প্রতীকী ছবি।
একের পর এক নির্বাচনে সিপিএমের রক্তক্ষরণ চলছেই। মিছিলে সে ভাবে লোক হয় না। এই অবস্থায় গয়েশপুরের গোলবাজারে সিপিএমের দলীয় কার্যালয়ের ছাদে চারটি বোমা মেলায় কিছুটা অবাক এলাকার বাসিন্দাদেরই একাংশ।
রবিবার সকালে ওই বোমা উদ্ধারের পর প্রশ্ন উঠেছে, বাম দলের এই ভাটার সময়ে বোমা এল কী ভাবে। গত পুরসভা ভোটে সিপিএম গয়েশপুরে কোনও ওয়ার্ডেই প্রার্থী দিতে পারেনি। বনগাঁ লোকসভার উপনির্বাচনে গয়েশপুরে সিপিএম গো-হারা হেরেছে। ২০১৬ সালের বিধানসভা ভোটেও গয়েশপুরে শাসকদল বিপুল ভোটে লিড দিয়েছে। ফলে ক্রমেই অপ্রাসঙ্গিক হয়ে পড়া সিপিএমের দলীয় কার্যালয়ে বোমা রেখেই বা কী হবে, উঠেছে সেই প্রশ্নও।
তৃণমূলেরই এক নেতা বলেন, ‘‘এটা শুনে প্রথমে বিশ্বাসই হয়নি। প্রথমে মনে হয়েছিল কেউ হয়ত মশকরা করছে।’’ স্থানীয় বাসিন্দাদের একাংশের ধারণা, তৃণমূলের অন্তর্দ্বন্দ্বের জন্যই ওই বোমা মজুত করা হয়েছিল। স্থানীয় সূত্রের খবর, ওই এলাকায় শাসকদলের কাজিয়া নিয়ে কোনও রাখঢাক নেই। এক দল আর এক দলের বাড়িতে কয়েকদিন ধরেই হানা দিচ্ছে। সে সব খবর ফেসবুকে ফলাও করে লেখা হচ্ছে। তাছাড়া সিপিএমের নেতা-কর্মীদের অনেকেই এখন তৃণমূলে। তাঁদেরই কেউ হয়ত ওই বোমা রেখেছেন বলে মনে করছেন বাসিন্দাদের একাংশ।
দুর্বল হয়ে পড়া দলের কার্যালয়ে বোমা মেলায় ধন্দে পুলিশও। তৃণমূল পরিচালিত গয়েশপুর পুরসভার চেয়ারম্যান মরণকুমার দে বলেন, ‘‘আমাদের দল শান্তিতে বিশ্বাসী। এর সঙ্গে তৃণমূল কেন থাকতে যাবে? মরা বাজার মাত করার জন্য সিপিএমই ও সব বোমা জোগাড় করেছে।’’