Lok Sabha Election 2019

বাড়ছে নিরাপত্তা, চতুর্থ দফায় ৫৬১ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী

কমিশন সূত্রের খবর, চতুর্থ দফার আটটি কেন্দ্রের পরিস্থিতি পর্যালোচনায় গত বৃহস্পতিবার রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক (সিইও) এবং অন্য পর্যবেক্ষকদের সঙ্গে এ নিয়ে ভিডিয়ো-বৈঠক করেছেন উপ-নির্বাচন কমিশনার সুদীপ জৈন। 

Advertisement

জগন্নাথ চট্টোপাধ্যায়

কলকাতা শেষ আপডেট: ২৮ এপ্রিল ২০১৯ ০১:৩৯
Share:

প্রতীকী ছবি।

চতুর্থ দফার ভোটে নিরাপত্তা আরও বাড়াচ্ছে নির্বাচন কমিশন। কাল, সোমবার মুর্শিদাবাদ, নদিয়া, বীরভূম, পূর্ব ও পশ্চিম বর্ধমানের মোট ৮টি লোকসভা কেন্দ্রে ভোট রয়েছে। কমিশনের খবর, ওই ৮টি কেন্দ্রের ৯৮০৪টি ভোটগ্রহণ কেন্দ্রের (পোলিং প্রেমিসেস) মধ্যে ৯৬৮৫টি কেন্দ্রেই (৯৮.৮ শতাংশ) কেন্দ্রীয় বাহিনী থাকছে। এর পাশাপাশি সম্পূর্ণ কেন্দ্রীয় বাহিনীর নিয়ন্ত্রণে মোট ৮৮টি ‘কুইক রেসপন্স টিম’ থাকছে। এই দফার ভোটে মোট ৫৬১ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করা হচ্ছে।

Advertisement

কমিশন সূত্রের খবর, চতুর্থ দফার আটটি কেন্দ্রের পরিস্থিতি পর্যালোচনায় গত বৃহস্পতিবার রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক (সিইও) এবং অন্য পর্যবেক্ষকদের সঙ্গে এ নিয়ে ভিডিয়ো-বৈঠক করেছেন উপ-নির্বাচন কমিশনার সুদীপ জৈন।

নির্বাচন কমিশন সূত্রের খবর, ওই বৈঠকে কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন, নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়ে আলোচনার পাশাপাশি ভোটারদের বিভিন্ন আশঙ্কার কথাও উঠেছে। এই সূত্রেই সামনে এসেছে বোলপুর কেন্দ্রের নাম। তবে ওই কেন্দ্রের সাধারণ পর্যবেক্ষক রমাকান্ত সিংহ ওই বৈঠকে জানান, ৯৮ শতাংশ বুথে কেন্দ্রীয় বাহিনী থাকায় গোলমাল হবে না বলেই মনে করছেন তিনি। বোলপুরের ৩০০টি বুথে ওয়েবকাস্টিং হবে এবং তা নজরদারি করার জন্য চার জনকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।

Advertisement

দিল্লি দখলের লড়াই, লোকসভা নির্বাচন ২০১৯

কমিশনের এক কর্তা জানান, মাত্র ৪ জনকে দিয়ে ৩০০টি বুথে নজর রাখা সম্ভব নয় বলে অসন্তোষ প্রকাশ করেন সুদীপ জৈন এবং ওয়েবকাস্টিংয়ে নজর রাখতে ২০ জনকে নিযুক্ত করতে তিনি নির্দেশ দেন।

কাল, সোমবার যে ৮টি কেন্দ্রে ভোট হবে তার মধ্যে অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ আসানসোল। কমিশনের খবর, আসানসোলের ১০০ শতাংশ বুথেই কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করা হবে। সেখানে ৮৭ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী নিযুক্ত করা হয়েছে। বুথ ছাড়াও ওই কেন্দ্রের বিভিন্ন স্পর্শকাতর এলাকাতেও কেন্দ্রীয় বাহিনী থাকতে পারে। কৃষ্ণনগরকেও অনেকে ভোটের লড়াইয়ে গুরুত্বপূর্ণ কেন্দ্র হিসেবে বিবেচনা করছেন।

নির্বাচন কমিশনের খবর, বৃহস্পতিবারের বৈঠকে কৃষ্ণনগরের সাধারণ পর্যবেক্ষক হর্ষদীপ শ্রীরাম কাম্বলে জানান, ১৭৬৭ ভোটগ্রহণ কেন্দ্রের মধ্যে ৮৪৬টি স্পর্শকাতর। এর পাশাপাশি ওই কেন্দ্রের বাংলাদেশ সীমান্ত এবং লাগোয়া এলাকাগুলিও পরিদর্শন করা হয়েছে। ওই কেন্দ্রের পুলিশ-পর্যবেক্ষক এস কে ঝা জানান, ৯৭ শতাংশ বুথে কেন্দ্রীয় বাহিনী থাকছে। কাম্বলে জানান, ৪০টি বুথে থাকবে না। তার মধ্যে ৩২টি গ্রামীণ বুথ। তবে সে দিনই সুদীপ জৈন তাঁকে নির্দেশ দেন, প্রয়োজনে কৃষ্ণনগর কেন্দ্রে কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েনের পরিকল্পনা পুনর্বিবেচনা করতে হবে। নদিয়ার রানাঘাট কেন্দ্রের সাধারণ পর্যবেক্ষক বলবিন্দর সিংহ ঢালিওয়াল জানান, ৫৬টি বুথে কেন্দ্রীয় বাহিনী থাকবে না। সেখানে মাইক্রোঅবজার্ভার ও ওয়েবকাস্টিং থাকবে। সুদীপ জৈন তাঁকে নির্দেশ দিয়েছেন, যদিও কোনও প্রত্যন্ত এলাকায় দুর্বল নেটওয়ার্কের কারণে ওয়েবকাস্টিং সম্ভব না-হয় তা হলে সেখানে তড়িঘড়ি কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করতে হবে। কমিশনের খবর, ভোটের আগে বিশেষ পুলিশ-পর্যবেক্ষক বিবেক দুবে আসানসোল ও বীরভূমে যেতে পারেন।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement