মান্নান, অরিন্দমের দোরে বিজেপি প্রার্থী

প্রচারে বেরিয়ে চালালেন রিকশাও

পায়ে হেঁটে ভোটারের বাড়ি বাড়ি পৌঁছে যাওয়ার উপরেই জোর দিচ্ছেন বিজেপির যুব মোর্চার রাজ্য সভাপতি দেবজিৎ।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেওড়াফুলি শেষ আপডেট: ৩১ মার্চ ২০১৯ ০২:৫৪
Share:

চমক: রিকশায় চালিয়ে প্রচার দেবজিেতর। নিজস্ব চিত্র

প্রতিপক্ষ তৃণমূল এবং সিপিএমের তুলনায় প্রচারে নামতে কিছুটা দেরি হয়েছে তাঁর। দলীয় সংগঠনেও নানা ফাঁকফোকর রয়েছে বলে দলের অন্দরে গুঞ্জনও কম নয়। তবে এই সব খামতি ঢেকে দিতে চেষ্টার কসুর করছেন না শ্রীরামপুর লোকসভা কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী দেবজিৎ সরকার। শনিবার প্রচারে বেরিয়ে তিনি রাজনৈতিক সৌজন্য দেখালেন। কখনও সৌজন্য সাক্ষাৎ সারলেন তৃণমূলের পুরপ্রধানের অফিসে, কখনও ঢুকে পড়লেন প্রবীণ কংগ্রেস নেতার ডেরায়।

Advertisement

পায়ে হেঁটে ভোটারের বাড়ি বাড়ি পৌঁছে যাওয়ার উপরেই জোর দিচ্ছেন বিজেপির যুব মোর্চার রাজ্য সভাপতি দেবজিৎ। এ দিন সকালে প্রচার শুরু হয় শ্রীরামপুরের নওগাঁ থেকে। ওই চত্বরেই বৈদ্যবাটীর পুরপ্রধান‌, তৃণমূল নেতা অরিন্দম গুঁইনের বাড়ি। দেবজিৎ জানতে পারেন, এ দিন অরিন্দমের জন্মদিন। পুরপ্রধান তখন বাড়ির কার্যালয়ে বসেছিলেন। দেবজিৎ সেখানে ঢুকে পড়েন। অরিন্দমকে জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানান। অরিন্দম ধন্যবাদ জানান। দু’জনে করমর্দন করেন। যাওয়ার সময় পুরপ্রধানকে বিজেপির আইনজীবী-প্রার্থী বলে যান, ‘‘আমাদের একটু দেখবেন।’’ পুরপ্রধান ঈষৎ হেসে তাঁকে বিদায় জানান।

ঘুরতে ঘুরতে দেবজিৎ হাজির হন শেওড়াফুলি স্টেশন সংলগ্ন জায়গায় কংগ্রেস নেতা তথা বিরোধী দলনেতা আব্দুল মান্নানের দলীয় কার্যালয়ে। পাঁয়ে হাত দিয়ে মান্নানকে প্রণাম করেন। আশীর্বাদ চান। মান্নান তাঁকে শুভেচ্ছা জানান। বসতে বলেন। চা খাবেন কি না জিজ্ঞাসা করেন। প্রচারে তাড়া থাকায় দেবজিৎ অবশ্য বেশিক্ষণ বসেননি।

Advertisement

দেবজিতের কথায়, ‘‘এ রাজ্যে সৌজন্যের রাজনীতি হারিয়ে গিয়েছে। মানুষ কে কোন পন্থী হবেন, সেটা তাঁর ব্যাপার। কিন্তু সৌজন্যবোধ তো থাকা দরকার। মান্নানদা বহু পুরনো নেতা। পিতৃতুল্য। তাই আশীর্বাদ নিয়ে গেলাম।’’ মান্নানের কথায়, ‘‘আমিও প্রার্থী হিসেবে বিরোধীদের বাড়িতে এমনকী বিপক্ষ প্রার্থীর কাছেও ভোট চেয়েছি। এটা প্রচারের অঙ্গ। সেই হিসেবেই উনি এসেছিলেন। শুভেচ্ছা জানিয়েছি।’’ আর অরিন্দমের প্রতিক্রিয়া, ‘‘উনি প্রচারের খাতিরে এসেছিলেন।’’

দিন কয়েক আগে সিপিএম প্রার্থী তীর্থঙ্কর রায় শ্রীরামপুরের পুরপ্রধান, তৃণমূলের অমিয় মুখোপাধ্যায়ের (দু’জনেই মাহেশের বাসিন্দা) বাড়িতে গিয়েছিলেন প্রচারে।

প্রচারে নিবিড় জনসংযোগের চেষ্টা করেন দেবজিৎ। বৈদ্যবাটী পুরসভার ১১ নম্বর ওয়ার্ডে নেতাজি বিদ্যামন্দিরের কাছে এক রিকশাচালকের অনুরোধে তিনি রিকশায় বসেন। পরক্ষণেই নেমে এসে রিকশাচালককে রিকশায় উঠে বসার অনুরোধ করেন দেবজিৎ। চালক হাসিমুখে চেপে বসেন। তাঁকে বসিয়ে নিজে রিকশা চালাতে শুরু করেন। কুমোরের ঘরে বসে মাটির ভাঁড় তৈরির চেষ্টাও করলেন বিজেপির আইনজীবী প্রার্থী।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement