুরী। তার মধ্যেই তাঁরা পালিয়ে যান বুথ থেকে। কিন্তু তাঁদের ধাওয়া করে এক জনকে ধরে ফেলেন অধীরের সঙ্গে থাকা তাঁর অনুগামীরা। তাঁকে মারধর করা হয় বলেও অভিযোগ। এই নিয়ে ওই বুথে সাময়িক ভাবে ভোটগ্রহণ প্রক্রিয়া ব্যাহত হয়। অধীরের অভিযোগ, শুধু এই বুথেই নয়, বহরমপুরের বেশ কিছু বুথই এই ভাবে দখলে নিয়ে ছাপ্পা ভোট দিয়েছে রাজ্যের শাসক দল।

Advertisement

দুবরাজপুরে বুথে গুলি

বীরভূমের দুবরাজপুরে বুথে গুলি চালানোর অভিযোগ কেন্দ্রীয় বাহিনীর বিরুদ্ধে। ওই বুথের ভিতরে মোবাইল রাখা ঘিরে উত্তেজনা ছড়ায়। বিজেপি এবং তৃণমূল কর্মীদের মধ্যে বচসা, হাতাহাতি শুরু হয়। অবস্থা হাতের বাইরে চলে যাচ্ছে দেখে শূন্যে গুলি চালান এক কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ান। তার জেরে কিছুক্ষণের জন্য ভোটগ্রহণ প্রক্রিয়া ব্যাহত হয়।বন্ধ করা হয় ভোটগ্রহণ।যদিও গুলি চালনা প্রসঙ্গে কমিশের সাফাই, আত্মরক্ষায় গুলি চালানো হয়। কমিশনের তরফে আরও জানানো হয়েছে, প্রথমে বাহিনীকে লক্ষ্য করে হামলা চালায় গ্রামবাসীরা। তার পরই আত্মরক্ষার জন্য গুলি চালায় বাহিনী। ঘটনার রিপোর্ট চেয়ে পাঠিয়েছে মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিকের দফতর।

মাথা ফাটল বিজেপি কর্মীর

বীরভূম কেন্দ্রের নলহাটিতে উত্তেজনা। হাবিসপুরের বুথে তৃণমূল-বিজেপি সংঘর্ষে মাথা ফাটল এক বিজেপি কর্মীর। দু’দলের মধ্যে ব্যাপক সংঘর্ষ ছড়িয়ে পড়ে। মারপিট, হাতাহাতি শুরু হয়ে যায় দু’পক্ষের। উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়তেই লাঠিচার্জ করে দু’দলের কর্মী-সমর্থকদের ছত্রভঙ্গ করে।

লাঠিসোটা নিয়ে রাস্তায় ভোটাররা

ভোট ঘিরে নানুরে তুমুল উত্তেজনা। লাঠিসোটা নিয়ে রাস্তায় বেরিয়ে পড়েছেন বিজেপি সমর্থকরা। অভিযোগ, ভোটের আগের দিন থেকেই বিজেপি সমর্থকদের বাড়িতে ঢুকে হুমকি, শাসানি দিয়ে গিয়েছেন তৃণমূল নেতা-কর্মীরা। মারধর করা হয়েছে বলেও অভিযোগ। এরই প্রতিবাদে আজ সোমবার ভোটের দিন বিজেপি সমর্থকরা লাঠিসোটা নিয়ে রাস্তায় বেরিয়ে পড়েন। তৃণমূল কর্মীদের বাড়িতেও বিজেপি কর্মী-সমর্থকরা হামলা চালিয়ে, ভাঙচুর শুরু করেন। ঘটনার খবর পেয়ে পুলিশ ও কেন্দ্রীয় বাহিনী ওই গ্রামে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করেন। এখনও গোটা গ্রামে উত্তেজনা রয়েছে।

‘নজরবন্দি’ অনুব্রতর ভোট

নজরবন্দি অবস্থাতেই ভোট দিলেন অনুব্রত মণ্ডল। তবে বাইক বাহিনী নিয়ে তাঁর বুথে যাওয়ার অভিযোগ ঘিরে বিতর্ক ছড়িয়েছে। ভোট দেওয়ার পর তিনি বলেন, ‘‘ভোটগ্রহণ চলছে শান্তিপূর্ণ ভাবেই। খুব ভাল ভোট হচ্ছে। নজরবন্দি করলেও তাঁর কিছু যায় আসে না।’’ নজরবন্দির ফলে তাঁর ফোনও জমা দিতে হয়েছে। এ দিন ভোট দেওয়ার পর অবশ্য অনুব্রতর নির্লিপ্ত জবাব, ‘‘একটা ফোন গিয়েছে তো কী হয়েছে, হাজারটা ফোন আছে।’’

ইভিএম-এ আতর!

অভিনব কায়দায় ভোটাররা কাকে ভোট দিলেন তা চিহ্নিত করার অভিযোগ উঠল তৃণমূলের বিরুদ্ধে। অভিযোগ, মঙ্গলকোট এলাকার দু’টি বুথের ইভিএম-এ তৃণমুলের প্রতীকে আতর লাগিয়ে রাখা হয়েছে। ভোট দিয়ে বেরনোর পরই ভোটারদের আঙুল পরীক্ষা করছেন তৃণমূল কর্মীদের। অর্থাৎ আঙুলে আতরের গন্ধ রয়েছে কিনা, সেটা দেখছেন। সেটা থাকলেই ধরে নিচ্ছেন, তৃণমূলে ভোট দিয়েছেন। এ ছাড়া গত কাল রাত থেকেই তৃণমূলের দেওয়া সিগারেট ও রকমারি খাবার খেয়েছেন বলে অভিযোগ কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ান ও ভোট কর্মীদের বিরুদ্ধে।

ঘুঘনি-মুড়ির প্যাকেট!

বুথেই যেতে দেওয়া হচ্ছে না ভোটারদের। তার আগেই ঘুঘনি-মুড়ির প্যাকেট দিয়ে বাড়ি পাঠিয়ে দেওয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ তৃণমূলের বিরুদ্ধে। বোলপুর লোকসভা কেন্দ্রের মঙ্গলকোট ব্লকের মাজিগ্রাম অঞ্চলের বকুলিয়া গ্রাম বুথে (১৩২) এই অভিযোগ ঘিরে উত্তেজনা। অভিযোগ, ভোট দিতে এলেই ভোটারদের হাতে ধরিয়ে দেওয়া হচ্ছে ঘুঘনি-মুড়ির প্যাকেট। তার পর তাঁদের ফেরত পাঠিয়ে দেওয়া হচ্ছে বাড়িতে। বুথের ধারেকাছে যেতে দেওয়া হচ্ছে না। একই অভিযোগ উঠেছে নানুরের একটি বুথেও।

বাবুল সুপ্রিয়র গাড়ি ভাঙচুর

আসানসোলের বারাবনিতে তীব্র উত্তেজনা। বিজেপি-তৃণমূল সংঘর্ষের পরিস্থিতি তৈরি হয়। বারাবনির এই বুথে বিজেপির এজেন্টকে বের করে দেওয়া হয় বলে অভিযোগ। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যান আসানসোলের বিজেপি প্রার্থী বাবুল সুপ্রিয়। ওই বুথে যেতেই তৃণণূল কর্মীরা তাঁর গাড়ি ঘিরে ধরে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন। কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ান ও পুলিশকর্মীরা তাঁকে সরিয়ে নিয়ে যান। তবে তার আগেই এক তৃণমূল কর্মীর মাথা ফাটে বলে অভিযোগ। বাবুলের অভিযোগ, তৃণমূল আমাকে এক জায়গায় আটকে রাখার চেষ্টা করছে। কিন্তু আমাকে আটকাতে পারবে না। আমি সব বুথে ঘুরে বেড়াচ্ছি। যদিও তৃণমূলের পাল্টা অভিযোগ, বাবুল সুপ্রিয়র অনুগামী-সমর্থকরাই উত্তেজনার সৃষ্টি করেছেন। বুথে ঢুকে তৃণমূলের এজেন্টকে ধমাকনোর অভিযোগও উঠেছে বাবুলের বিরুদ্ধে। এই ঘটনায় বাবুলের ভূমিকা খতিয়ে দেখতে রিপোর্ট চেয়েছে রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিকের দফতর। অন্য দিকে বাবুলের গাড়ি ভাঙচুরের ঘটনারও রিপোর্ট তলব করা হয়েছে।

৩টে পর্যন্ত ভোটের হার

বিকেল ৩টে পর্যন্ত রাজ্যের আট কেন্দ্রে গড়ে ভোট পড়ল ৬৬ শতাংশ। এর মধ্যে বহরমপুর কেন্দ্রে ৬৬%, কৃষ্ণনগরে ৬৬.৫৯%, রানাঘাটে ৬৪.১৪%, বর্ধমান পূর্বে ৬৭.০৫%, বর্ধমান-দুর্গাপুরে ৬৬.৪৫%, আসানসোলে ৬২.৫১%, বোলপুরে ৬৮.৫১% এবং বীরভূম কেন্দ্রে ভোট পড়েছে ৬৬.৭৭%।

