সভামঞ্চে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। নিজস্ব চিত্র।
বিজেপি-কে নিশানা করেই ২১ জুলাই-এর মঞ্চ থেকে লোকসভা ভোটের দামামা বাজিয়ে দিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ‘বিজেপি হঠাও দেশ বাঁচাও’ স্লোগান তুলে, আগামী লোকসভা ভোটে এ রাজ্যে ৪২টি আসনের মধ্যে ৪২টিই দখলের অঙ্গীকার করে, দলতে এগোতে বললেন তৃণমূল নেত্রী।
প্রত্যক বারের মতো এ বারও ধর্মতলার ভিক্টোরিয়া হাউসকে ঘিরে জনসমুদ্র। দফায় দফায় বৃষ্টিও ভিড়কে দমাতে পারেনি।
এ দিন মঞ্চে এসে তৃণমূলে যোগ দিলেন সদ্য বিজেপি ছাড়া প্রাক্তন সাংসদ চন্দন মিত্র। কংগ্রেসের ৫ বিধায়কও যোগ দিলেন তৃণমূলে। মঞ্চে দেখা গেল বামপন্থী লেখক-বুদ্ধিজীবী আবুল বাশারকে। বহিষ্কৃত সিপিএম সাংসদ ঋতব্রত বন্দ্যোপাধ্যায়ও এ দিন মঞ্চে ছিলেন।
আরও পড়ুন: তৃণমূলের দখলে শহরের রাজপথ, ভোগান্তি আমজনতার
মঞ্চ থেকে যা বললেন মমতা:
• দেশব্যাপী বিজেপির বিরুদ্ধে আমাদের লড়াই চলবে। আর এ রাজ্যে সিপিএম, কংগ্রেস এবং বিজেপির বিরুদ্ধে লড়াই চলবে: মমতা
• পুজো শেষ হতেই ব্রিগেডের প্রস্তুতি শুরু হবে। ২১ জুলাইযের থেকে বেশি জমায়েত হবে সেই সভায়: মমতা
• শিবসেনা তোমাদের জোটসঙ্গী ছিল, তারা ভোট দেয়নি। টিডিপি জোটসঙ্গী ছিল, তারাই অনাস্থা এনেছে— বিজেপি-কে তোপ দাগলেন মমতা
• কংগ্রেস-সিপিএম-বিজেপি, দিল্লিতে আমরা আপনাদের সাহায্য করি। আর এখানে আপনারা আমাদের বিরুদ্ধে একজোট হয়ে লড়াই করেন: মমতা
• হিটলার-মুসোলিনির থেকেও বড় সম্রাট এসে গিয়েছে। ওদের হাতে দাঙ্গার রক্ত লেগে আছে। ওদের ঔদ্ধত্য, অত্যাচার মেনে নেবেন না। মঞ্চ থেকে এ ভাবেই বিজেপি-কে আক্রমণ করলেন মমতা
• কন্যাশ্রী আমাদের গর্ব, রূপশ্রী আমাদের গর্ব: মমতা
• হিন্দু ধর্মকে অসম্মান করছে বিজেপি। এটা করার অধিকার ওদের নেই, বললেন মমতা
দেখুন ভিডিয়ো
• লোকসভায় সংখ্যা পেয়েছে। কিন্তু বাইরে নেই। ২০১৯-এ সংখ্যাগরিষ্ঠতা পাবে না: মমতা
• প্যান্ডেল ভাঙা বড় কথা নয়, ওরা দেশটাই ভেঙে দিচ্ছে, ওরা নোংরা রাজনীতি করে, ব্যাঙ্কের টাকা লুঠ করছে, তালিবানি উগ্রপন্থা চালাচ্ছে— বললেন মমতা
• আগামী ২১ জুলাই ভারত জয় করার ২১ জুলাই হবে: মমতা
• বিজেপি যাতে টাকা বিলি করতে না পারে সে দিকে নজর রাখুন। গ্রামে ঘুরে ঘুরে টাকা বিলোচ্ছে ওরা, বললেন মমতা।
• বাংলায় জগাই-মাধাই-গদাই এক হয়েছে— বললেন মমতা
