বিজেপির পশ্চিমবঙ্গের পর্যবেক্ষক অরবিন্দ মেনন। —ফাইল চিত্র।
বিজেপির পশ্চিমবঙ্গের পর্যবেক্ষক অরবিন্দ মেননের উপর চড়াও হওয়ার অভিযোগ উঠল তৃণমূলের বিরুদ্ধে। বিজেপি কর্মীদের উপরেও হামলা করা হয় বলে অভিযোগ। সোমবার রাত ৮ টা নাগাদ এনজেপি স্টেশন লাগোয়া একটি হোটেলের ঘটনা। ঘটনার পরে অরবিন্দ মেনন ও উত্তরবঙ্গের বিজেপির পর্যবেক্ষক রথীন বসুকে নিরাপত্তা দিয়ে ওই এলাকা থেকে বের করে নিয়ে যায় পুলিশ। তাদের সঙ্গে ছিল কেন্দ্রীয় বাহিনীও।
এ দিন রাতেই কমিশনের কাছে অভিযোগ দায়ের করেন বিজেপি নেতারা। শিলিগুড়ি পুলিশ কমিশনারেটের এক কর্তা জানান, ঘটনার খবর পেয়ে এলাকায় পুলিশ গিয়েছিল।
বিজেপি নেতাদের দাবি, এনজেপির কাছে ওই হোটেলে ডাবগ্রাম-ফুলবাড়ি এলাকার সাংগঠনিক বৈঠক চলছিল। তার মধ্যেই তৃণমূলের কিছু সমর্থক ঢুকে বৈঠক করা যাবে না বলে হুমকি দেন, অভিযোগ বিজেপির।
দিল্লি দখলের লড়াই, লোকসভা নির্বাচন ২০১৯
বৈঠকে অরবিন্দ মেনন, রথীন বসু ছাড়াও ছিলেন এলাকার বিজেপি নেত্রী শিখা চট্টোপাধ্যায়। তাঁদের অশালীন ভাষায় গালিগালাজ করা হয় বলে অভিযোগ। দু’পক্ষের বচসা শুরু হলে জড়ো হয়ে যান অনেকে। বিজেপি কর্মীদের কয়েকজন তৃণমূলের তাড়া খেয়ে একটি ছোট গাড়িতে করে পালিয়ে যান বলেও অভিযোগ। কিন্তু হোটেলে আটকে পড়েন মেনন ও আরও কয়েকজন নেতা। তখন খবর যায় পুলিশের কাছে।
কেন্দ্রীয় বাহিনী নিয়ে এলাকায় আসে পুলিশ। ঘটনাস্থলে আসেন কমিশনারেটের ডিসি (পূর্ব) গৌরব লালও। পরে ভিড় সরিয়ে মেনন ও বিজেপি নেতাদের কয়েকজনকে নিরাপদ দূরত্ব পর্যন্ত এগিয়ে দেয় পুলিশ। অরবিন্দ বলেন, ‘‘আজ যা হল, তা আর বলার নয়। মানুষ এর জবাব দেবে ব্যালটে।’’
আইএনটিটিইউসি নেতা প্রসেনজিৎ রায়ের নেতৃত্বে এই ঘটনা ঘটেছে বলে দাবি করেছে বিজেপি। যদিও এই দাবি অস্বীকার করেছেন প্রসেনজিৎ। তিনি বলেছেন, ‘‘আমি এলাকায় ছিলাম না। আমাদের ছেলেরা জানাল, হোটেলের পাশেই আমাদের দলীয় কার্যালয়। কিছু অপরিচিত লোকজন সেখানে ভিড় করেছিল। তা প্রাথমিক ভাবে ছেলেরা জানত না বলেই কিছুটা ঝামেলা হয়েছিল। তবে কাউকেই মারধর করা হয়নি।’’