ভোট শুরু হতেই আসানসোলের জেমুয়ার ভাদুবালা স্কুলের বুথে তীব্র উত্তেজনা। বিক্ষোভকারীদের হঠাতে লাঠিচার্জ করল পুলিশ। সকালে ভোটগ্রহণ শুরু হতেই ভোটারদের অভিযোগ, কেন্দ্রীয় বাহিনী ছাড়া ভোট দেবেন না তাঁরা। এই নিয়ে বিক্ষোভ শুরু করেন। বেশ কিছুক্ষণ ধরে তাঁদের বুঝিয়েও নিরস্ত করতে না পেরে শেষে লাঠিচার্জ করেন পুলিশকর্মীরা। তবে তার মধ্যেই তৃণমূল এবং বিজেপি কর্মীদের মধ্যে হাতাহাতি, মারপিট শুরু হয়ে যায়। দফায় দফায় খণ্ডযুদ্ধে কার্যত রণক্ষেত্রের চেহারা নেয় গোটা বুথ চত্বর। ফলে ভোটগ্রহণ শুরুই হয়নি। খবর পেয়ে বিশাল পুলিশ বাহিনী, র‌্যাপিড অ্যাকশন ফোর্স এসে বেধড়ক লাঠিচার্জ করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। অভিযোগ, জেমুয়ার পাঁচটি বুথেই মাত্র এক জন করে কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ান মোতায়েন করা হয়েছিল।

দীর্ঘক্ষণ পর কমিশনের হস্তক্ষেপে শুরু হয় ভোটগ্রহণ। ভোটারদের অভিযোগ, গত কয়েক দিন ধরেই এলাকায় রুট মার্চ করেছে কেন্দ্রীয় বাহিনী। এমনকি, গতকাল রাতেও কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানরা ওই বুথের এলাকায় ছিলেন। কিন্তু সকালে ভোট দিতে এসে দেখা যায়, রাজ্য পুলিশ দিয়ে ভোট হচ্ছে। তাতেই ক্ষিপ্ত হয়ে বিক্ষোভ শুরু করেন ভোটাররা। তাঁদের অভিযোগ, কেন্দ্রীয় বাহিনী না থাকলে সুষ্ঠু ভাবে ভোট সম্ভব নয়।

চাপড়ায় ছাপ্পার অভিযোগ

ছাপ্পা ভোটের অভিযোগ ঘিরে উত্তেজনা ছড়াল নদিয়ার কৃষ্ণনগর কেন্দ্রের চাপড়ার একটি বুথে। বিজেপির অভিযোগ, ওই কেন্দ্রে তাঁদের দলের এজেন্টকে বসতে দেওয়া হয়নি। সেই সুযোগ নিয়ে অবাধে ছাপ্পা ভোট দেওয়া চলছিল। খবর পেয়ে ওই বুথে পৌঁছন বিজেপি প্রার্থী কল্যাণ চৌবে। পাশাপাশি কমিশনের আধিকারিকরাও ওই বুথে যান। অন্য দিকে বুথের মধ্যে ঢুকে মোবাইলে কথা বলার অভিযোগ উঠেছে কল্যাণের বিরুদ্ধেও।

অধীরের এজেন্টকে বাধা

সাত সকালেই ভোটগ্রহণ ঘিরে উত্তেজনা বহরমপুরে। অভিযোগ, কৃষ্ণনাথ কলেজিয়েট স্কুলে অধীর চৌধুরীর এজেন্টকে ঢুকতে বাধা দেয় তৃণমূল। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে চলে যান অধীর। তাঁর হস্তক্ষেপে এজেন্টে ঢুকতে পারেন। এই স্কুলেরই অন্য বুথে এজেন্টকে মারধর করে বাইরে বের করে দেওয়া হয়। এছাড়া বহরমপুর বিএড কলেজে ছাপ্পা ভোট দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে তৃণমূলের বিরুদ্ধে। বহরমপুরের কংগ্রেস সাংসদের অভিযোগ, রাজ্য প্রশাসনের কর্মী-অফিসারদের একাংশ তৃণমূলের হয়ে কাজ করছেন।

ইভিএম খারাপ, ফিরলেন দুধকুমার

বীরভূমের বিভিন্ন বুথে ইভিএম খারাপের অভিযোগ তুললেন জেলার বিজেপি নেতা দুধকুমার মণ্ডল। এমনকি, তিনি নিজেও ভোট দিতে গিয়ে দেখেন ইভিএম খারাপ। ফলে তাঁকে ভোট না দিয়েই ফিরে আসতে হয়। তবে তাঁর বিরুদ্ধেও অভিযোগ, বুথের মধ্যে মোবাইল নিয়ে ঢুকেছিলেন। পরে কমিশন জানিয়েছে, মোবাইল নিয়ে বুথের মধ্যে ঢোকার অভিযোগে দুধকুমার মণ্ডলকে শো-কজ করা হয়েছে।

ছাপ্পা ভোট! অপসারিত প্রিসাইডিং অফিসার

ছাপ্পা ভোটের অভিযোগ ঘিরে সরগরম বর্ধমান-পূর্ব কেন্দ্রের কেতুগ্রামের খাজি হাইস্কুলের বুথ। তৃণমূলের বিরুদ্ধে ছাপ্পা ভোটের অভিযোগ তোলেন বিরোধী এজেন্টরা। অভিযোগ, কেন্দ্রীয় বাহিনীর সামনেই ছাপ্পা ভোট দেওয়া হয়। খবর পেয়ে উপযুক্ত ব্যবস্থা নিয়েছে কমিশন। সংবাদ মাধ্যমের খবরের ভিত্তিতে ওই বুথের প্রিসাইডিং অফিসারকে সরিয়ে দিয়েছে কমিশন।

পাহাড়, তরাই-ডুয়ার্স থেকে নামতে নামতে ভোট ঢুকে পড়ল দক্ষিণবঙ্গে। তৃতীয় দফায় মুর্শিদাবাদ এবং জঙ্গিপুর কেন্দ্রের ভোট হলেও চতুর্থ দফাতেই কার্যত দক্ষিণবঙ্গে ভোটগ্রহণ পুরোপুরি শুরু হল। এই দফাতেই সবচেয়ে বেশি আটটি আসনে ভোটগ্রহণ চলছে। বীরভূমের বীরভূম ও বোলপুর, দুই বর্ধমানের বর্ধমান পূর্ব, বর্ধমান দুর্গাপুর ও আসানসোল, নদিয়ার কৃষ্ণনগর ও রানাঘাট এবং মুর্শিদাবাদের বহরমপুর কেন্দ্রের ভোটে সর্বত্র কড়া নজরদারি। প্রায় ১০০ শতাংশ বুথেই কেন্দ্রীয় বাহিনী রয়েছে বলে কমিশন সূত্রে খবর।

রাজনৈতিক দিক থেকেও এই দফার কেন্দ্রগুলি গুরুত্বপূর্ণ। অনুব্রত মণ্ডলকে নজরবন্দি করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে নির্বাচন কমিশন। বীরভূম জেলা সভাপতিকে সর্বক্ষণ নজরদারিতে রেখে কী রকম ভোট হয়, তার দিকে নজর থাকবে রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের। অধীর চৌধুরীর কেন্দ্র বহরমপুরে এ বার সিপিএম প্রার্থী দেয়নি। কংগ্রেস এবং তৃণমূল দু’দলের কাছেই এই কেন্দ্র ‘প্রেস্টিজ ফাইট’।

২০১৪ সালে এ রাজ্য থেকে দু’টি আসন জিতেছিল বিজেপি। দার্জিলিঙে সুরেন্দ্র সিংহ অহলুওয়ালিয়া এবং আসানসোলে জিতেছিলেন বাবুল সুপ্রিয়। স্বাভাবিক ভাবেই রাজনৈতিক ভাবে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এই আসানসোল কেন্দ্রে চতুর্থ দফায় ভোটগ্রহণ হচ্ছে। এই কেন্দ্রে এবার বাঁকুড়া থেকে সরিয়ে মুনমুন সেনকে প্রার্থী করেছে তৃণমূল। বাবুল-মুনমুনের ভাগ্য আজ ইভিএম বন্দি করবেন ভোটাররা।

দিল্লি দখলের লড়াই, লোকসভা নির্বাচন ২০১৯

কৃষ্ণগঞ্জের বিধায়ক সত্যজিৎ বিশ্বাস খুন হওয়ার পর তাঁর স্ত্রীকেই রানাঘাট লোকসভায় টিকিট দিয়েছে তৃণমূল। ফলে রাজনীতিতে আনকোরা রূপালি বিশ্বাস দলের কাঁধে ভর দিয়ে সংসদে পা রাখতে পারবেন কিনা, আজই ইভিএমে তার জবাব দেবেন ভোটাররা। নদিয়ার আর এক কেন্দ্র কৃষ্ণনগরে তাপস পালকে সরিয়ে তৃণমূল প্রার্থী করেছে করিমপুরের বিধায়ক মহুয়া মৈত্রকে। অন্য দিকে বিজেপির প্রার্থী প্রাক্তন ফুটবলার কল্যাণ চৌবে। গত পঞ্চায়েত ভোটে দলের ফলের সমীকরণে এই কেন্দ্রে ভাল ফলের আশায় রয়েছে বিজেপি। আবার জয়ের ব্যাপারে আত্মবিশ্বাসী তৃণমূল প্রার্থী মহুয়াও।

গ্রাফিক: শৌভিক দেবনাথ

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement