‘প্রতীক চিহ্ন’ না থাকায় এক জন বিড়ম্বনায়। আর এক জনের বিড়ম্বনা বিরোধী প্রার্থী ‘মামাকে’ নিয়ে। নিজেদের ভোট দেওয়া নিয়ে এমনই টানাপড়েনে উত্তর মালদহের সিপিএম প্রার্থী বিশ্বনাথ ঘোষ এবং তৃণমূল প্রার্থী মৌসম নুর। তাঁরা উত্তরের প্রার্থী হলেও ভোটার দক্ষিণ মালদহের। আর তাতেই মুশকিলে পড়েছেন দু’জনে।
উত্তর মালদহের সিপিএম প্রার্থী বিশ্বনাথ ঘোষ দক্ষিণ মালদহের ইংরেজবাজারে সুকান্ত মোড়ের বাসিন্দা। নিবেদিতা বালিকা বিদ্যালয়ের বুথে ভোট দেন বিশ্বনাথ। বরাবর দক্ষিণ মালদহের আসন থেকে বিধানসভায় লড়াই করলেও এ বারে দল তাঁকে উত্তর মালদহ থেকে প্রার্থী করেছে। কিন্তু উত্তরে প্রার্থী দিলেও, এ বার দক্ষিণ মালদহে প্রার্থী দেয়নি বামেরা। ওই আসনটি কংগ্রেসকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। ফলে এ বারে দক্ষিণ মালদহের ইভিএমে থাকছে না ‘কাস্তে হাতুড়ি’। বাম নেতৃত্ব কংগ্রেস প্রার্থী আবু হাসেম খান চৌধুরীকেই ভোট দেওয়ার বার্তা দিয়েছেন কর্মীদের। মালদহে প্রচারে এসে ঘুরপথে এমনই বার্তা দিয়েছিলেন খোদ বামফ্রন্টের চেয়ারম্যান বিমান বসু। তিনি বলেছিলেন, দক্ষিণ মালদহে তৃণমূল ও বিজেপি বিরোধী শক্তিকে ভোট দেওয়ার জন্য দলীয় নেতা-কর্মীদের বলা হবে।
এ দিকে কংগ্রেসের বিরুদ্ধে উত্তরে লড়াই চালালেও বিশ্বনাথের ব্যক্তিগত ভোট কোথায় পড়বে তা নিয়ে জোর জল্পনা শুরু হয়েছে রাজনৈতিক মহলে। প্রতীকই নেই, কোথায় ভোট দিবেন? প্রশ্নের উত্তর দিতে গিয়ে খানিক বিব্রত বিশ্বনাথ। তিনি বলেন, “ভোট দেওয়ার বিষয়টি ব্যক্তিগত। এই নিয়ে মন্তব্য না করাই ভাল।”
তাঁর মতোই উত্তর মালদহের তৃণমূল প্রার্থী মৌসম নুরের ভোটদান নিয়েও জোর কৌতূহল তৈরি হয়েছে। দক্ষিণ মালদহের বাসিন্দা মৌসম ইংরেজবাজার ব্লকের কোতুয়ালি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ভোট দেন। আগের নির্বাচনগুলিতে তাঁর ‘ডালু মামা’-কে সঙ্গে নিয়ে ভোট দিতে দেখা গিয়েছে তাঁকে। সঙ্গে থাকতেন ইশা খান চৌধুরীও। বরকতের মাজারে শ্রদ্ধা জানিয়ে ভোট দিতে যেতেন তাঁরা। তবে এ বারে ছবিটা অন্য রকম। মৌসম কংগ্রেস ছেড়ে তৃণমূলের টিকিটে লড়াই করছেন। তাঁর বিরুদ্ধে কংগ্রেসের টিকিটে লড়ছেন ইশা। আর দক্ষিণ মালদহে কংগ্রেস প্রার্থী ডালুবাবু। তাই জল্পনা থাকলেও সে নিয়ে মুখ না খুলে মৌসম বলেন, ‘‘ভোটদানে গোপনীয়তা থাকে। আর আমি এখন তৃণমূলের প্রার্থী। কেন্দ্র আলাদা হলেও দল একই রয়েছে।”