প্রতীকী ছবি।
এ বার লোকসভা ভোটে পশ্চিম মেদিনীপুরে প্রায় ১,৮০০ মাইক্রো অবজার্ভার থাকবেন। জেলা প্রশাসনের এক সূত্রে এ খবর জানা গিয়েছে। ইতিমধ্যে মাইক্রো অবজার্ভারদের নামের তালিকা তৈরি হয়েছে। তাঁদের প্রশিক্ষণের বন্দোবস্ত করা হচ্ছে।
জেলা প্রশাসনের এক আধিকারিক মানছেন, ‘‘মাইক্রো অবজার্ভারদের প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা হচ্ছে।’’ মাইক্রো অবজার্ভারদের ঠিক কী কাজ? জেলা প্রশাসনের এক সূত্র জানাচ্ছে, বুথে ঢুকে কেউ ভোটারদের উপর প্রভাব খাটাচ্ছেন কি না, সেটা দেখাই মাইক্রো অবজার্ভারদের মূল কাজ। এর বাইরেও ভোট প্রক্রিয়ায় ব্যাঘাত ঘটলে তাঁরা নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে যোগাযোগ করে ব্যবস্থা নিতে পারেন। জেলা প্রশাসনের ওই সূত্রে খবর, কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মচারীদের মাইক্রো অবজার্ভারের দায়িত্ব দেওয়া হচ্ছে। একটা বড় অংশই ব্যাঙ্ক আধিকারিক। পশ্চিম মেদিনীপুরে বুথের সংখ্যা ৪,২৮৯টি। অর্থাৎ, এক- একজনের দায়িত্বে দুই বা ততোধিক বুথ থাকবে। জেলা প্রশাসনের এক সূত্রে খবর, নির্বাচন কমিশনের নির্দেশ রয়েছে, যে সব ভোটগ্রহণ কেন্দ্রে তিনটি বুথ রয়েছে সেখানে একজন মাইক্রো অবজার্ভার থাকতে পারেন। তিনের বেশি বুথ থাকলে দু'জন মাইক্রো অবজার্ভার রাখতে হবে।
মূলত তিন ক্ষেত্রে পর্যবেক্ষক পাঠায় কমিশন। এক, জেনারেল অবজার্ভার। দুই, পুলিশ অবজার্ভার। তিন, এক্সপেনডিচার অবজার্ভার। সাধারণত, জেনারেল অবজার্ভার এবং এক্সপেনডিচার অবজার্ভার লোকসভা কেন্দ্রপিছু একজন করে থাকেন। অন্যদিকে, দু'টি লোকসভা কেন্দ্রপিছু একজন করে পুলিশ অবজার্ভার থাকেন। এ বারও তাই থাকছে। সঙ্গে বুথস্তরে থাকেন মাইক্রো অবজার্ভার। ভোটে অশান্তির অভিযোগ নতুন নয়। প্রশাসন সূত্রে খবর, আধা সামরিক বাহিনী থাকবে। মূলত তাদের হাতেই থাকবে ভোটকেন্দ্রের এবং তার বাইরের আইনশৃঙ্খলার দায়িত্ব। থাকবে মোবাইল ভিডিও ক্যামেরা। পাশাপাশি, থাকবেন মাইক্রো অবজার্ভাররা।
গত পঞ্চায়েত ভোটের কাজে গিয়ে অনেক ভোটকর্মীরই অভিজ্ঞতা ভাল নয়। রাজনৈতিক হিংসার সাক্ষী থাকতে হয়েছে অনেককে। জেলা প্রশাসনের এক আধিকারিকের আশ্বাস, ‘‘ভোটের দিন ভোটগ্রহণ কেন্দ্রে উপযুক্ত নিরাপত্তার বন্দোবস্ত করা হচ্ছে। এ নিয়ে চিন্তার কিছু নেই।’’ স্পর্শকাতর এলাকায় নজরদারি বেশি থাকবে। অশান্তির জায়গাতেই কেন্দ্রীয় বাহিনী বেশি দেওয়া হবে বলে প্রশাসনের এক সূত্রে খবর। সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে আগামী ১৩ এপ্রিল মাইক্রো অবজার্ভারদের প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে। জানানো হবে তাঁদের ঠিক কী করণীয়।