অগস্টের আগে ট্রেন পরিষেবা চালু নয়।—ছবি সংগৃহীত।
মালগাড়ি ও বিশেষ ট্রেন যেমন চলছে, তেমনই চলবে। তবে অন্য সব নিয়মিত ট্রেন বাতিলের মেয়াদ ১২ অগস্ট পর্যন্ত বাড়িয়ে দিল রেল মন্ত্রক। এর আগে ওই সময়সীমা ৩০ জুন পর্যন্ত ছিল। মেল, এক্সপ্রেস ছাড়াও ১২ অগস্ট পর্যন্ত শহরতলির লোকাল ট্রেন বন্ধ রাখার কথা বলা হয়েছে রেল মন্ত্রকের নির্দেশিকায়। দেশ জুড়ে করোনার কামড় জোরদার হতে থাকায় সতর্কতামূলক পদক্ষেপ হিসেবেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
করোনা অতিমারির প্রাদুর্ভাবে বন্ধ হয়ে যাওয়া মেল ও এক্সপ্রেস ট্রেনের টিকিটের টাকা ফেরত দেওয়া হচ্ছে। কিন্তু শহরতলির লোকাল ট্রেনের মান্থলি বা মাসিক টিকিটের টাকা ফেরত দেওয়া হবে কি না, সেই বিষয়ে এখনও উচ্চবাচ্য করেনি রেল। শহরতলির লোকাল ট্রেনের মাসিক টিকিটের সময়সীমা নিয়েও কোনও সিদ্ধান্তের কথা জানানো হয়নি। তবে রেল সূত্রের খবর, লকডাউন পর্বের কথা মাথায় রেখে ওই মেয়াদ বাড়ানো হতে পারে। রেলকর্মীদের বিভিন্ন পাসের মেয়াদ ইতিমধ্যেই বাড়ানো হয়েছে। মাসিক টিকিটের ক্ষেত্রেও সময়সীমা বৃদ্ধির সম্ভাবনা আছে। তবে মাসিক টিকিটের টাকা ফেরত দেওয়া হবে, নাকি তার সময়সীমা বাড়ানো হবে— সেই বিষয়ে রেল নীরব। রেল শিবিরেরই একাংশের বক্তব্য, দু’টি বিষয় পরস্পরের সঙ্গে জড়িত। টাকা ফেরত দেওয়া অসুবিধাজনক। তাই মাসিক টিকিটের সময়সীমা বাড়িয়ে দেওয়ার সম্ভাবনাই বেশি।
অনলাইনে আইআরসিটিসি-র ওয়েবসাইট থেকে ১৪ এপ্রিল পর্যন্ত নিয়মিত ট্রেনের যত টিকিট কাটা হয়েছে, তার টাকা ফেরানোর নির্দেশ দিয়েছে রেল। ওয়েবসাইট থেকে ১২০ দিন আগের টিকিট কাটা যায়। ফলে মধ্য অগস্ট পর্যন্ত নিয়মিত ট্রেন চালু না-হওয়ার সম্ভাবনা জোরদারই ছিল। সময়সীমা ১২ অগস্টের পরেও বাড়তে পারে বলে রেল শিবিরের খবর। দেশে এখন মাত্র ১১৫ জোড়া বিশেষ ট্রেন চালানো হচ্ছে। ওই সংখ্যা ট্রেনের মোট সংখ্যার দুই শতাংশেরও কম। বিশেষ ট্রেনের ক্ষেত্রে স্বল্প দূরত্বে যাতায়াত এড়াতে ট্রেনের স্টপ কমানো হয়েছে। স্টেশনে প্রবেশ-প্রস্থানের সময় পরীক্ষা করা হচ্ছে যাত্রীদের। বিশেষ ট্রেনের সংখ্যা বাড়ানো হতে পারে। কিন্তু সংক্রমণের আশঙ্কা এবং হ্রাসপ্রাপ্ত যাত্রী-সংখ্যার কথা মাথায় রেখে পুরনো সব ট্রেন এখনই সচল করতে চায় না রেল। লোকাল চালু করার ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে রাজ্যগুলির মতামতের ভিত্তিতে।
রেলের বিজ্ঞপ্তি।
আরও পড়ুন: করোনা রোগীর খরচের ঊর্ধ্বসীমা কত হবে? বৈঠক চায় বেসরকারি হাসপাতাল