উপ নির্বাচন কমিশনার সুদীপ জৈন।
রাজ্যে প্রতিটি দফাতেই হিংসার ঘটনা ঘটছে। ঝরছে রক্ত। রাজনৈতিক হিংসায় মৃত্যুও হয়েছে। এ সবের জন্য কখনও অভিযোগের আঙুল উঠছে বিজেপির দিকে, কখনও তৃণমূলকে কাঠগড়ায় তোলা হচ্ছে।
আগামী রবিবার সপ্তম দফায় রাজ্যের ৯ কেন্দ্রে ভোট। শেষ দফাতেও কী রাজ্যে হিংসার সেই ছবি ফুটে উঠবে, নাকি শান্তিপূর্ণ ভোট করাতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করা হবে? সোমবার রাজনৈতিক দলগুলির কাছ থেকে এমনই সব প্রশ্ন শুনতে হয় উপ নির্বাচন কমিশনার সুদীপ জৈনকে। তিনি নিজেও এ রাজ্যের ভোট পরিস্থিতির খবর রেখেছিলেন। তা সে কেশপুরের ঘটনাই হোক বা গোপীবল্লভপুরের খুনের ঘটনা— তাঁর কাছে কোনও ঘটনাই অজানা নয়।
কলকাতায় ঝটিকা সফরে এসে সুদীপ জৈন রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক আরিজ আফতাবের কাছে জানতে চান, কেন অশান্তি হচ্ছে, গোলমাল রুখতে কী পদক্ষেপ করা হয়েছিল?
দিল্লি দখলের লড়াই, লোকসভা নির্বাচন ২০১৯
কমিশন সূত্রে খবর, আরিজের জবাব সন্তুষ্ট করতে পারেনি সুদীপকে। সপ্তম দফায় যাতে এই ধরনের ঘটনা না ঘটে, সে বিষয়ে কড়া বার্তা দিয়েছেন। প্রয়োজনে যে সব অফিসারেরা নির্বাচনের সময় পক্ষপাতিত্ব করছেন, তাঁদের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নিতে বলেছেন। এ দিনের বৈঠকে হাজির ছিলেন রাজ্যের পুলিশ এবং প্রশাসনিক কর্তারাও। তাঁদেরকেও তিনি আইনশৃঙ্খলার বিষয়ে নিজেদের দায়িত্বের কথা মনে করিয়ে দেন।
আরও পড়ুন: ১ কোটি টাকা নিয়ে দিলীপ ঘোষের আপ্তসহায়ক ধৃত আসানসোলে
এ দিন সুদীপ জৈন সাংবাদিকদের বলেন, “নিরাপত্তা নিয়ে কোনও সমস্যা হবে না। প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করা হবে।” কমিশন সূত্রে খবর, সপ্তম দফায় ৭১০ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করা হতে পারে। ১০০ শতাংশ বুথেই যাতে বাহিনী থাকে, তারও চেষ্টা করছে কমিশন। এ দিনের বৈঠকে কংগ্রেস, বিজেপি, তৃণমূল এবং সিপিএমের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন। বিরোধীরা কমিশনের কাছে প্রশ্ন তোলে, ‘কুইক রেসপন্স টিম’ কেন্দ্রীয় বাহিনীর নিয়ন্ত্রণে রেখে আদৌ কী লাভ হয়েছে? ষষ্ঠ দফায় যেখানে গোলমাল হয়েছে, সেখানে কি পৌঁছতে পেরেছে তারা?
রাস্তা না চেনার কারণেই দেরিতে পৌঁছয় টিম, এমনটাই অভিযোগ। কমিশন সূত্রে খবর, সপ্তম দফায় নিজেদের পরিকল্পনা পাল্টে এ বার বাহিনীর নিয়ন্ত্রণে কুইক রেসপন্স টিম থাকলেও, ওই দলে রাজ্য পুলিশের এক কর্মীকে রাখা হবে বলে জানা গিয়েছে। কমিশন সূত্রে খবর, এ বার ৫১২টি ‘কুইক রেসপন্স টিম’ থাকবে।
কমিশন সূত্রে খবর, ৪৮ ঘণ্টা আগে থেকে ভোটকেন্দ্রের কাছে ক্লাবে অথবা কোনও স্থানে জমায়েত করা যাবে না। নির্বাচনে গোলমাল রুখতে পুলিশকে এ বিষয়ে লক্ষ্য রাখতে বলেছেন কমিশনের কর্তা।