• বিজেপি এলাকায় এলাকায় টাকা দিচ্ছে, বাইক দিচ্ছে। অনেক কথা বলে টাকা নেওয়াও হচ্ছে। কিন্তু কাজ হচ্ছে না— বললেন মমতা
• আমরা চেয়ারকে কেয়ার করি না, আমরা দেশকে ভালবাসি: মমতা
• সব রাজনৈতিক দল এবং ফেডারেল ফ্রন্টকে নিয়ে ভারত দখল করব: মমতা
• অপপ্রচার, কুত্সা রটানো হচ্ছে: মমতা
• পঞ্চায়েত নির্বাচন হয়ে গেল। অনেকে অনেক কথা বলেছেন। উত্তরাখণ্ডে ৭০ শতাংশ আসনে ভোট হয় না। তখন কি কেউ প্রশ্ন তোলেন কেন বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয় হল? বললেন মমতা
• যারা প্যান্ডেল গড়তে পারে না, তারা আবার দেশ গড়বে! বিজেপি-কে খোঁচা মমতার
সমাবেশে সকাল থেকেই হাজির হয়েছেন প্রচুর কর্মী-সমর্থক। ছবি: রণজিত্ নন্দী।
• ২৭ জুলাই নানুর দিবস। ২৮ জুলাই মেদিনীপুরে যেখানে প্যান্ডেল ভাঙে সেখানে সভা হবে: মমতা
• একুশের অঙ্গীকার আমরা ৪২টাই নেব। মানুষের ভোটে জিতব: মমতা
• বিজেপির মতো টাকা দিয়ে লোক আনি না: মমতা
• দুপুর ০১.০৫ বক্তৃতা শুরু করলেন মমতা
• ১২.৫৫টা নাগাদ মঞ্চে উঠলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়
• ১২.২০: সভায় বক্তৃতা দিলেন তৃণমূল সাংসদ সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেন,“অচ্ছে দিন না, কালো দিন এসেছে।”
• ১২.১০: মঞ্চে বক্তৃতা দিতে উঠে শুরু থেকেই বিজেপিকে আক্রমণ করেন তৃণমূল যুব কংগ্রেসের সভাপতি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেন, “৪২-এ ৪২, ২০১৯-এ বিজেপি ফিনিশ।”
• ১২.০৫: মঞ্চে বক্তৃতা দিলেন চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য।
• ১২.০০: মঞ্চে এলেন শুভেন্দু অধিকারী। ২১-এর মঞ্চ থেকে তিনি বিজেপি হঠানোর ডাক দিলেন। তিনি বলেন, “বিজেপি হঠাও, দেশ বাঁচাও।”
• ১১.৫৩: সভামঞ্চে বলতে উঠলেন রাজ্যের পঞ্চায়েত মন্ত্রী সুব্রত মুখোপাধ্যায়। তিনি বলেন, “মোদী যে দিন গদিচ্যুত হবেন, সে দিন ভারতে নতুন সূর্যোদয় হবে।”
• ১১.৪৭: মঞ্চে বক্তৃতা দিলেন তৃণমূলের মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায়।
• ২১-এর মঞ্চে উপস্থিত কংগ্রেসের পাঁচ বিধায়ক— আবু তাহের, আখরুজ্জামান, সাবিনা ইয়াসমিন, সমর মুখোপাধ্যায়, অপূর্ব সরকার।
• ১১.৪০: মঞ্চে বক্তৃতা দিতে উঠলেন তৃণমূল নেতা সুব্রত বক্সি। বলেন, “মোদী একটাও কথা রাখেননি।”
• মঞ্চে হাজির তৃণমূলের মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায়, শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়, পূর্ণেন্দু বসু, অরূপ বিশ্বাস এবং দোলা সেন-সহ দলের শীর্ষ নেতারা।
বৃষ্টি উপেক্ষা করেই হাজির।
• পার্ক স্ট্রিটে অস্থায়ী মেডিক্যাল ক্যাম্পের ব্যবস্থা করা হয়েছে।
• প্রবল বৃষ্টিকে উপেক্ষা করে প্রচুর কর্মী-সমর্থক সমাবেশে হাজির হচ্ছেন। সমাবেশের সামনে উত্সাহী কর্মীদের নাচগান চলছে।
• ১৮টি জায়গায় অ্যাম্বুল্যান্সের ব্যবস্থা করা হয়েছে।
• ২১-এর মঞ্চের আশপাশে রয়েছে চারটে ভিউ কাটার। এ ছাড়া বেশ কয়েকটি জায়ান্ট স্ক্রিনও লাগানো হয়েছে। সেই সঙ্গে সিসিটিভির মাধ্যমে নজরদারি চালানো হচ্ছে।
• পরিস্থিতি সামলাতে রাস্তায় নামানো হয়েছে ৬ হাজার পুলিশ, চার হাজার স্বেচ্ছাসেবক। রয়েছে লালবাজারের কুইক রেসপন্স টিম।
• ১০টি মেট্রো স্টেশনে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
• শনিবার সকাল থেকেই দেখা যায় তৃণমূলের বহু কর্মী-সমর্থক ধর্মতলার উদ্দেশে রওনা দেন। এ দিন শহরতলির ট্রেনগুলোতে ছিল বাদুড়ঝোলা ভিড়।
• রাস্তায় গুটিকয়েক বাস থাকায় সেগুলোতেও ভিড় উপচে পড়েছে। মেট্রোগুলোরও একই পরিস্থিতি।
দেখুন ভিডিয়ো
• ইতিমধ্যেই হাওড়া, শিয়ালদহ স্টেশন এবং শহরের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে মিছিল আসতে শুরু করেছে। হাওড়া থেকে স্ট্র্যান্ড রোড হয়ে মেয়ো রোডে মিছিল যাবে।
• শিয়ালদহ থেকে যে মিছিলগুলো আসবে সেগুলো মৌলালি, ডোরিনা ক্রসিং হয়ে ধর্মতলা যাবে। অন্য দিকে, মিলনমেলা, হাজরা, গিরিশ পার্ক, শ্যামবাজার থেকে মিছিল আসতে শুরু করেছে।
• ভিক্টোরিয়ার আশপাশ, লাভার্স লেন, হসপিটাল রোড, ক্যাথিড্রাল রোডে গাড়ি পার্কিং বন্ধ।
• শহরবাসীকে এজেসি বোস উড়ালপুল, এমজি রোড ব্যবহারের পরামর্শ দিচ্ছে কলকাতা ট্রাফিক পুলিশ।
• বন্ধ সেন্ট্রাল অ্যাভিনিউয়ের একাংশ। বেন্টিঙ্ক স্ট্রিটে যান চলাচল পুরোপুরি বন্ধ।
জমায়েত তৃণমূল-কর্মী সমর্থকদের।ছবি: শৌভিক দেবনাথ।
আরও পড়ুন: দফায় দফায় বৃষ্টি মাথায় করেই ধর্মতলামুখী তৃণমূল কর্মীরা
বাইপাস সংলগ্ন মিলনমেলা, রাজডাঙার গীতাঞ্জলি স্টেডিয়াম, নেতাজি ইনডোর সংলগ্ন ক্ষুদিরাম অনুশীলন কেন্দ্র, আলিপুর এলাকার উত্তীর্ণ প্রেক্ষাগৃহ এবং বড়বাজার এলাকার বিভিন্ন ধর্মশালায় রাখা হয়েছে উত্তরবঙ্গ থেকে এবং জঙ্গলমহলের জেলাগুলি থেকে আসা কর্মী-সমর্থকদের। তাঁদের খাওয়াদাওয়ার ব্যবস্থাও তৃণমূলের তরফেই করা হয়েছে।