অশান্তির খবর পেয়ে বুথের পথে বাবুল সুপ্রিয়। —নিজস্ব চিত্র।
তাঁর গাড়ি ভাঙচুর হলেও বাবুল সুপ্রিয়র বিরুদ্ধেও অভিযোগ ছিল, বুথে ঢুকে প্রিসাইডিং অফিসারকে হুমকি দেওয়ার। তার ভিত্তিতেই এ বার আসানসোলের বিজেপি প্রার্থীর বিরুদ্ধে এফআইআরের নির্দেশ দিল নির্বাচন কমিশন। বারাবনির ১৯৯ নম্বর বুথে বিজেপির এজেন্টকে বের করে দেওয়ার অভিযোগ ওঠে। খবর পেয়ে বাবুল সুপ্রিয় ওই বুথে যান। বুথে ঢুকে প্রিসাইডিং অফিসার এবং তৃণমূলের এজেন্টকে হুমকি দেওয়ার অভিযোগ ওঠে তাঁর বিরুদ্ধে। পাল্টা তাঁর গাড়িতে তৃণমূল কর্মী-সমর্থকরা ভাঙচুর চালান বলে অভিযোগ ওঠে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে খবর, ভোটগ্রহণ শুরু হওয়ার পর থেকেই বারাবনির কাশীডাঙা এলাকায় ১৯৯/২৮৩ নম্বর বুথে উত্তেজনা ছিল। বিজেপি নেতারা অভিযোগ তোলেন, তাঁদের এজেন্টকে মারধর করে বের করে দেওয়া হয়। সেই সুযোগে ছাপ্পা ভোট দেওয়ার অভিযোগও ওঠে তৃণমূলের বিরুদ্ধে। যদিও তৃণমূলের পাল্টা অভিযোগ, ওই বুথে বিজেপির এজেন্টই ছিল না।
খবর পেয়ে ওই বুথে যান আসানসোলের বিজেপি প্রার্থী বাবুল সুপ্রিয়। সেই সময়ই ওই বুথে ব্যাপক উত্তেজনা ছড়ায়। বাবুলের বিরুদ্ধে পাল্টা অভিযোগ ওঠে, বুথের ভিতরে ঢুকে তৃণমূলের এজেন্টকে ধমকেছেন। এই নিয়ে দু’পক্ষের মধ্যে তুমুল উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে।
আরও পড়ুন: ইভিএম-এর বোতামে আতর! ভোট দিয়ে বেরোলেই আঙুল শুঁকছেন তৃণমূল কর্মীরা
এর পর বাবুল বুথের বার হতেই তাঁর গাড়ি ঘিরে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন তৃণমূল কর্মী-সমর্থকরা। বাবুল জেড ক্যাটেগরির নিরাপত্তা পান। তাঁর নিজস্ব নিরাপত্তারক্ষী এবং বুথে মোতায়েন পুলিশকর্মীরা তাঁকে সরিয়ে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেন। শুরু হয় ধস্তাধস্তি। এই উত্তেজনার মধ্যেই তৃণমূল কর্মীরা বাবুলের গাড়িতে ভাঙচুর চালান বলে অভিযোগ। গাড়ির পিছনের দিকের কাচ ভেঙে যায়।
আরও পড়ুন: লাইভ: দুবরাজপুরে বিজেপি-তৃণমূল সংঘর্ষ, শূন্যে গুলি কেন্দ্রীয় বাহিনীর
দিল্লি দখলের লড়াই, লোকসভা নির্বাচন ২০১৯
পরে বাবুল বলেন, ‘‘আমাকে একটা জায়গায় আটকে রাখার চেষ্টা করছে তৃণমূল। কিন্তু সেটা আমি হতে দেব না। আমি সব জায়গায় ঘুরব।’’ তাঁর বিরুদ্ধে তৃণমূল এজেন্টকে হুমকির অভিযোগও উড়িয়ে দিয়েছেন বাবুল।যদিও কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ খতিয়ে দেখতে রিপোর্ট চেয়েছে রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিকের দফতর। অন্য দিকে বাবুলের গাড়ি ভাঙচুরের ঘটনারও রিপোর্ট তলব করা হয়েছে।
ঘটনার পরই সংশ্লিষ্ট নির্বাচনী আধিকারিকের কাছে রিপোর্ট চেয়ে পাঠিয়েছিল মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিকের দফতর। সেই রিপোর্ট খতিয়ে দেখেই এফআইআর দায়েরের নির্দেশ দিয়েছে কমিশন।