দুর্ঘটনাগ্রস্ত কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেসে আগত যাত্রীদের সঙ্গে কথা বলছেন মেয়র ফিরহাদ হাকিম। —নিজস্ব চিত্র।
বিভীষিকাময় যাত্রার সমাপ্তি। রেলের দেওয়া সময়ের ২০ মিনিট আগেই শিয়ালদহে ঢুকে যায় কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেস। রাত ৩টে ১৬ মিনিটে ট্রেনটি শিয়ালদহে পৌঁছয় । স্টেশন যাত্রীদের জন্য অপেক্ষা করছিলেন পুর ও নগরোন্নয়ন মন্ত্রী এবং কলকাতার মেয়র ফিরহাদ হাকিম। সঙ্গে ছিলেন শিয়ালদহের ডিআরএম (ডিভিশনাল রেলওয়ে ম্যানেজার) দীপক নিগম এবং রেলের অন্যান্য আধিকারিকও। যাত্রীরা ট্রেন থেকে নামার পর তাঁদের সঙ্গে কথা বলেন ফিরহাদ। যাত্রীদের সঙ্গে কথা বলেন রেল আধিকারিকেরাও। কোনও যাত্রীর শারীরিক কোনও সমস্যা হচ্ছে কি না সে বিষয়েও খোঁজ নেন তারা। শিয়ালদহে পৌঁছনোর পর যাত্রীদের হাতে তুলে দেওয়া হয় খাবার এবং জলের বোতল।
রেলের অ্যাপ অনুযায়ী সোমবার গভীর রাত ৩টে ৩৬ মিনিটে ট্রেনটি শিয়ালদহে ঢুকবে। রাত ১টা ২৪ মিনিট নাগাদ ট্রেনটি বর্ধমান স্টেশনে ঢুকেছে।
মালদহে যাত্রীদের হাতে খাবার এবং জলের বোতল তুলে দিল রেল। সেখানে কিছু ক্ষণ দাঁড়ানোর পর শিয়ালদহের দিকে রওনা দিয়েছে কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেস।
পূর্ব রেলের মুখ্য জনসংযোগ আধিকারিক কৌশিক মিত্র জানিয়েছেন, দুপুর ১টা ৩০ মিনিট নাগাদ কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেসের অক্ষত অংশ যাত্রীদের নিয়ে মালদহের দিকে রওনা দিয়েছে।
কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেসে দুর্ঘটনায় ক্ষতিপূরণ ঘোষণা করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। যাঁদের মৃত্যু হয়েছে, তাঁদের পরিবারকে দু’লক্ষ টাকা এবং আহতদের ৫০ হাজার টাকা করে ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে বলে জানিয়েছে তাঁর দফতর। এর পাশাপাশি, ক্ষতিপূরণ ঘোষণা করেছে রেলও। রেলমন্ত্রী এক্স হ্যান্ডলে জানিয়েছেন, মৃতের পরিবারকে ১০ লক্ষ টাকা করে দেওয়া হবে। যাঁরা গুরুতর আহত, তাঁরা আড়াই লক্ষ টাকা এবং যাঁরা কম আহত, তাঁরা ৫০ হাজার টাকা করে পাবেন।
সোমবার সকালে নিউ জলপাইগুড়ি স্টেশন থেকে শিয়ালদহের দিকে রওনা দিয়েছিল কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেস। ফাঁসিদেওয়ার রাঙাপানি স্টেশনের কাছে সকাল ৮টা ৫০ মিনিট নাগাদ আচমকা ওই ট্রেনে পিছন দিক থেকে একটি মালগাড়ি এসে ধাক্কা মারে। কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেসের চারটি কামরা লাইনচ্যুত হয়েছে। তার মধ্যে অন্তত দু’টি কামরা মালবাহী। এখনও পর্যন্ত নয় জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গিয়েছে। আহত ৪১। মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা।