—ফাইল চিত্র।
সময় বেশি লাগলে ক্ষতি নেই। তবে নির্ভুল হতে হবে ভোটগণনা। সোমবার পশ্চিমবঙ্গের ৪২টি কেন্দ্রের রিটার্নিং অফিসারদের সতর্ক করে এমনই নির্দেশ দিয়েছেন উপ নির্বাচন কমিশনার সুদীপ জৈন। ষষ্ঠ দফায় রাজ্যের যে-আটটি লোকসভা কেন্দ্রে ভোট হয়েছে, সেখানকার রিটার্নিং অফিসারেরা অবশ্য এ দিনের বৈঠকে যোগ দিতে পারেননি।
আদর্শ ভোটগণনা কেন্দ্র কেমন হতে পারে, তারই মডেল ছিল নেতাজি ইন্ডোর স্টেডিয়াম। এ দিন সেখানে প্রায় ৪০ মিনিট ছিলেন জৈন। গণনা কেন্দ্র নিয়ে সন্তোষ প্রকাশ করেন তিনি। পরে বিকেলে প্রায় দেড় ঘণ্টার প্রশ্নোত্তর পর্বে গণনার নানান দিক রিটার্নিং অফিসারদের বুঝিয়ে দেন উপ নির্বাচন কমিশনার।
তাড়াহুড়ো করে নাগাল্যান্ডের একটি কেন্দ্রে ভোটের ফল ঘোষণা করা হয়েছিল। কিন্তু পরে দেখা যায়, সেই ফল বদলে গিয়েছে। সময় লাগলেও সেই ঘটনার যাতে কোনও রকম পুনরাবৃত্তি না-হয়, সেই বিষয়ে রিটার্নিং অফিসারদের সতর্ক করে দেন উপ নির্বাচন কমিশনার। পাশাপাশি, এ বারেই প্রথম সার্ভিস ভোটারেরা ইলেকট্রনিক্যালি ট্রান্সমিটেড পোস্টাল ব্যালট সিস্টেম (ইটিবিপিএস)-এ ভোটাধিকার প্রয়োগ করেছেন। সেই সব ভোট গোনার ক্ষেত্রে স্ক্যানার মেশিন প্রয়োজন। কারণ, একটি কোড স্ক্যান করতে হবে গণনাকর্মীদের। সেই স্ক্যানার মেশিনের সংখ্যা বাড়ানোর নির্দেশও দিয়েছেন জৈন। সেনাবাহিনী বা কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানেরাই সাধারণত সার্ভিস ভোটার হন।
দিল্লি দখলের লড়াই, লোকসভা নির্বাচন ২০১৯
কোথাও মহড়া ভোট না-মুছেই আনুষ্ঠানিক ভোট ইভিএম-বন্দি হয়ে গেলে গণনার সময় সেই বিষয়ে বাড়তি নজর দিতে হবে গণনাকর্মীদের। সে-ক্ষেত্রে মহড়া ভোটের সার্টিফিকেট বাড়তি গুরুত্ব পাবে বলে রিটার্নিং অফিসারদের জানিয়েছেন উপ নির্বাচন কমিশনার। এই সব ক্ষেত্রে সাবধানতা অবলম্বন করার পরামর্শ দিয়েছেন তিনি।
এ বারেই প্রথম সব কেন্দ্রে ইভিএমের সঙ্গে রয়েছে ভিভিপ্যাট। প্রতিটি বিধানসভা কেন্দ্রের সব বুথে ইভিএমের গণনার পাশাপাশি লটারির ভিত্তিতে বাছাই করা পাঁচটি করে বুথের ভিভিপ্যাটের গণনাও হবে। সেই জন্য অনেকটা বাড়তি সময় লাগবে বলে জানাচ্ছে কমিশন। অতিরিক্ত সিইও সঞ্জয় বসু জানান, আট-ন’ঘণ্টা বাড়তি সময় লাগবে।