ছবি— ভিডিয়ো থেকে নেওয়া।
নির্বাচন কমিশনের নিষেধাজ্ঞাকে পাশ কাটিয়ে আবার সোশ্যাল মিডিয়ায় ব্যঙ্গাত্মক ভিডিয়ো তৃণমূলের।
কিছুদিন আগেই তৃণমূলের সমর্থনে তৈরি এক নতুন র্যাপ হু হু করে ভাইরাল হয়েছিল সোশ্যাল মিডিয়ায়। সেই রেশ কাটার আগেই ফের আর একটি ভিডিয়ো সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হওয়ার পথে।
গত বার আমেরিকার বস্টন থেকে ‘এই বিজেপি আর না’— এই র্যাপ সোশ্যাল মিডিয়ায় আপলোড করা হয়েছিল। তাতে কটাক্ষের সঙ্গে এবং শ্লেষের সঙ্গে মোদীকে দেখানো হয়েছিল। সেই ভিডিয়ো নির্বাচন কমিশনের কাছ থেকে ছাড়পত্র পাওয়ার সম্ভাবনাও কম। সে কারণে ভিডিয়োটিকে সরকারি ভাবে নিজেদের বলে তৃণমূল দাবি করেনি। যদিও তৃণমূল সূত্রে খবর, তৃণমূলের সমর্থক বা শুভানুধ্যায়ীরাই ওই ভিডিয়োটি বাজারে ছেড়েছিল। আর এ বার ২৪ ঘণ্টা আগে হংকং থেকে আপলোড করা হয়েছে আর একটি ব্যঙ্গাত্মক ভিডিয়ো। যা ইতিমধ্যেই ভাইরাল হওয়ার পথে।
কিন্তু কে আপলোড করলেন এই ভিডিয়ো?
নাম উঠে এসেছে জনৈক ক্রিস জোনস নামে একজনের। তৃণমূল সূত্রে খবর, বছর ৫৫-এর এই ক্রিস জোনসের জন্ম এবং পড়াশোনা কলকাতাতেই। এখন বিদেশে চাকরি করেন। ইনি তৃণমূলের একজন শুভানুধ্যায়ী বলেও খবর।
দিল্লি দখলের লড়াই, লোকসভা নির্বাচন ২০১৯
আরও পড়ুন: রামনবমীর মিছিলে অস্ত্র হাতে দিলীপ, বিধি ভঙ্গের অভিযোগে কমিশনে যাচ্ছে তৃণমূল
বিজেপিকে তীব্র কটাক্ষ এবং আক্রমণ করে ছড়ানো এই নতুন ভিডিয়ো নিয়ে রীতিমতো ক্ষুব্ধ রাজ্য বিজেপির নেতারা। রাজ্য বিজেপির প্রশ্ন, বাবুল সুপ্রিয়র ভিডিয়ো নিয়ে তৃণমূল প্রশ্ন তুলেছিল। কমিশনে নালিশও জানিয়েছিল। তা হলে তৃণমূল এমন ভিডিয়ো ছাড়াল কী ভাবে?
বিষয়টি নিয়ে সরাসরি কোনও তৃণমূল নেতা মুখ খোলেননি। তবে রাজ্যসভায় তৃণমূলের দলনেতা তথা দলের সোশ্যাল মিডিয়া সেলের অন্যতম অভিভাবক ডেরেক ও’ব্রায়েন বলেন, ‘‘আমরা যে মিউজিক ভিডিয়ো দলের তরফ থেকে প্রকাশ করেছি সেটা নির্বাচন কমিশনের অনুমোদন নিয়েই করেছি। আরও একটা গান প্রকাশিত হবে। সেটাও অনুমোদন নিয়েই হবে। যে ভিডিয়োর কথা আপনি বলছেন, সেটা দলের তরফ থেকে প্রকাশ করা হয়নি। দেশে এবং বিদেশে তৃণমূলের অনেক শুভানুধ্যায়ী রয়েছেন, তাঁরাই হয়তো এই ভিডিয়ো বানিয়ে থাকতে পারেন। কিন্তু, কে করেছেন আমি জানি না।’’
আরও পড়ুন: সোশ্যাল মিডিয়ায় পাল্টা ধাক্কা তৃণমূলের, হু হু করে ভাইরাল র্যাপ ভিডিয়ো
যেহেতু সোশ্যাল মিডিয়ায় কোনও ভিডিয়ো আপলোড করার ব্যাপারে (যেগুলি বিজ্ঞাপন নয়) কমিশনের অনুমোদন নেওয়ার প্রয়োজন হয় না। আইনের সেই ফাঁক দিয়ে গলে যেতে পারে এই ভিডিয়ো। যেমন আইনের এই ফাঁকটিকে ব্যবহার করে বিজেপির তরফে বাবুল সুপ্রিয় প্রথমে একটি ভিডিয়ো তৈরি করেছিলেন। কিন্তু, তার পর আইনের একই ফাঁককে কাজে লাগিয়ে তৃণমূলের তরফে ভিডিয়ো প্রকাশ করা হচ্ছে, বিজেপিকে কটাক্ষ করে। বিজেপি প্রথমে যে পথ দেখিয়েছিল সেই পথেই যে তৃণমূল হাঁটবে এবং একের পর এক ভিডিয়ো প্রকাশ করে বিজেপিকে বেকায়দায় ফেলার চেষ্টা করবে, তা বোধ হয় বাবুল সুপ্রিয়রা আঁচ করতে পারেননি।
(দুই চব্বিশ পরগনা, হাওড়া ও হুগলি, নদিয়া-মুর্শিদাবাদ, সহ দক্ষিণবঙ্গের খবর, পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন জেলা খবর, বাংলার বিভিন্ন প্রান্তের খবর পেয়ে জান আমাদের রাজ্য বিভাগে।)